Skip to main content

দ্য কেস অফ অষ্টমী খিচুড়ি

- মিতুলদি? তুমি কোথায়? বড্ড অন্ধকার। দেখা যাচ্ছে না।


- এদিকে আয়। জলের ট্যাঙ্কের পাশে। 


- ছাদে ডেকেছ কেন?


- বিশেষ কথা আছে তোর সাথে দীপু। পাড়ার দিদিদেরকে টোন কাটারর শখ কবে থেকে হল তোর? তোকে তো এরকম ভাবতাম না।


- টোন কাটিনি। বিশ্বাস কর।


- অঞ্জলির সময় তুই আমার পিঠে ফুল ছুঁড়ে মারিসনি?


- বিশ্বাস কর আমি বুঝতে পারিনি ওটা তুমি।


- আচ্ছা। তাহলে তুই অন্য মেয়ে ভেবেছিস? কোন মেয়েকে ফুল ছুঁড়ে মারতে গেছিলিস তুই ইডিয়ট?


- আমায় যেতে দাও প্লীজ।


- চুপ করে দাঁড়াবি এখানে। আগে বল কাকে ফুল ছুঁড়ে মেরেছিলিস? 


- মিতুলদি প্লীজ। আমি আসি।


- চুপ। খিচুড়ি বিতরণের  ভলেন্টিয়ার লিস্টে তোর নাম ছিল আজ। নাম কাটিয়েছিস কেন?


- আসলে আমার আজ সন্ধ্যেবেলা এক জায়গায় জরুরি কাজে যাওয়ার ছিল। 


- কী জরুরি কাজ?


- আমি আসি। 


- জরুরি কাজে গেলি না কেন?


- কাজটা ক্যানসেল হয়ে গেছে।


- তাই বুঝি প্যাণ্ডেলে না এসে অমন শুকনো মুখে স্কুলমাঠে ঘুরঘুর করছিলিস?


- তুমি আমায় এই ছাদে কেন ডেকেছ মিতুলদি?


- খিচুড়ি খাওয়াতে। এই নে। বারোয়ারী তলা থেকে স্পেশ্যালি এনেছি। 

- না না আমি খিচুড়ি খাব না। 


- তোর ঘাড় খাবে। তুই এত অসভ্য হয়ে উঠছিস কেন দিন দিন দীপু? যা বলছি তাই কর। খা।


- তাই বলে দুই দোনা খিচুড়ি?


- শোন আমি ছাতের দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করছি। খিচুড়ি শেষ হলে হাঁক দিস, খুলে দেব।


- মিতুলদি প্লীজ।


- চুপ। 


- মিতুলদি....যাঃ, দেখ কাণ্ড। সত্যিই দরজা বন্ধ করে দিল।

***

অন্ধকার ছাতের কোণে বেকুবের মত দু'দোনা খিচুড়ি হাতে দাঁড়িয়ে রইল দীপু। এমন ভ্যাবলা বহুদিন বনেনি।

- "সঙের মত দাঁড়য়ে থাকবি না একটা দোনা আমায় দিবি?"
পিলে চমলে গেছিল দীপুর।

- "কিচি তুই?"।

-" না আমার ভূত। খিচুড়ি দে। আইসক্রীম তো খাওয়ালি না"।

-"এই যে"।

-"গবেট। হুড়মুড় করে খাচ্ছিস কেন? অষ্টমীর ভোগ ধীরেসুস্থে খেতে  হয়। নয়তো দেবী রাগ করে"।

-"কিচি দেবী?"

Comments

malabika said…
জম্পেশ খিচুড়ি, যা হোক্‌।

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু