- অদ্ভুত না? তোমাদের বংশে গত দুই জেনারেশনে কোন মেয়ে নেই?
- উঁ? হুঁ। শুতে আসার আগে একটু জল নিয়ে এসো মিতা।
- বল না গো! তোমার অদ্ভুত লাগে না? বনেদী বংশ তোমাদের, বাড়িতে কত লোক। তবু, গত চল্লিশ বছরে কোন মেয়ে হয়নি। অদ্ভুত লাগে না তোমার? আমার যেন মেয়ে হয় গো।
- কী দরকার?
- মানে? তোমার বুঝি মেয়ে হলে দুঃখ হবে?
- না, তা কেন। মেয়েরা ঘরের লক্ষ্মী। দুঃখ হবে কেন?
- যাক বাবা, নিশ্চিন্ত হলাম জান। তোমাদের যা সেকেলে পরিবার, ভয় হত; মেয়ে হলে যদি দুঃখ পাও?
- বোকা! বললাম তো। মেয়েরা লক্ষ্মী। বাড়িতে লক্ষ্মী এলে দুঃখ কী আবার? কত আনন্দের কথা বরং। এ বংশে লক্ষ্মী এলে বিদেয় হয় না গো, সমাদরে থাকে।
- সে কেমন কথা। লক্ষ্মী কে কেউ বিদেয় করে নাকী? আর সে'সব কথায় কী কাজ; তোমাদের বংশে তো মেয়েই হয়না।
- মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদ ছাড়া বংশের সুখ টেকে কী করে? মায়ের আশীর্বাদ আমরা বেঁধে রাখি, জমিয়ে রাখি। অতবড় ধনলক্ষ্মীর মন্দির কি বাড়িতে এমনি রয়েছে গো? দেবীর বেদির নিচে গোপন ধন-কুঠুরি; মা নিজে বারবার এসে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন সেখেনে। বারে বারে মা লক্ষ্মী আসেন গো, বারেবারে অন্ধকার কুঠুরি আলো করে বসেন। বংশের সম্পত্তি রক্ষা তিনিই করেন। তাই বলি, মেয়ে হলে চিন্তা কীসের গো?
Comments
eta facebook e share korun please...