Skip to main content

বিয়ে

- কংগ্রাচুলেশনস জয়িতা। 

- কংগ্রাচুলেশনস টু ইউ টু অর্ণব।

- আমরা কি এরকম নেকু নেকু সাহেবি কেতায় বিয়ে সেলিব্রেট করব?কংগ্রাচুলেশনস আর পাতলা চুমু?

- ডিপ্‌ কিস্‌?

- ইয়েস। আর জলভরা। 

- হাই ফাইভ।

- ইউ আর হ্যাপি নো? জয়ি?

- কী বাজে প্রশ্ন অর্ণব। এখন শুধু ডিভোর্সটা নিয়েই চিন্তা জানো। অভীকে তুমি চেন না। হি কুড গো টু এনি এক্সটেন্ট ইন ভেঞ্জেন্স। টাকা, মাস্‌ল পাওয়ার; সমস্তই তো ছিল ওর কাছে। ক'টা বছর যে কী ভাবে কাটল অর্ণব। অথচ দেখ, তোমার সাথে এই মাত্র দু'মাসের দেখা। তুমি হঠাৎ  এক রাশ ভালোবাসা নিয়ে এলে। মন্দিরে বিয়ে। ভাবা যায়? হেহ! যাক, তোমার এই বাড়ির ব্যালকনিটা এত মিষ্টি। এত সুখ সইবে?

- আই নো হাউ ভেঞ্জফুল ইওর এক্স হাসব্যান্ড ক্যান বি জয়িতা।

- আজ ওর কথা থাক অর্ণব। মেক মি ফীল লাভ্‌ড। তোমার ফ্ল্যাট্‌টা...থুড়ি...আমাদের ফ্ল্যাটটা...স্বপ্নের মত লাগছে, জান?

- জান জয়ি, রিয়ালাইজ করলাম যে সমস্ত এত ধুন্ধুমার গতিতে ঘটে গেল, তোমায় কেতা নিয়ে প্রপোজটাই করা হল না। 

- আমাদের বিয়ে হয়ে গেছে অর্ণব। 

- তবু। লেট্‌স গেট ম্যারিড, না বললে শুনব না ; এটা কোন প্রপোজ করা হল? এই দেখ। নাউ আই অ্যাম অন মাই নিজ্‌।

- পাগলামি হচ্ছে। 

- হোক। লেট মি প্লীজ।

- শিওর। গো অ্যাহেড পাগলাবাবু। মেক মি ফিল লাইক আ প্রিন্সেস্‌। 

- চোখ বোজ। 

- বুজলাম।

- হাত বাড়িয়ে দাও।

- দিলাম। এ কী, আংটি তো নয়, হাতে কি দিলে এটা? ভারী তো!

- সারপ্রাইজ। চোখ খোল।

- অ...অর্ণব...হোয়াট জোক ইজ দিস্‌।

- ইট ইজ নো জোক। 

- আমার হাতে রিভলভার দিয়েছ কেন? ইজ ইট রিয়েল?

- টোটালি। অ্যান্ড লোডেড। 

- হোয়াট আটার নন-সেন্স। ছাড় আমায়।

- জয়িতা, উইল উই বি উইথ মি ফরএভার? প্লীজ?

- খুব মেলোড্রামা হয়ে যাচ্ছে অর্ণব। বাট। অফ কোর্স আই উইল। তোমার সাথে থাকব বলেই তো বিয়ে। অলওয়েজ। নাউ স্টপ বিং ষ্টুপিড। রিভলভার সরাও, এটা লাইসেন্স্‌ড তো।

- অফ কোর্স। জয়ি। আমি তোমায় ছাড়া বাঁচতে পারব না। গত দু'মাসে তোমার মধ্যে আমি আমার হারানো শিকড় খুঁজে পেয়েছি। ইট ইজ জাস্ট নট কনজুগাল ভালোবাসা জয়ি। আই নিড ইউ। আই নিড টু বি উইথ ইউ। 

- কী ব্যাপার অর্ণব? উই জাস্ট গট ম্যারেড টুডে। এসব পাগলামি করছ কেন?

- একসাথে থাকবে তো? চাও তো থাকতে?   

- অফ কোর্স। তোমায় ছাড়া আমি থাকব কী করে?

- বেশ। যদি চাও তো ডু অ্যাজ আই সে। এই যে। রিভলভারের নলটা আমি মুখে নিচ্ছি। পুল দ্য ট্রিগার। আই কুড ডু ইট মাইসেল্‌ফ। বাট ইউ মাস্ট। ফর পোয়েটিক ফেয়ারনেস্‌ ইউ মাস্ট। ভালোবাসাই তো কবিতা, তাই না? 

- তুমি উন্মাদের মত কথা বলছ। জাস্ট গেট দ্য হেল আউট।

- জয়ি, দিজ ইস দ্য অনলি ওয়ে ফর আস টু বি টুগেদার।

- কেন? আমাকেও সুইসাইড করাবে নাকি?

- জয়ি!

- কী হয়েছে অর্ণব?

- জয়ি!

- টেল্ মি। 

- প্রথম আলাপ মনে পড়ে?

- হ্যাঁ। মিলির পার্টিতে। হাউ কুড আই ফরগেট অর্ণব? হাউ কুড আই ফর্গেট? আচমকা তোমার সাথে সেই দেখা, তুমি আমার জন্য ড্রিঙ্ক নিয়ে এলে...কোমল গান্ধার নিয়ে সেই আড্ডা।

- আচমকা নয় জয়ি। আচমকা নয়।

- মানে?

- মানে আমাদের দেখাটা আচমকা নয়। আই ওয়াজ প্ল্যান্টেড। বাই অভী।

- হোয়াট? কী বলছ তুমি?

- অভী ওয়াজ সাস্‌পিশাস যে তুমি ভারী অ্যালিমনির দাবীতে ওকে নাস্তানাবুদ করবে।  মাই জব ওয়াজ টু গেট রিড অফ ইউ।  বিফোর দ্য সেট্‌লমেন্ট অফ ডিভোর্স।

- তারপর? ভালোবেসে ফেললে?


- ওই, কোমল গান্ধার নিয়ে যত আলোচনা। রাতে তোমায় ড্রপ করার সময় তোমার বেসামাল ভাবে আকাশ ভরা গান। সমস্ত পাল্টে গেল। 

- আমায় কেন এসব বললে? আরে বললেই বা কী হবে। সরাতে এসে বিয়ে করলে। আমি তোমায় বিশ্বাস করি অর্ণব। তুমি অভীর ক্লাচ থেকে বেরোতে পেরেছ?

- বেরোবার আগেই...।

- বেরোবার আগেই কী অর্ণব ?

- তোমায় সরিয়ে দেওয়া হয়ে গেছে।

- মানে?

- মিলির পার্টিতে যে ড্রিঙ্ক আমি তোমার জন্য নিয়ে যাই। তাতে এক সাঙ্ঘাতিক কেমিক্যাল মেশানো ছিল। যার এফেক্ট তিন মাসে...। 

- তিন মাসে কী এফেক্ট?

- তিন মাস ধরে অজান্তে এ বিষ ছড়িয়ে পরে রক্তকণিকার মাধ্যমে। ম্যানিফেস্টেশন আসে তিন মাসের শেষে...।

- ম্যানিফেস্টেশন?

- আচমকা অ্যাকিউট ফেলিওর অফ মাল্টিপ্‌ল অর্গ্যান্স। ম্যাটার অফ ফিউ মোর মান্থস। আমায় একা ছেড়ে যেও না। প্লীজ জয়ি। আমি তোমায় সত্যিই ভালোবেসেছি। আমায় একা ফেলে যেও না।

- অর্ণব..., আই ট্রাস্টেড ইউ।

- বিশ্বাস কর আমি তোমায় ভালোবেসেছি। আমায় সাথে নাও। টে দিস রিভলভার অ্যান্ড শুট মি। শুট মি। আমি দু'দিন আগে ওপারে গিয়ে তোমার জন্য এরকমই সুন্দর একটা ব্যালকনি সাজিয়ে রাখব। শুট মি জয়ি।

- অর্ণব...। 

- না না না জয়ি, তুমি না। নিজের মুখে রিভলভার কেন? স্টপ! স্টপ! ডোন্ট কিল ইওরসেলফ প্লীজ । ট্রিগার টেনো না, প্লীজ! জয়ি। 

**

- এসো অর্ণব। 

- স্যুটকেসটা?

- আমার সেক্রেটারি সোমা দিয়ে দেবে তোমায়।

- আর অভী ...।

- ভিসা, এয়ারটিকিট সমস্তই সোমার কাছে আছে।

- থ্যাংকস। আসি তাহলে? তাড়া ছিল।

- শিওর। ইয়ে, কেউ খুন বলে...?

- সন্দেহ করবে না। ফিঙ্গার প্রিন্ট অ্যান্ড অল। অল পয়েন্টস টুয়ার্ডস সুইসাইড। 

- হ্যাপি জার্নি। 

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু