Skip to main content

ভ্যাকেশন

পর্ব ১-

পুরনো লেটার প্যাডের ছেঁড়া পাতায় করা লিস্ট –
Gelusil. Check.
Torch. Check.
Hemonto Playlist. Check.
Uncle who cracks CPM-TMC jokes. Check.
Saptadipa Chanachur packet. Check.
Cards for Mind, Ludo for Soul. Check.
Sorsher Tel for emergency chest massage in case the Monkey cap under performs. Check.
Bibhutibhuson – Narayan Debnath cocktail. Check.
Old copies of Anondobajar for packing emergencies. Check.
যাত্রা শুরু।

পর্ব ২ –
-ঘুরতে বেরিয়েছি, গোলাপজাম রিফিউজ করব গো?
-ডায়াবেটিসটাও কি নিজের আক্কেলের সাথে কলকাতায় ফেলে এসেছ? আর তাছাড়া এদিকে কেউ গোলাপজাম বলে না। গুলাব জামুন। ভেতো কোথাকার।
-বটে? গোলাপজামকে এখানে গুলাবজামুন না বলাটা অপরাধ? বেশ। তুমি জানো ডায়াবেটিস কে ভ্যাকেশনের ভাষায় কী বলে?
-ভ্যাকেশনের ভাষা?
-আলবাত। ভ্যাকেশনের ভাষা। তাতে ডায়াবেটিস মানে হল “খিটখিটে উচ্ছে মুখো বৌয়ের থেকে দূরে থাকার প্রসেস”।
-সাপের পাঁচ পা দেখেছ, তাই না? বাড়ি চল তোমার হচ্ছে।


পর্ব ৩ –
-হ্যাঁ রে, মদের বোতল নিয়েছিস তো বাবু?
-স্কচ।
-বড়রা টের পায়নি তো?
-টেনশন নিস কেন এত রে বুম্বাদা? অল ইন কন্ট্রোল।
-চাখনা?
-সল্টেড বাদাম। স্পেশ্যাল প্রোটেক্টিভ প্যাকেজে হাঁসের ডিম; ভেজে অথবা সেদ্ধ। পোল্ট্রির ডিমকে ট্রাস্ট করব না। কচু ভাজার প্যাকেট। চালতার আচার। ঝাল চানাচুর। কুচো নিমকি, কালো জিরে দেওয়া। আর বাকিটা অকুস্থলে গিয়ে ম্যানেজ হবে।
-আরে, আর আসল দু’টো চাখনা? নিসনি?
-আবার কী?
-শিব্রাম সমগ্র আর মানবেন্দ্রর প্লেলিস্ট???

পর্ব ৪ –
-মশাই, এই ঢাউস ব্যাগটায় কী নিয়ে চলেছেন? তখন থেকে দেখছি আগলে রাখছেন।
-এইটেয়?
-হ্যাঁ, পার্সোনাল কিছু?
-ছুটি ইজ হোয়্যার দ্য ল্যাদ ইজ। ল্যাদ ইজ হোয়্যার দ্য পার্সোনাল পাশবালিশ ইজ। বৌ ছাড়া দু’একবার ঘুরতে গিয়েছি বটে। পাশবালিশ ছাড়া কহি নহি।

পর্ব ৫ –


পর্ব ৬ –
-মামা, ও মামা, ঘুমোলে নাকি?
-হুঁ? হুঁ? মিন্টো পার্ক এসে গেছে নাকি ?
-আরে তুমি মিনিবাসে অফিস যাচ্ছ না, ভলভোতে দিল্লী টু হিমাচল যাচ্ছ।
-অ। ওহো। বাসের দুলুনিতে চোখ লেগে গেছিল কিনা। জেনেটিক কন্ডিশনিংয়ের জন্য ঘুম ভাঙ্গতেই মনে হল বুঝি কন্ডাক্টর টিকিট দিতে এসেছে।

পর্ব ৭ –
-মর্নিং ওয়াক ছাড়া পাহাড়ে ঘুরতে আসা বৃথা। বুঝলেন?
-আমি বুঝি কোয়ালিটি চা ছাড়া মর্নিং ওয়াক বৃথা। চলুন, ওই যে চায়ের দোকান।
**
-দাদা, দু কাপ চায়ে দেনা। কম চিনি, দুধ জিয়াদা।
-সাহাব কলকত্তা সে আয়ে হ্যায়?
-আরিব্বাস। ক্যাইসে জান লিয়া?

**
-আসুন, এই আপনার কাপ।
-থ্যাংকস। চাওলার সঙ্গে আলাপ করে এলেন দেখলাম।
-নতুন জায়গায় এসে চাওয়ালার সাথে আলাপ না করে চা খাওয়া বৃথা। ইয়ে, বাঙালির ন্যাচুরাল অউরাটা কিন্তু ডিনাই করা যায় না।
-হঠাৎ অউরার কথা?
-আমায় দেখেই রেসপেক্টফুলি জিজ্ঞেস করলে আমি ক্যালক্যাটা থেকে এসেছি কিনা।
-ইয়ে মানে, আপনার অ্যাক্সেন্ট ইন্টারসেপ্ট করেনি তো?
-নো চান্স। এসবিআইয়ের হয়ে ফাইভ ইয়ার্স ইন লাখনৌ। স্পোকেন হিন্দি মে খুঁত নহি মিলেগা জনাব।


পর্ব – ৮
-পাহাড়। জঙ্গল। পাহাড়ি নদীর ঝুমঝুম। এমন ঝমঝমে বৃষ্টি। চারিদিকে এমন নিকষ অন্ধকার। ফরেস্ট রেস্টহাউসের এমন রোমাঞ্চকর পরিবেশ। তোদের মধ্যে কেউ একটা জমাট ভূতের গল্প ফাঁদতে পারছিস না?
-আমি একটা বলি মামা?
-রোমহর্ষক হওয়া চাই।
-প্লটটা ভাবতেই আমার নিজের গায়েই কাঁটা দিচ্ছে। বলি?
-বল।
-হরিদাস, মানে এখানকার কেয়ারটেকারকে নিয়ে গেছিলাম আজ এখানকার হাটে। সেটা সবারই জানা। দেশী মুর্গী আনতে। আমার অবশ্য ব্রয়লারে আপত্তি নেই, নেহাত মামা ইনসিস্ট করলে পাহাড়ি মুর্গীর স্বাদ নাকি বহুগুন বেশি।
-অরিজিনাল প্লট? বানিয়ে বলছিস?
-বানিয়ে বলছি কী না ঠাহর করতে পারছি না।
-ইন্টারেস্টিং। গুড স্টার্ট। বলে যা।
-গেলাম হরিদাসের সাথে, কিন্তু ফিরলাম হরিদাসের লাশ নিয়ে।
-কাঁচা ট্যুইস্ট। যে দেশী মুর্গী নিলি তারও ডাকনাম হরিদাস। তাই তো রে?
-না মামা। হরিদাস জেনুইন দেশী মুর্গীর লোভ দেখিয়ে দেড় মাইল হাঁটালে। এই পাহাড়ি রাস্তার অদ্দুর হেঁটে গেলাম। গিয়ে দেখলাম লবডঙ্কা ; সমস্ত মুর্গী পাঠার দোকান বন্ধ। আজ এখানে কোন লোকাল পরব আছে; আমিষ খাওয়া হয়না। এদিকে হরিদাস মামাকে প্রমিস করে বেরিয়েছিল মুর্গীর রোস্টে মাতিয়ে দেবে। সম্ভবত মামার চেয়ে কিছু আগাম বখশিশও বাগিয়েছে। তাই তো মামা?
-একশো টাকা। আর দু’টো ফিল্টার উইলস।
-বখশিশের গুণে পরবের কথাটা ভুলে মেরে দিয়েছিল হরিদাস। তা সে যখন মুর্গী পেলেনা; তখন সে মরমে মরলে। হরিদাস মরমে মরা লাশ হয়ে রেস্টহাউসে ফিরে এলে। আর এদিকে তারপর থেকে; মামা তোমাকে দেখলেই ভূত দেখার মত কেঁপে উঠে গায়েব হয়ে যাচ্ছে সে। অর্থাৎ লাশ হরিদাসের অথচ ভূত তোমার।
-শুয়ার। তুই বলছিস রাতে নিরামিষ? হরিদাসের পেটে পেটে এত? আর তুই এতক্ষণে এই ক্যালামিটিক খবর দিচ্ছিস? ছিঃ! এটা ভূতের গল্প রে? তুই একটা মামদো।
-দেশী মুর্গীর বদলে দেশী ফুলকপি রয়েছে। আর রাজমার ঝোল। আজ যে ডিনারে নিরামিষ; সেটা একটু ড্র‍্যামাটিক ভাবে তোমায় বলব ভাবছিলাম। যাক গে, হরিদাস লজ্জায় মাটিতে মিশে আমায় রিকুয়েস্ট করেছিল যে তোমার থেকে আর একটা ফিল্টার উইলস যদি পাওয়া যায়।

পর্ব – ৯
হাতে ঢাউস ক্যামেরা। গায়ে রেনকোট, পায়ে গাম বুট আর কাঁধে ব্যাগ ফেলে ঝিরঝিরে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে বেরোলে ছোটমামা।
-“বর্ষায় পাহাড়ি জঙ্গলে কত ভ্যারাইটির যে ফুল আছে, না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল। ফুলের দিকে ন্যাক তো আমার আজকের নয়। ডুয়ার্স চষে সেবার বিভিন্ন জাঙ্গল ডেইসির স্যাম্পল কলেক্ট করে এলাম।এবার হিমাচলে যখন এসেই পড়েছি, ভাবছি এখান থেকেও জঙ্গলি ফুলের ছবি আর স্যাম্পল কলেক্ট করে নেব। তোদের চোখ নেই রে ফুল চেনার। গোলাপ, ডালিয়া, গাঁদার বাইরে তো আর কিস্যুই চিনলি না। আমি যখন ব্যাগ ভরে স্যাম্পল আনব, তোদের তাক লাগবেই সে সব দেখে। এখানে অ্যাট লিস্ট চল্লিশটা ইউনিক ভ্যারাইটি এক্সপেক্ট করছি। সঙ্গে স্যান্ডউইচ আছে। লাঞ্চে ফিরব না। চলি”।
মামার ফেরত এল লাঞ্চের আগেই। আমরা উন্মুখ হয়ে বসেছিলাম বিভিন্ন ফুলের স্যাম্পল দেখতে। মামার ব্যাগের পেট বেশ ফুলে রয়েছে দেখলাম।
-ফুল অফ ফুল নাকি মামা?
-ফুল অফ ফুল।
-তবে দেরী কেন? দেখাও।
-তোদের আর দেখে কাজ নেই। কেয়ারটেকার কে ডাক। তাকেই দিতে হবে এই ব্যাগ।
-সে কী। কেয়ারটেকার কেন? আমাদের দেখাবে না?
-আরে অন্য ফুল এক্সপ্লোর করার আগেই নজরে এল স্বর্গীয় পুষ্পরাশি। তা দিয়েই ব্যাগ ভরে ফিরলাম।
-কী ফুল?
-কুমড়োর ক্ষেত- এখান থেকে দেড় মাইল দূরে; জঙ্গল ঘেঁষে। চাষাকে সিগারেট খাওয়ালাম। সে ব্যাগ ভরে কুমড়ো ফুল অফার করলে। রিফিউজ করতে পারলাম না রে। ব্যাগে বেসন আর খাওয়ার সোডাও রয়েছে। কেয়ারটেকারকে জলদি ডেকে এই ব্যাগটা দে। লাঞ্চ আমিও করব।


পর্ব – ১০
-Civilizations are essentially about moving from one vacation to another with an intricate network of Economic pretensions filling up the gaps in between।

-বটে?
-বিলকুল।
-ছুটি শেষের মুখে এলেই তোমার অন্তরের ফিলসফির চুল্লিতে কেরোসিন পড়ে, তাই না?
-ছুটি শুরু করি পাহাড়ি সান্যাল হয়ে বুঝলি। মিহি দুরুস্ত মেজাজে গুনগুন করছি, সেন্স অফ হিউমর কে পালকের মত অন্যের গায়ে বুলিয়ে চলেছি; প্রতিটি মুহূর্ত যেন স্যুইট পিসেস অফ হেভেন। যেই ছুটি খতম হয়ে আসে, অমনি অফিসের চিন্তা মনের সমস্ত রস শুষে কমল মিত্র-ফাই করে দেয় রে।
-তুমি তাহলে বলতে চাইছ ছুটির শেষে ফুরফুরে মেজাজে থাকা চলবে না?
-বলতে চাইছি না, বলছি।

খতম পর্ব
টেবিল উপত্যকা জুড়ে ‘পেন্ডিং’ ফাইলের পাহাড়।
কুলুকুলু বয়ে চলেছে না পড়া ই-মেইলের নদী। নদী ঘেঁষা কালচে সবুজ রহস্য ঘেরা বস-জঙ্গল।
হিংস্র পশুদের গর্জন মাঝেমাঝেই ফালাফালা করে দিচ্ছে বুকের ভিতরের শীতল নৈঃশব্দ্য- “অমুক রিপোর্ট ভেজো, তমুক রিভিউয়ের জন্য পিপিটি বানাও”।
আলস্য ঝর্ণার মত বুক বেয়ে নেমে এসে কম্পিউটারে খোলা স্প্রেডশিটে ছড়িয়ে পড়ছে।
ইউ ক্যান টেক মি আউট অফ ছুটি, ইউ ক্যান নট টেক ছুটি আউট অফ মি। ইত্যাদি ইত্যাদি।

Comments

HolidayStory said…
No comment..ha ha.. you can view my site also www.holidaystory.in
Thanks
Ruma

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু