Skip to main content

পুজোর জোরে

- এই অদ্ভূত শঙ্কা আপনার মনে উদয় হল কেন দয়াশিব বাবু?

- শঙ্কা? শুধু শঙ্কা নয় ইন্সপেক্টরবাবু; আমি নিশ্চিত। 

- আপনি নিশ্চিত যে আপনাকে অনেক মানুষ পুজোর সময় ধর্ষন করার চেষ্টা করবে?

- আমি হান্ড্রেড পারসেন্ট নিশ্চিত। এবং সে'জন্যেই আপনাদের কাছে আবেদন নিয়ে এসেছি প্রটেকশনের জন্য।

- আপনার আশঙ্কার কারণটা এখনও জানা যায়নি, কাজেই সিকুউরিটি কমিট্‌ করার প্রশ্নই ওঠে না। 

- আমার ওপর ধর্ষনের চেষ্টা হবে এ পুজোয়, এ সহজ সত্যিটা আপনার চোখে কেন পড়ছে না আমি বুঝতে পারছি না ইন্সপেক্টরবাবু।

- ফের সেই এক কথা। আপনার কাছে কোন প্রমাণ আছে কী দয়াশিব বাবু?

- প্রমাণ তো আপনার চোখের সামনে জ্বলজ্বল করছে মশাই। 

- চোখের সামনে প্রমান? কই?

- ওই যে! আমার নামে। 

- আপনার নামে প্রমাণ রয়েছে যে আপনাকে এ পুজোয় কিছু মানুষ ধর্ষন করবে?

- স্পষ্ট, তাই নয় কী?

- হাউ? কী করে?

- আমার পুরো নাম দেখলেই টের পাবেন।

- পুরো নাম? আপনার? এইত্তো। দয়া শিব লাহা রায়। তো?

- জলের মত সহজ। ইনিশিয়াল্‌স দেখুন। এরপরেও বলছেন পুজোয় আমার শ্লীলতাহানি ঘটার কোন চান্স নেই?

- দয়া শিব লাহা রায়। ডি এস এল আর...সব্বনাশ!

**

- এবার পুজোয় কোথায় চললেন মশায়? পাহাড়ে না সমুদ্রে?

- দু'টোতেই আছি।

- দু'টোতেই? হাউ?

- ওই; থালাভরা পোলাওয়ের পাহাড়ে আর মাংসের ঝোলের বাটির সমুদ্রে।

Comments

malabika said…
দ্বিতীয় কণিকাটার জন্য - ব্রেভো
Anonymous said…
Hi,

My name is Gopika. I write to you to invite your support for #VivelPujoLove this year and bring cheer to the faces of not so privileged children during the Durga Puja festival.
ITC’s Vivel is trying to make a small difference by attempting to bring a smile on the innocent faces of these children with Vivel Pujo Love.

On 17th October, Vivel will take orphan children to experience the Puja celebrations like any other fortunate child in the city. Dev, Vivel’s brand ambassador, and Vivel will celebrate the onset of Pujo with these children by taking them around the city to see some of the best pujo pandals and by putting a smile on their faces. It will be a day of special delights with everything that Pujo is all about and especially pandal hopping – a day that will make this pujo the most special celebration of love.
To add to the festivities, this year we are also inviting social influencers to join us in giving encouragement to these children.

I would appreciate it if you could connect with me on gopika@millionscreens.com, so I can give you more details. Regards, Gopika
Anonymous said…
this is epic!

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু