- পুজো আসছে।
- চিরকাল তেমনটাই ঘটে ভাই।
- মানে?
- ডিসেম্বর মাসেও পুজো উলটো দিকে হেঁটে যায় না, এদিকেই এগিয়ে আসে।
- আই মীন, পুজো প্রায় এসে গেল আর কী।
- এসে যাওয়ার ডেফিনিশন কি?
- মানে ইয়ে, নেয়ার বাই।
- আমার আলিগড় পৌঁছেও মনে হয় দিল্লী বহুত দূর। ওদিকে সুভাষবাবুর বার্মায় এসে মনে হয়েছিল দিল্লীরর ছোলেকুলচের গন্ধ পাচ্ছেন।
- আমি বলতে চাইছি যে, বাতাসে একটা বেশ পুজো পুজো গন্ধ...।
- ইউ মীন, চারদিকে ঘেমো ভিড়ের গন্ধ?
- আরে উৎসবের মেজাজটা বেশ টের পাওয়া যাচ্ছে...।
- ইলিশের দাম কমেছে?
- কই! না তো! তা'তে কী?
- ইলিশের দাম আগুন, এরপরেও আপনারা উৎসবের কারণ খুঁজে পান?
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments