- নীল দানার মত যন্ত্রণা।
- নীল দানার মত?
- আজ্ঞে। স্পষ্ট দেখতে পেলাম। জ্বলজ্বল করছে নীল দানা।
- ঘুমোও।
- কিন্তু ওই নীল দানাটা?
- চকমকে নীল?
- চকমকে। তবে চোখ ধাঁধায় না। ফুঁড়ে দেয় না। মায়া আছে। নরম।
- তবে তো আচ্ছা মুশকিলে ফেললে দেখছি।
- মুশকিল?
- যন্ত্রণাটা বেদানার মত লাল দানায় দেখলে তাও হত। দিব্যি টিপ খুলে আয়নায় সেঁটে এসে তোমার সামনে বসতাম। তোমার স্বপ্ন থেকে বাড়ি ফিরে ফের কপালে লাগিয়ে নিলেই নিশ্চিন্দি। কিন্তু সিগারেট ঠুসে দেওয়া ফোস্কাটুকু ফেলে রেখে আসব কোথায়? আমার গয়নার বাক্সটাও যে আমার কাছে থাকে না!
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments