- এই যে বাঁহাতবাবু, শুনছেন!
- কী ব্যাপার? এত হল্লা করছেন কেন?
- সরি। দিব্যি টেবিলের উপর শুয়েছিলেন। আপনাকে ব্যতিব্যস্ত করতে একদম চাইনি। কিন্তু ব্যাপারটা এতটাই আর্জেন্ট..।
- আপনার পরিচয় জানতে পারি কি?
- আজ্ঞে আমি মগজচন্দ্র।
- অ। তা কী ব্যাপার?
- এমার্জেন্সি। ক্রাইসিস। আপনার সাহায্য দরকার।
- ব্যাপারটা কী শুনি!
- জ্ঞান। প্রচণ্ড জ্ঞান ফায়্যার হচ্ছে আমার দিকে।
- জ্ঞান?
- বোমার মত। মাছির বিরক্তিকর ভনভনের মত। হাড়ে ছুঁচ বেঁধানোর মত। ওই আমাদের সামনে যে মালটা বসে আছে; তখন থেকে জ্ঞান ঝেড়ে যাচ্ছেন মাইরি। হ্যান করা উচিৎ ত্যান বোঝা উচিৎ। ঘুরে ফিরে একটাই বক্তব্য ; আমি কত ডীপ তুমি কত গবেট। আমি মনুমেন্ট তুমি হাইড্রেন। আর নেওয়া যাচ্ছে না মাইরি। থাপ্পড় হয়ে উড়ে এসে ওর কলারবাবাজী টেনে ধরুন। প্লীজ।
- হিংসা? ভায়োলেন্স? নোংরা ব্যাপার তো।
- বাঁহাতবাবু, আপনি যদি কাজে পরিষ্কার ময়লা দেখেন তাহলে আমি কোথায় যাই।
- একটা উপায় আছে।
- কী রকম?
- আমি কড়ে আঙুল ফ্ল্যাশ করছি, আপনি পাবাবুদের বলুন নাচ বন্ধ করে সোজা বাথরুমের দিকে ছুটতে..।
- আর সে'খান থেকে পাখি যাবে উড়ে...ইউরেকা!
- ইউরেকা! এ'বার আসুন, আমি আমার কাজ করি।
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments