- ওয়েলকাম টু আফটার লাইফ।
- ধন্যবাদ, আপনিই কি...?
- আমিই। ইয়েস।
- হাউ এক্সাইটিং।
- এক্সাইটমেন্ট পরে, আগে একটা প্রশ্ন ছিল।
- কী প্রশ্ন?
- যা'র উত্তর সবাইকে দিতে হয় এ'দিকে এসে।
- প্রশ্নটা কী?
- আপনি ও'দিকে থাকতে কী কী দিয়ে এসেছেন?
- কী কী দিয়ে এসেছি?
- হ্যাঁ। বা বলা ভালো কতটা দিয়ে আসতে পেরেছেন?
- উম্ । লেট মি সী। লিস্টটা বেশ লম্বা। নব্বুই বছরে তো কম দিয়ে আসিনি..এই যেমন ধরুন..।
- জ্ঞান ছাড়া কী কী দিয়ে এসেছেন সে'গুলো বলবেন।
- কী ছাড়া?
- জ্ঞান। জ্ঞান বাদে আর কী কী দিয়ে আসতে পেরেছেন। সেই লিস্ট।
- অ।
- কই। বলুন।
- বলছিলাম যে, ইয়ে, আপনাদের এখানে টয়লেটটটা কোথায় আছে বলতে পারেন?
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments