Monday, December 21, 2015

জিনিয়াস ও দীপু



- মাঞ্জা ভালোই দিয়েছিস।
- টিটকিরি দিচ্ছ মামা?
- কম্পলিমেন্ট। জেনুইন।
- থ্যাঙ্কস।
- গরদের পাঞ্জাবীটার জাঁক আছে।
- বলছ?
- আলবাত আছে।
- গত পুজোর। মেজপিসি দিয়েছিল।
- কোলন?
- ওল্ড স্পাইস। বাবার।
- তবে সবটাই বোধ হয় জলে গেল রে।
- জ...জলে?
- অথৈ।
- কেন?
- সে। আসছে না।
- সে..সে মানে? কার কথা বলছ। তিন্নিদির বিয়ে। আমাদের কত কাজ। বরযাত্রী এসে পড়ল বলে। তাতে কে এল না এল...আমার কী?
- বটে?
- চলি।
- জলে। জলে।
- কী জলে?
- কোলন। গরদ। কোলাপুরি।
- ধ্যার।
- চ্যাটুজ্জেদের ছোটমেয়ে। তার জ্বর। এই মাত্র আমায় ফোন করেছিল। দু'দাগ হোমিওপ্যাথি চেয়ে।
- কি....জ্বর? তাতে ইয়ে...আমার কী?
- তোর কিছু হোক না হোক। তোর পকেটে যে নীল কাগজের চিঠিটা উঁকি মারছে সেটার আর কোন মানে থাকল না।
- না মানে...।
- গরদের ট্রান্সপারেন্ট নেচারটায় এই এক প্রবলেম।
- আসলে...। অ্যাকচুয়ালি...।
- বলছিলাম বরযাত্রী ব্যাপারটা না হয় আমিই ম্যানেজ করি। তুই বরং এ দু'টো ওষুধ দিয়ে আয়। দাগ লেখা আছে শিশির গায়ে।
- ইয়ে, মামা মানে...।
- যা ফোট।
- না মানে। দু'টো ওষুধ বললে...এটা তো একটা শিশি...।
- পকেটে নীল চিঠিখানাই তো মেইন দাওয়াই চাঁদু। শিশি তো দ্যাখনাই। দিয়ে এসো। চাঙ্গা হয়ে যাবে।
- না। মানে। আসি।
- আর শোন।
- কী?
- ডিসেম্বরের ঝিরি বৃষ্টিতে আর ভিজিস না। মেয়েটার ইমুউনিটি কম, তোর মত কুমিরে চামড়া নয়।
- আচ্ছা। আসি।
- আর শোন।
- কী?
- ওই শেল্ফের ওপরের নীল সুগন্ধি শিশি থেকে দু'ফোঁটা পাঞ্জাবীরর আস্তিনে ফেলে যা। আউধের জেনুইন নবাবী আতর।
- মামা, তুমি না...।
- প্রাচীন কোরিয়ান ভাষায় মামা মানে জিনিয়াস, সেটা জানা আছে তো?

No comments: