Skip to main content

সলমন্ত্র

ট্যুইটার স্ক্রীনশট আইডিয়া ঃ অভিষেক মুখার্জী


- এ ভাবে গাড়ি আটকানোর কী মানে?

- নেমে আসুন।
- মানে?
- নেমে আসুন।
- আচ্ছা মুশকিল!
- নেমে আসুন। আমি বসব ড্রাইভিং সীটে।
- হোয়াট ননসেন্স!!
- বেশি সেন্স খেলাবেন না স্যার। নেমে আসুন। আমি স্টিয়ারিং ধরি। আপনি পাশে বসে গুনগুন করুন; অ অউ জানে জানা। কাম অন।
- কিন্তু কেন?
- কারণ এ গাড়িটা এখন ফুটপাথে উঠে যাবে।
- হোয়াট?
- চার পাঁচটা কুকুরে প্রাণ খতম হয়ে যাবে। ক্যুইক।
- হোয়াট?
- আসুন। নেমে আসুন। আমি বসি স্টিয়ারিঙে। আপনি পাশে বসুন।
- এসবের মানে কী?
- আপনি প্রেমাবতার। আপনি মিথ্যে বললে দুনিয়া ব্যর্থ হবে হে মানবশ্রেষ্ঠ। কাজেই আপনি স্টিয়ারিং ছাড়ুন। আমি ধরি। হাওয়া কে সাথ সাথ, ঘটা কে সঙ্গ সঙ্গ, ও সাথি চল.....।
- আপনি কে?
- আমি? আমিইই যে এ দেশের ঝিঙ্কচ্যাক স্বপ্নের অন্তরাত্মা!
- অন্তরাত্মা?
- প্রাণ ভোমরা!
- প্রাণ ভোমরা?
- আলবাত।
- রিয়েলি?
- রিয়েলি।
- আপনি কে গুরু?
- আমি রাষ্ট্রযন্ত্রের লুব্রিক্যান্ট বস। রাজনীতির অক্সিজেন, তেলা মাথার তেল, আইনের শিবঠাকুর। আমিই সে।
- আপনিই?
- আমিই।
- নামটা যদি বলতেন..।
- শ্রী ভাঁওতাবাজেশ্বর। আসুন রাজপুত্র। স্টিয়ারিঙে বসান আমায়।
- আহা। মন্ত্রমুগ্ধ করলেন স্যার। আসুন স্যার। বসুন স্যার। সেবার রাজস্থানেও যদি থাকতেন...।
- ছিলাম তো। এ দেশে বটুয়াভারীদের লোকনাথ যে আমিই হে প্রেমকুমার। রণে, বনে, ফুটপাথে, রাজস্থানে; লিভ ইট অল টু দিস শর্মা; শ্রী ভাঁওতা।
- আসুন।
- হ্যাঁ চলুন তুরন্ত কাজ হাসিল করে এগোই। এক গায়কবাবুর আবার ফুটপাথিয়া কুকুরদের ঘুমের তাপে গায়ে ঘামাচি বেরোয়। সে ভারী জ্বালাতন। ক্যুইক। আর শুনুন, মিথ্যে বলা আপনার সাজেনা। ইন কুত্তা লোগোকে উপর গাড়ি উঠায়া কউন? আপনি?
- আমি না। ভাঁওতা।
- ব্রিলিয়ান্ট। পাশে বসুন। লেটস হিট দ্য রোড।
- মদের গন্ধ আসছ কেন ভাঁওতাবাবু?
- আপনার সেরিব্রামের বাইসেপ ফুলে পনি টেল হয়ে বেরোবার উপক্রম হয়েছে, এ তারই সুবাস। এবার ঢ্যামনা প্রশ্ন সিরিজ বন্ধ করুন। উই হ্যাভ অভাগাস টু হান্ট ডাউন।

Comments

Anonymous said…
অ-সা-ধা-র-ণ ....... বললেও কিছুই বলা হয় না।

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু