Skip to main content

ভাষা দিবসিও কথোপকথন


স্থান: 17 তলার একটি ফ্ল্যাট, দক্ষিণ কোলকাতা
কাল: ২১ ফেব্রুয়ারী
পাত্র-দ্বয়: পিতা, বয়স ৩৯, চাকুরে / পুত্র, বয়স ৭, ছাত্র
কাল্পনিক?: আদৌ নয়। পিতা'টির অনুরোধে নাম গুলি চেপে যাওয়া হলো।


পুত্র: হোয়াট ইস দিস ল্যাংগুয়েজ-ডে ড্যাড? এনি আইডিয়া?
পিতা: গেট আইডিয়া মাই সন!
পুত্র: হোয়াট?
পিতা: ইয়ে, ল্যাংগুয়েজ ডে মিন্স ভাষা দিবস, আই মিন দ্য ডে টু সেলিব্রেট ইওর ল্যাংগুয়েজ ডিয়ার সনি।

পুত্র :ও, মানে ইউ মিন, ফদার্স ডে-মাদার্স ডে লাইক ডে, তাই না ড্যাড?
পিতা: প্রিসাইসলি।
পুত্র: তো, ফাদার্স ডে'তে যদি তোমাকে কার্ড দি, হুম সুড আই প্রেজেন্ট আ কার্ড অন দিস ডে?
পিতা: ওয়েল সন, ইট্স আ নো-কার্ড ডে।ইট্স আ লেকচার কাম কালচারাল অনুষ্ঠান ডে।
পুত্র: ড্যাড, ইউ নো, সামটাইমস আই ডোন্ট গেট ইউ। এনিওয়েস, সো হোয়াই ডু উই সেলিব্রেট ল্যাংগুয়েজ ডে?
পিতা: বিকজ..বিকজ..ইউ সি, ওয়ান্স আপঅন এ টাইম, অন দিস ডে, উই ফট এ ব্যাটেল টু সেভ আওয়ার ল্যাংগুয়েজ।
পুত্র :ইউ ফট?
পিতা: মি? যা: শ্লা, নো নট মি বাট মাই পূর্ব-পুরুষেস ফট, আই মিন আওয়ার ফোরফাদার্স ফট ফর আওয়ার ল্যাংগুয়েজ। ভয়ানক ফাইট কিয়া, ফট টিল দে ডাইড, এ ফাটা-ফাটি যুদ্ধ ইট ওয়াজ!আই মিন
এ ভ্যালিয়াণ্ট ব্যাটেল ইট ওয়াজ!
পুত্র: ওয়াও, সাউণ্ড্স কুল ড্যাড, সো হোয়াট ল্যাংগুয়েজ ডিড উ ফাইট ফর?
পিতা: বাংলা, বাঙাল টু বি পৃসাইস! আহ আমাগো গরব আমাগো ভাষা, উফ্!
পুত্র: হোয়াট আর ইউ মাম্ব্লিংগ ড্যাড?
পিতা: হুম? , না, ওয়াস সেয়িং যে দে ফট ফর আওয়ার মাদার টাং, বেঙ্গলি!
পুত্র: ওয়াও, নাইস। বাট টেল মি ড্যাড, দে ডিড নট ফাইট টু ওয়েল, ডিড দে?
পিতা: সে কি রে ব্যাটা, হোয়াই ডু ইউ আস্ক দ্যাট?
পুত্র: কজ মাই মাদার টাং ইস বেঙ্গলি বাট আমি ভালো বেঙ্গলি বলতে পারেস না। ইন স্কুল মাই ফার্স্ট ল্যাংগুয়েজ ইস ইংলিশ এন্ড সেকণ্ড ল্যাংগুয়েজ ইস হিন্দী।
পিতা: ডোন্ট বদার সন, আই উইল টিচ ইউ গুড বাংলা, ডান?
পুত্র: ডান, বাট ড্যাড..ইউ রিয়ালি থিঙ্ক দ্যাট বেঙ্গলি ইস মাই মাদার টাং? কজ ইউ সি, মম কান্ট রিড বেঙ্গলি এণ্ড হার্ডলি এভার স্পিক্স ইন বেঙ্গলি। সি ওনলি স্পিক্স ইন বেঙ্গলি হোয়েন সি ইস এবিউসিং
ইউ, তাই না ড্যাড?
পিতা: গেস বেঙ্গলি ইস ইউর ফাদার টাং দেন।
পুত্র: নট ব্যাড, বাট হোয়াট কুড বি মই মাদার টাং দেন?
পিতা :খিস্তি! দ্যাট ইস ইউর মাদার টাং সন!
পুত্র: হোয়াট? হোয়াট ডিড ইউ জাষ্ট সে ড্যাড? হোয়াট স্তি?
পিতা: খি.. আহ ওয়েল, নেভার মাইন্ড, ইউ উইল নো হোয়েন ইউ ম্যারি। কাল থেকে আমি তোমায় বাংলা শেখাব।

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু