Skip to main content

ট্রাম্পদার মগজে


- হেইয্যো...ট্রাম্পদা...হেইয্যো...। 
- হু আর ইউ?
- ওহ হো, ইংরেজিতে কথা বলতে হবে তো। আজ্ঞে, আই অ্যাম তাপস সাহা। 
- ট্যাপাস?
- স্যাহা। যেয়াজ্ঞে। 
- হ্যাভ ইউ কিডন্যাপড মি?
- সে কী কথা! নো নো স্যার। হাউ ডু আই কিডন্যাপ? ইউ নাউ ইন ডীপ ঘুম...যাকে বলে ইজ ন্যাপিং লাইক আ কিড । আই অ্যাম অ্যাকসেসিং ইওর ব্রেন থ্রু তন্ত্র। 
- ইউ আর অ্যাকসেসিং হোয়াট?
- ইওর ব্রেন স্যার। লোকেট করা ওয়াজ ভেরি টাফ। বাট ফাইনালি আই কুড এস্টাবলিশ কনেকশন। তিন দিন ধরে সিগনাল পাঠাচ্ছি আর সিগনাল গোঁত্তা খেয়ে ওয়াপস আসছে। গেটিং নাগাল অফ ইওর ব্রেন ইজ ভেরি ভেরি টাফ। বাট ফাইনালি...।
- অ্যান্ড ইউ আর অ্যাকসেসিং মাই ব্রেন থ্রু...?
- আজ্ঞে, তন্ত্রযোগে।
- ট্যান্ট্রা ইয়োগা?
- ওই হল।
- ইজ দ্যাট সাম কাইন্ড অফ হোকাস পোকাস?
- হোকাস পোকাস ফর ইউ ডিয়ার পোটাস। টোটাল সাধনা ফর মি। ফাইভ ইয়ার্স স্পেন্ট অ্যাট তারাপীঠ শ্মশান স্যার। সাবসিকুয়েন্টলি থ্রি ইয়ার্স অ্যাট দ্য জঙ্গল ইনসাইড নেপাল। ভেরি ডীপ সাধনা; ইয়ে...ইংরেজিতে...স্যাঢ্যানা বোধ হয়...ইউ নো...। 
- ইউ আর আ ক্রেজি ফেলো...। 
- টু প্র্যাক্টিস তন্ত্র, অল্পস্বল্প ক্রেজিনেস ইস নেসেসারি স্যার। 
- সো ইফ আই আন্ডারস্ট্যান্ড করেক্টলি, ইউ আর ইনসাইড মাই হেড?
- হোয়াইল ইউ আর অ্যাস্লিপ; ইনসাইড এয়ারফোর্স ওয়ান- ফ্লাইং টু আমেরিকা, ফ্রম ইন্ডিয়া। 
- সো দিস ইজ আ ড্রীম?
- ড্রীম বলতে পারেন...ইউ ক্যান সে ড্রীম। বাট দিস ইজ সলিডার দ্যান ড্রীম। 
- হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট? ইউ ক্যান্ট হার্ট মী...আই হ্যাভ দ্য মোস্ট ডেঞ্জারাস আর্মি ইন দ্য হোল ওয়ার্ল্ড...। 
- দ্যাখো কাণ্ড। বলেন কী স্যার। আই উইল হার্ট? আই ডু নট ইভেন টাচ মসকিউটোস স্যর, আনলেস দে ডু রামত্যাঁদড়ামো। তা যা বলার জন্য এত কাঠখড় পোড়ানো...। 
- ইংলিশ প্লীজ...। 
- ওহ সরি। ইয়ে...হোয়াই আই বার্ন্ট সো মাচ উড অ্যান্ড স্ট্র টু রীচ ইওর ব্রেন...। 
- ইউ সিলি ইন্ডিয়ান...স্পীক ইন আ ল্যাঙ্গুয়েজ দ্যাট আই ক্যান আন্ডারস্ট্যান্ড...। 
- ক্লাস নাইন ফেল স্যার। দিস ইজ মাই হাইয়েস্ট ইংলিশ। 
- হোয়াট ডু ইউ ওয়ান্ট? 
- ওই...ওয়ান্টিং টু এস্টাব্লিশ কমিউনিকেশন উইথ ইয়োর ব্রেন স্যার...। 
- বাট হোয়াই? 
- টু কমিউনিকেট সামথিং প্রচণ্ড ক্রিটিকাল স্যার।
- কাম ক্লিন ট্যাপাস। আই অ্যাম দ্য প্রেসিডেন্ট, আই ডু নট হ্যাভ টাইম ফর অল দিস ট্যান্ট্রা ননসেন্স। 
- অত বাতেলা ভালো নয় সাহেব। অল দ্যাট বিগ বিগ টক ইজ নট গুড। যাক গে, অন বিহাফ অফ ইন্ডিয়ান সিভিলাইজেশন; আই হ্যাভ আ জরুরি ক্ল্যারিফিকেশন টু মেক। 
- ক্ল্যারিফিকেশন? 
- ইউ সী তাজ মহল? গুড। ইউ সী বস্তি ঢেকে দেওয়া দেওয়াল...আই মীন...ইয়ে...পুওর পিপল হাইডিং ওয়াল? ভেরি ভেরি গুড। ইউ কোকা কোলা, উই কোকা কোলা উইথ ইউ। কিন্তু সাহেব...ভেরি ভেরি বিগ স্ক্যান্ডাল হ্যাপেনড ট্রাম্পদাদা...। 
- স্ক্যান্ডাল ?
- শিঙাড়া বলে যেটা খেলেন সেটা কচু শিঙাড়া। আই মীন...দ্যাট সামোসা ইউ হ্যাড...দ্যাট ইজ ফেক সামোসা।
- আই হ্যাড ফেক সামোসা?
- ঘোর কলি ব্রো, ঘোর কলি। তাই ব্রোকলি দেওয়া সামোসা ইউ হ্যাড। 
- দ্যাট ইজ রাইট... আই হ্যাড সামোসা উইথ ব্রোকলি...। 
- দ্যাখো কাণ্ড, দ্যাখো। তাজ মহলকে তেজো মহালয়া বলুন নো প্রবলেম। কিন্তু এ কী অনাসৃষ্টি। আই মীন, হোয়াট ক্যালামিটি ইজ দিস। ইউ সি; ব্রোকলি ইন সামোসা ইস ঘোর সমস্যা; লাইক আমলকী ইন বার্গার স্যার বা ধরুন লাইক ব্রেনোলিয়া ইন কোকাকোলা বা লাইক নিম-বেগুন ইন কেএফসি বা...।
- আই ওয়াজ ফেড ফেক সামোসা?
- ঘোর কলি ব্রো, ঘোর কলি। তাও ভালো...আই মীন...থ্যাঙ্ক মা তারা দ্যাট ইউ ডিড নট ঈট ব্রকোলি বিরয়ানি...। দ্যাট উড হ্যাভ বিন আ মেগা ক্যালামিটি স্যার...। 
- সাম ডে আই উইল হ্যাভ আ প্রপার সামোসা ট্যাপাস! ইউ উইল সী। আই উইল মেক শিঙাড়া গ্রেট এগেইন।
- স্বপ্নে তো আর ফুলকপির শিঙাড়া খাওয়ানো যায়না স্যার। নয়ত নিজের হাতে খাওয়াতাম। কলিফ্লাওয়ার সামোসা আই মীন; অমন পবিত্র সুবাস নাকে গেলে নিজে নিজেকে ইম্পীচ করে দিতেন। বিশ্বাস করুন!

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু