- "খেলার পাতাটা দেবেন?", সোফার পিছনে বেঢপ কণ্ঠস্বর শুনে ঘুরে তাকালেন সুমনবাবু। দেখলেন একটা পাঁঠা বসে। সোফার পিছনে। বসে মানে ঠিক পাঁঠাসুলভ ভাবে বসে নয়। দিব্যি দেওয়ালে হেলান দিয়ে। পাঁঠাকে বাবু হয়ে বসতে বড় একটা দেখেননি সুমনবাবু। তবে অনেক কিছুই দেখেননি তিনি। গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, পরিষ্কার বাঙলায় খেলার পাতা চাওয়া পাঁঠা ইত্যাদি।
- "কী ব্যাপার? আপনি কে? এখানে কী ভাবে? আপনি কি সত্যিই পাঁঠা?"।
- "সামান্য খবরের কাগজ চেয়ে কী ঝামেলা হল বলুন। আমার বায়োডাটা চেয়ে বসলেন। বায়োডাটা অবিশ্যি ছিল না তা নয়, তবে খেয়ে নিয়েছি গতকাল"।
- "যাক গে, তাহলে ধরে নেওয়া যাক আপনি পাঁঠা। তা সোফার পিছনে এলেন কী করে?"।
- "ভূতের আবার বাছবিচার। সোফার পিছন, পিরামিডের ভিতরে পাতা তোষক, গোলপার্ক; সব সমান"।
- "আপনি ভূত?"।
- "নিজের পেট কে জিজ্ঞেস করুন। কড়াইটা এখনও ধোয়া হয়নি। সে'টা শুঁকে আসুন"।
- "অহ। সরি"।
- "সরির কী আছে? আজ রোববার তো"।
- "না মানে। আমি তো আনলাম দেড় কিলো মাত্র"।
- "তবু আপনার সোফার পিছনেই কেন এলাম, তাই তো? আপনি পাঁজরাটা আনলেন কিনা"।
- "রিয়েলি সরি"।
- "আবার বলে সরি। আরে এটাই তো সিস্টেম। ও নিয়ে ভাববেন না। অন দ্য ব্রাইটার সাইড, পাঁঠা ভূতের ভাষা যে বাংলা সে'টা আজ জানতে পারলাম"।
- "হ্যাঁ। সে'টা একটা চমৎকার ব্যাপার"।
- "যাক। তা দেবেন এবার? খেলার পাতাটা?"।
- "ক্রিকেট ফাইনালের ব্যাপার খোঁজ-টোজ নেবেন নাকি?"।
- "আরে না না। বাংলা খবরের কাগজ পড়ে ক্রিকেটের খবর নেব? তাহলেই হয়েছে। চিবিয়ে দেখতাম। ভূত হয়ে অ্যাপেটাইটটা ঠিক কী অবস্থায় আছে। আপনার কাগজের খেলার পাতাটারাও এক হিল্লে হত"।
- "ম্যাচ রিভিউটাই পড়ছিলাম। আর পাঁচ মিনিট দেবেন?"।
- "ওই কোপটার আগে পাঁচ মিনিট পেলে কার্ডবোর্ড বাক্সটা ভালো করে চিবিয়ে আসতে পারতাম"।
- "থাক থাক আর বলতে হবে না। এই যে। খেলার পাতা"।
Comments