Skip to main content

কন্সটিটিউশনাল

- প্রাইম মিনিস্টার। 
- ইয়েস বাবু!
- ওয়েল ডান। 
- ইউ আর কাইন্ড অ্যাস ইউসুয়াল।
- উই উইল মিস্‌ ইউ। 
- জানি। আমিও মিস্‌ করব। তোমাদের। এই অফিসটা। এই টেবিল। রোজ সন্ধ্যাবেলা বিজেন্দরের  প্যান্ট্রি থেকে আসা পকোড়া। 
- এই অফিস,টেবিল,পকোড়ার বাইরেও আপনি অনেকটা জুড়ে ছিলেন প্রাইম মিনিস্টার। ইউ লেড আ কান্ট্রি। 
- আই হ্যাভ নেভার বিন আ লিডার। 
- দ্যাট্‌স হোয়াট হেল্প্‌ড ইউ টু লিড ওয়েল। 
- আহ্‌ বাবু! আই উইল মিস ইওর পিঠ চাপড়ানি।
-  নিন। পকোড়া চলে এসেছে। 
- বিজেন্দরের মত যদি পাংচুয়াল হতে পারতাম বাবু। 
- ইউ হ্যাভ নেভার বিন আবাউট সিস্টেম পিএম। হলে এ সাফল্য আসত না। 
- সাফল্য? হবে হয়তো। 
- সাফল্য নয়? দেশে মানুষ খুনের সংখ্যা কয়েক বছরের মধ্যে অর্ধেক হয়ে গেল। সে'টা সাফল্য নয়?
- আহ্‌! আচ্ছা!
- ল্যান্ডমাইন ব্লাস্ট। মানব বোমা। ছুরি। বন্দুক। গলায় ব্লেড। টুঁটি টিপে দেওয়া। প্রতি মিনিটে কতজন যে খুন হত...। ইউ চেঞ্জড ইট অল। ধর্মের জন্য খুন, ইডিয়লজির জন্য খুন, বদলার জন্য খুন, মজার জন্য খুন, খুনের জন্য খুন। আহ। যন্ত্রণা। আপদ চুকেছে। 
- কে ভেবেছিল বল বাবু যে ক্যানিবালিজ্‌মকে কন্সটিটিউশনাল করে দেওয়ায় দেশে খুনের সংখ্যা অর্ধেকেরও কম হয়ে যাবে। কে ভেবেছিল?
- দূরদর্শিতা আপনার ছিল পিএম। 
- খাওয়ার জন্যে খুন করতে পারলে অন্য গবেট খুনগুলো বন্ধ হবে। হাঞ্চ ছিল। তবে তা এমন ফলে যাবে ভাবতে পারিনি। 
- পকোড়া ঠাণ্ডা হয়ে যাবে স্যার। আজকেরটা বিজেন্দ্রর স্পেশ্যাল রেসিপি। ফেয়ারওয়েল পকোড়া।
- তা সে এলো না আজ পকোড়ার প্লেট হাতে?
- স্পেশ্যাল পকোড়া প্রাইমমিনিস্টার। মোস্ট স্পেশ্যাল। বিজেন্দ্র আর আসবে না। কাসুন্দি নেবেন?

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু