Friday, March 11, 2016

নিউটন

- গল্পটা ঠিক সাজানো হচ্ছে না। প্লট ঠিক দানা বাঁধছে না।
- উলটো ভাবে সাজালে কেমন হয়?
- উলটো? কী'রকম?
- এই ধরুন যদি টিভিগ্র‍্যা উলটো হয়?
- মানে? সে'টা কীরকম?
- মানে সবকিছু একে অপরকে কাছে টানবে।
- ধুস। এটা কোন কনসেপ্ট হল?  এর মানে আমরা কথা বলব এক জায়গায় বসে? মহাকাশে সমস্তটাই ছড়িয়ে যাবে না? খুন করে ফেলা একটা মহাজাগতিক ডিসিপ্লিন প্রপোজ করছ?
- আপত্তি কোথায়? সমস্তটাই তো কল্পনা বিস্তার।
- তবু তার একটা বেসিস থাকবে তো।
- কোনদিন যা চিন্তার পরিসরে আসেনি, তা কল্পনায় উড়ে এলেও আমরা ত্রস্ত হয়ে পড়ব?
- কিন্তু এ যে বিদঘুটে! ব্রহ্মাণ্ড জুড়ে একে অপরকে টানছে..টিভিগ্র‍্যা উলটো খাতে বইছে। ডিসিপ্লিন। চাপিয়ে দেওয়া ইকুইলিব্রিয়াম। এ হয় কী করে? সৃষ্টির ব্লু প্রিন্ট পাল্টাতে হয় যে।
- ভয়?
- ঠিক তা নয়। তবে কাছে টানা যে বড় বিদঘুটে ফেনোমেনা হে। গ্রহ তারা ফারা না হয় জমাটি টিকে গেল। কিন্তু প্রাণ দেব কী ভাবে? মানুষ দেব কী ভাবে? ছিটকে দূরে যাওয়াটাই নিয়ম না হলে মানুষ ইকুইলিব্রিয়ামে ধ্বংস হবে না?
- সলিউশন আছে।
- সলিউশন?
- ওই। টিভিগ্র‍্যা যদি পালটে খেলায় মজা আনতে চান; তাহলে স্মৃতিভার দিন মানুষকে। স্মৃতিভারে ন্যুব্জ করুন তাকে। দুনিয়া টিকে যাবে। ডিসিপ্লিনের আড়ালেও জমাটি হবে। মানুষ পারবে। শুধু স্মৃতিভারটুকু দিন...।
- টিভিগ্র‍্যা উলটে দেব?
- দিতেই হবে।

***

চমৎকার স্বপ্ন বেমক্কা ভাঙলে বিরক্তি লাগেই। পড়বি তো পড় এক্কেবারে মাথায়!
গাছের তলায় দু'দণ্ড সোয়াস্তিতে বসার যো নেই।

গজরগজর করতে করতে মাটিতে পড়ে থাকা লাল টুকটুকে নিউটন ফলটা কুড়িয়ে নিজের পকেটে রাখলেন আপেলকুমার।

No comments: