Skip to main content

বাজেটের বাজে গল্প

-   বাজেট! ধ্যার ছাই। কী হিসেব করব? চাদ্দিকে শুধু নেই আর নেই। ডেফিসিটের বন্যা।
-   নেই তাই খাচ্ছ অর্থমন্ত্রী, থাকলে কোথায় পেতে?
-   দেশের নেতা হয়ে ছোলা ভাজা খাচ্ছেন আর এই এ’সব ফালতু বাত ঝাড়ছেন! গা পিত্তি পেট্রোল জ্বলা জ্বলছে।
-   আরে চটছ কেন? পকেটে আছে বত্রিশ টাকা। খরচ করতে হবে এক লাখ বাহান্ন হাজার দুশো ঊনপঞ্চাশ। এ’টুকুই তো?
-   চাষা আছে। যুদ্ধ আছে। কম চিন্তা?
-   আরে ও হবে হবে। থোড় বড়ি খাড়া। খাড়া বড়ি ডেফিসিট। ও হয়ে যাবে।
-   ফের এমন হাওয়ায় কথা কইছেন স্যার? কাল পার্লামেন্টে কাছাটা তো আমার খুলবে। আপনি তো গালে হাত দিয়ে বেরিয়ে যাবেন। ধুর।
-   এত টেনশন কীসের রে বাবা! পিছনে নেই চাম, রাধাকেষ্টর নাম। আর অত ভেবে কিস্যু হবে না। এই নাও। চাট্টি ছোলাভাজা।
-   কিস্যু হবে না?
-   আরে কিছু নেই যখন তখন কিছু হবে কী করে?
-   তাও তো ঠিক।
-   আরে শোন। এই না থাকার চেয়ে বড় প্রেম আর হয় না।
-   ধ্যার। আপনি ছোলা খান। আমি আগডুম বাগডুম যা হোক কিছু একটা খাড়া করে ঘুমোতে যাই। অপোজিশন এমনিতে চাবকাবে অমনিতেও বিছুটি ঘষবে।
-   তুমি ভারী নেগেটিভ হয়ে যাচ্ছ অর্থমন্ত্রী।
-   এই দেখ! সবই তো নেগেটিভ। ব্যালেন্স অফ পেমেন্ট, ইকনমিক গ্রোথ, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্রোথ...।
-   আরে থাম থাম থাম। দাঁড়াও। প্রেমটা সহজে বুঝিয়ে বলি। নাও ছোলা নাও। আহ! নাও। চোয়াল শক্ত হলে কলজে মজবুত হয়।
-   যত বাজে কথা। তবে দিন। খাই।
-   শোন। যা বলছিলাম। এই যে জিডিপি দেখছ, এ হল লাবণ্য। আর তুমি...বুঝলে...।
-   আমি অমিত রায়, তাই তো?
-   এইত্তো ঠিক ধরেছ। আর এই বড় বড় না থাকাগুলোই তো রোম্যান্স।প্রেম। স্নেহ।
-   না থাকাটা রোম্যান্স? রাজকোষে পায়রা বাসা বাঁধছে, সে’টা রোম্যান্স?
-   আলবাত। সেই ফাঁকটাই তো তোমায় নিজের কাব্যি দিয়ে ভরতে হবে বাবা অর্থমন্ত্রী।
-   বাজেটে? কবিতা?
-   নয়তো আর বলছি কেন!
-   বেশ। তাহলে এবার বাজেটের নাম দিই শেষের কবিতা।
-   তাই করতে হবে। সেই নামই দাও। সমস্যা তাতেই মিটবে। বুঝলে হে অর্থমন্ত্রী? এ বাজেটের নাম দাও Cessয়ের কবিতা। কেমন?

Comments

Unknown said…
Pagol korle maa

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু