Skip to main content

ডেট

- অপ্টিমিজম একটা অসুখ।
- ব্যারাম তোমার মাথায় শুভ্র।  উফ।
- কী এমন ভুল বলেছি?
-  অপ্টিমিজম অসুখ? আশাবাদী হওয়া অসুস্থতার লক্ষণ? অপরাধ?
- অপরাধ আমি বলিনি মিতা। ডেলিরিয়াস হওয়াটা অপরাধ নয়।
- শুভ্র। প্লিজ। গো।
- তোমার ডেট এখনও এসে পৌঁছায়নি।  রিল্যাক্স। আর পার্ক স্ট্রিটে যে জ্যাম দেখলাম ওর আসতে মিনিমাম আরও আধ ঘণ্টা।
- অনিকেত তোমায় দেখলে তোমার চোয়াল ফাটিয়ে দেবে।
- এ জন্যেই আমি অবাক হয়ে যাই। তুমি মিলটন ভক্ত। আর তুমি প্রেম করছ এমন একজনের সাথে যার স্ট্যান্ডার্ড এক্সপ্রেশন অফ প্রটেস্ট হচ্ছে চোয়াল ফাটানো ঘুষি। তবে ইন আ ওয়ে ইউ কনফর্ম টু মাই থিওরি।
- প্রথমত। আমার ফিয়ন্সের ব্যাপারে ননসেন্স শুনতে আমি রাজী নই। দ্বিতীয়ত, কোন থিওরি?
- যে লাইফ হ্যাস নাথিং পসিটিভ টু অফার। জীবন মানেই অন্ধকারে ড্রেনের পাশে বসে মিইয়ে যাওয়া মুড়ি পচা রসগোল্লার রসে মেখে খাওয়া।
- শুভ্র। শাট আপ। ইউ আর ডিসগাস্টিং।
- আমি ডিসগাস্টিং? আমি? তোমায় চোখে আঙুল দিয়ে দেখানো সত্যিগুলো বলি বলে ডিসগাস্টিং?
- তুমি উঠবে না আমি ওয়েটারকে ডেকে কমপ্লেন করব?
- ওয়েটারকে ডাকতেই হলে আমার জন্য একটা পেগ বলে দাও। ওয়ান ফর দ্য রোড।
- ইউ আর টু মাচ।
- পৃথিবীটা শেমফুলি হোপলেস। সে'টা মানতে তোমার অসুবিধে কোথায়? নিজেকে ঠকাতে এত ভালোবাসো কেন?
- কারণ পৃথিবীতে আশা আছে। ইটস বিউটিফুল।
- টেল মি ওয়ান গুড রিজন।
- বিকজ দেয়ার আর গুড পিপল।
- গুড পিপল? আলাইভ? আর ইউ কিডিং মি??
- অফ কোর্স দেয়ার। আর গুড পিপল।
- উই আর অল থাগস। অনিকেতকে বেঞ্চমার্ক করে কারুর প্রশংসা করতে যেওনা। অন অ্যান অ্যাভারেজ, উই আর হারামি টু দি পাওয়ার ইনফিনিটি। ইনফ্যাক্ট দ্যাট ইজ হাউ ইকনমিজ ওয়র্ক। প্রত্যেকটা মানুষ ধান্দাবাজ, এই বেসিক প্রিন্সিপ্যালে ভর করে অর্থনীতি চলছে।
- একসময় তোমায় পলিটিক্যালি অ্যাওয়ার ভাবতাম। তুমি যে এতটা নচ্ছার...।
- পলিটিক্স? কে আছে? কোন পলিটিকাল ইডিওলজি মাথায় কাঁঠাল না ভেঙে সার্ভাইভ করছে? দেশেই দেখো না। বিজেপি টু কঙ্গ্রেস টু তৃণ টু কম্যুনিস্টস; সবাই ফ্রিঞ্জ বেনেফিটস আর রেটোরিক ছুঁড়ে নিজেদের ল্যাক অফ ফারসাইটকে ঢাকছে।। আদ্দামড়াদের দল; অথচ কারুর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ওপর সাসটেনেবল পলিসি আছে? সমস্ত ফ্রিঞ্জ ইস্যু নিয়ে লাফালাফি। শেমফুল।
- আর্ট?
- আহ। আর্ট। একটা স্পেশি পলিটিক্যালি সুইসাইড করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ,  তাদের থেকে তুমি আর্ট এক্সপেক্ট করছ? আর্ট দ্যাট উইল ট্র‍্যান্সেড টাইম? অন্তত বাঙালি হয়ে এ সময়ে আর্টের বড়াই করতে এসো না। এক্সেপশন কোট করে ভয়েডকে ডিফেন্ড করতে যেও না।
- তুমি বলছ বাঙালির শিল্প সাহিত্য কিস্যু নেই?
- ছিল। কিন্তু বর্তমান ডায়রেকশনটা সুইসাইডাল, বলছি তো। অবশ্য খোরাক বনে যাওয়ার যুগ, শুধু বাঙালি কেন; কেউই আর পিছিয়ে থাকবে না।
- তাহলে এই বস্তাপচা দুনিয়ায় তুমি বেঁচে আছো কেন শুভ্র?  সুইসাইড করছ না কেন?
- কারণ আমি সুইসাইড করলে দুনিয়ার অ্যাভারেজ আইকিউ সামান্য হলেও কমে যাবে।
- শুভ্র। জাস্ট গো অ্যান্ড ডাই। অনিকেত ঢুকলো বলে। প্লীজ।
- এই। এই হচ্ছে কারণ আমার সুইসাইড না করার, খামোখা দুনিয়ায় অনিকেতদের প্রপোরশন বাড়িয়ে দিয়ে কী লাভ?
- হে ভগবান। আই ফিল লাইক কিলিং মাইসেল্ফ নাও।গশ! শুভ্র! ইউ আর সো ফ্রিকিং নেগেটিভ।
- রিয়েলিস্ট ইজ দ্য ওয়ার্ড। আর এ দুনিয়া এতটা জঞ্জালপূর্ণ যে প্রতেকটা বুদ্ধিমান মানুষেরই মনে হওয়া উচিৎ যে মরে যাওয়াই ভালো। তবে ওই, তুমি সুইসাইড করলেও এ দুনিয়ায় বুদ্ধিমান মানুষদের প্রপোরশন কমে যাবে। তোমার অনিকেতদের পোয়াবারো হবে। ওহ, এটা খেয়াল করে দেখেছো কি যে বোকাদের মনে বাড়তি ফুর্তি থাকে? টেক অনিকেত ফর এগগজ্যাম্পল...।
- উফফফ। মা গো!
- একটা সলিউশন আছে।
- কী সলিউশন শুভ্র? প্লীজ টেল মি।
- দু'জনে মিলে সুইসাইড করি চলো। ঢাকুরিয়ায় আমাদের ফ্ল্যাটের পাশেই রেললাইন। সেখানে একটা ফ্যান্টাসটিক স্পট দেখা আছে আমার। রাত পৌনে বারোটা নাগাদ একটা ট্রেন যায়। এখনও ট্যাক্সি নিলে কচুকাটা হতে অসুবিধে নেই।
- দু'জনেই সুইসাইড করলে দুনিয়ার অ্যাভারেজ আইকিউ কোথায় গিয়ে নামবে ভেবেছো?
- মিতা। যে দুনিয়ায় আমি তুমি  দুজনেই নেই, সে দুনিয়াটা থিওরেটিকালি অ্যাবসার্ড। আমরা দু'জনেই সরে পড়লে জেনো এ দুনিয়ার দুনিয়াত্বও গায়েব হয়ে যাবে। তখন বুদ্ধিমান আর বোকাপাঁঠায় ফারাক থাকবে না।
- অনিকেত টেক্সট করেছে, পাঁচ মিনিটে ঢুকছে।
- বেশ। আমি উঠলাম।
- শুভ্র। সুইসাইড স্পটটা, আজ অ্যাভেলবল আছে?
- হুঁ?
- এখন ট্যাক্সি নিলে, সুইসাইড স্পটে রাত পৌনে বারোটার মধ্যে পৌঁছতে পারবো না, তাই না শুভ্রবাবু?
- একান্তই দেরী হয়ে গেলেও চিন্তা নেই, আমার ফ্ল্যাট খালি পড়ে রয়েছে। আজ রাতটা না হয় জিরিয়ে নেবে'খন। আমি রুটি তড়কা প্যাক করিয়ে আনবো। ডিম তড়কা। মাখন দেওয়া। তাছাড়া ফ্রিজে জলভরা রয়েছে।
- ইউ আর ডিসগাস্টিং শুভ্র।
- সো ইজ দ্য ওয়ার্ল্ড।
- লেটস গো।
- ক্যুইক।

Comments

Nilanjan said…
চকমৎকার, চমৎকার!

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু