Skip to main content

ডিস্টার্বেন্স

- ইউ সি।গণতন্ত্র গরম ফুলকো লুচি য্যায়সা অমূল্য হ্যায়। তবে উয়ো লুচি আধুনিক ভারতবর্ষ কা প্লেট মে সিরিফ দুর্নীতি কা আলকাতরা ইয়া ধর্ম-জাতপাত কা কাদা মে চুবিয়ে খা সকতা হ্যায়। এখন চয়েজ ইজ ইওর্স। আলকাতরা খানে কা না কাদা চাটনে কা।

- বঙ্গালি বাবু, ইতনা পেসিমিস্ট কিউ?

- রোববার রাত হ্যায় ভাইটি। বাটি চচ্চড়ি অ্যান্ড পেসিমিজম ইজ দ্য নর্ম।

- হা হা, বঢিয়া বোলা ইয়ে আপ।

- বঙ্গালি হ্যায় স্যার। বঢিয়া না বোলনে সে বঢিয়া করনা পঢেগা। উয়ো জিয়াদা ডিফিকাল্ট।

- কিউ? বঙ্গালি ভি শের আছে। ট্যাগোর কোরলেন। স্যাটয়াজিট কোরলেন। বঙ্গালি ভি কোরে।

- স্যাটিয়াজিট? ট্যাগোর? আরে ওরা বাঙালি নহি হ্যায় রে বাবা। ওসব লোগ মানুষ হ্যায়।

- মানুষ আছে? ফির আপ কেয়া?

- হম? হম বংগালি হায়। বোলা তো। মিউচুয়ালি এক্সক্লুসিভ সেট হ্যায় স্যার। ট্যাগোর ফর্মুলা দেকে গয়া থা।

- বহোত কনফিউজ করতে হ্যায় আপ জী।

- এগজ্যাক্টলি।

- এগজ্যাক্টলি কেয়া?

- কনফিউজ করকে অন্যের দিমাগের ফিউজ উড়িয়ে দেনা। দ্যাট ইজ দ্য ইউএসপি। উই আর মেন অফ কবিতাজ ইউ সি। ব্যালান্স শিট ইজ ইমোশনাল কুলিগিরি ফর আস।

- কভিতা কনফিউশন হ্যায়?

- মডার্নিজম কা ডেফিনিশন পতা হ্যায় স্যার?

- বতাইয়ে।

- কবিতাকে সলিউশন মে, ড্রপার লেকে ফোঁটা ফোঁটা কনফিউশন কবিতা মে ডালনে কা। দ্যাট মাই ফ্রেন্ড ইজ মডার্নিজম। সমঝলেন?

- আপ লুচি খাইয়ে জী। ডিস্টার্ব করকে গলতি কিয়া ম্যায়নে।

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু