Thursday, April 23, 2015

উৎসব

উৎসব। হুল্লোড়। খানাপিনা। গান বাজনা। আনন্দধারা বয়ে চলেছে। 

দামী পোশাকের খসখস, শানিত সামাজিক গল্পগুজব আর হাসি ঠাট্টায় চনমনে অনুষ্ঠানি হাওয়া। হঠাৎ সমস্ত কিছু থেমে গেল যখন কারুর একটা নজর গেলে দরজার ও পাশে কুঁকড়ে দাঁড়িয়ে থাকা একজনের দিকে। 

ক্রমশ সক্কলের নজর তার ওপর গিয়ে পড়লো। ছেঁড়া ময়লা বিশ্রী একটা জামা, আধ ফাটা ততোধিক নোংরা প্যান্টালুন। ঢুলুঢুলু লাল চোখ, মাথায় ঘেন্নার জটা। হাতে, মুখে বোধ হয় বহুদিনের না ধোয়া ময়লা। উৎসবের মেজাজ সঙ্গে সঙ্গে হারিয়ে গেল। ঘরময় ফিসফাস। বিরক্তির একটা স্রোত বয়ে গেল যেন। 

নোংরা লোকটা আরও কুঁকড়ে এলো। 

- "অ্যাই ছোটলোক, তুম ইধার কেয়া করতা?" উৎসবের হোতারা হেঁকে উঠলে।
- "না মানে...আমি ভাবলাম..যাই একটু ঘুরে আসি...", নোংরা লোকটা ভয়ে ভয়ে দু'পা পিছিয়ে গেলে।
- "যাই একটু ঘুরে আসি মানে? এখানে আসার অধিকার কে দিয়েছে তোমায় চাঁদু?", হোতারা আগুন হয়ে গর্জে উঠলে। 
- "না মানে। আমিও তো আপনাদেরই একজন। এটা তো আমাদের উৎসব, আমারও উৎসব " লোকটার গলা কাঁপছিল।
-" হা হা হা হা হা...এ ব্যাটা নাকি আমাদের একজন...এ উৎসব নাকি ওরও। বেওকুফ...হা হা হা হা হা"।
-"আমি আপনাদেরই একজন তো, আমাকে তো ততটাই লোকে যায় যতটা আপনাদের চায়..."
-"হা হা হা হা হা...ব্যাটাচ্ছেলে তোর এত বড় সাহস? রাস্কেল কোথাকার। নিকাল যাও। অ্যাই দরোয়ান, ভাগাও ইসকো হিয়াসে। শুনে রাখ। আজ আমাদের নিয়ে উৎসব, আমরা অর্থাৎ বইরা...। আজ বই দিবস...এ উৎসব বই দিবসের উৎস... তাই আমরা বইরা আজ জড়ো হয়ে হুল্লোড় করছি...তুই এখানে আসিস কোন সাহসে?"
-"বা রে...আমিও তো বই...লোকে তো আমাকেও পড়ে..."
-"ভাগ ভাগ...ছোটলোক কোথাকার...কে বলেছে তুই বই? তুই চটি। তুই চটি। তুই চটি। তুই বই না! সাত জন্মেও তুই বই হবি না। দে ব্যাটাকে পিছনে ক্যাঁক করে দু'ঘা দিয়ে বের করে দে। চটির বাচ্চা বই হতে এসেছে। ভাগা ব্যাটাকে"। 

*চটির বিদায় ও কেতাবি বইদের "হ্যাপি বই দিবস" বলে স্বস্তিসূচক হাই ফাইভ* 

নেশা





-   প্রযুক্তিই আমাদের খেয়ে ফেললে গিন্নী।

-   বুঝি গো, ছেলেটাকে নিয়ে তুমি বড় বিরক্ত হয়ে পড়ছ আজকাল।

-   বিরক্ত হব না? অমন ঠ্যাঁটা ছেলে আমাদের যুগে পয়দা হলে বাপ মা চাবকে সোজা করে নিতে। তবে আজকালকার ব্যাপারস্যাপার আলাদা। বাপ হয়েছি কিন্তু মেজাজ দেখানোর কোন উপায় নেই। ধুস।

-   এত রাগছো কেন গো!

-   রাগবো না? গোটা দিন ওই গা পিত্তি জালিয়ে দেওয়া পুঁচকে বোকা বাক্স মাফিক ব্যাপারটায় মুখ গুঁজে পরে আছে। খাওয়ার সময়, শোয়ার সময়, সর্বক্ষণ মুখের সামনে ওই একই জিনিষ খুঁড়োর কলের মত ঝুলছে। বাপ মায়ের সঙ্গে দু’টো কথা বলবে সে সময় পর্যন্ত নেই। এ বয়েসের ছেলে বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে মিলে দুদণ্ড হই হই করবে;  ব্যাটার সে সুযোগ পর্যন্ত নেই। অসামাজিক হয়ে পড়েছে ব্যাটাচ্ছেলে।

-   আমারও কি চিন্তা হয় না। ছেলের যেন আমাদের সাথে কোন সম্পর্কই নেই গো। গোটা দিন বসে আছে মুখ গুঁজে। তবে এ যে যুগের হাওয়া। ওর বয়েসি সব ছেলেমেয়ের কাছে ওই একই জিনিষ। বাড়ন্ত বয়েসের ছেলে, খেলাধুলোর দিকে ঝোঁক নেই। শুধু ওই এক নেশা। কিছু বললে বলে, আধুনিক যুগে নাকি শেখার শ্রেষ্ঠ উপায় ওই পোড়া জিনিষটাই।

-   আমাদের সময় আমরা প্রকৃতির কাছ থেকে শিখেছি, মানুষের কাছ থেকে শিখেছি। শুধু চোখের দেখা নয়, কানে শুনেছি, ছুঁয়ে দেখেছি দুনিয়াটা। সমাজের একজন হয়ে সমস্ত কিছু চিনেছি, জেনেছি, বুঝেছি। প্রযুক্তির হাতে পেষাই হয়ে সে সব প্রাকৃতিক আর সামাজিক যোগাযোগগুলো এমন ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে তা কোনদিন ভাবিনি গিন্নী। মানুষ আজকাল এই পুঁচকে নিষ্প্রাণ বোকা ডিবেগুলো উল্টে পাল্টে শিক্ষা পেতে চায়, আনন্দ পেতে চায়। সে শিক্ষার মূল্যই বা কোথায়, সে আনন্দের গভীরতাই বা কোথায়! তুমিই বলো গিন্নী।

-   কী আর করবে বলো, যুগের হাওয়া। আমাদেরই মানিয়ে নিতে হবে নিজেদের।

-   ধুত্তোর ছাই। প্রযুক্তিই সর্বনাশ করবে আমাদের দেখো।

-   কী নাম যেন সেই মুখপোড়ার? সেই ঘুঁটে না গুটে কী যেন...যে এই পোড়ামুখো আবিষ্কার করলে।

-   সত্যিই। গুটেনবার্গ যে কী সর্বনাশই করলে ছাপাখানা তৈরি করে আর এই বইয়ের উৎপাত শুরু করে। এই ক’বছর আগে পর্যন্ত কটা লোক পড়তে পারত? পুঁথি-টুথি যোগাড় করা চাট্টি খানি কথা ছিল না। এখন দেখ অলিতে গলিতে বইয়ের দোকান। সস্তা যত বই ঘুরছে রাম শাম যদু মদু সক্কলের হাতে। গণিতের বই, রান্নার বই, গল্পের বই। গা পিত্তি জ্বলে যায় গো। আমাদের ছেলেটাও বইয়ের পোকা হয়ে পড়লো শেষে। সমস্ত ছেলেপিলে ছোকরা বইয়ের খপ্পরে পরে বখে গেল গো। খোকাটাকে এই পোড়া বইয়ের নেশাই ডুবিয়ে ছাড়বে।  

      

*ইয়ে, বই দিবসের শুভেচ্ছা*

Wednesday, April 22, 2015

সিধু

-হ্যালো।

-কেমন আছো সিধু।

-আরে অজিত, কী ব্যাপার। এতদিন পর মনে পড়লো?

-ভুলি কী করে বলো।

-একদিন এসো এ পাড়ায়।

-আসবো। তা তোমার স্যাঙ্গাৎটি কেমন আছে?

-কে ফেলু? ব্রাইট চ্যাপ। বেশ কয়েকটা কেস যেভাবে সামলেছে,তারিফ করতেই হয়।

-মার্গ-দর্শনে তোমার ভূমিকা তো রয়েইছে সিধু। খবর তো তাই বলছে।

-ভূমিকা সামান্যই। 

-তবে সিধু যাই বলো। তোমার ওই ফেলু ব্রাইট হতে পারে। তোমার মত ধুরন্ধর কী?

-সন্দেহ করছো?

-তুমিও যে গোয়েন্দা হিসেবে...
..
-সে সব থাক অজিত। আর কেন। ফেলু আমার এনসাইক্লোপিডিয়া পরিচয়টুকু নিয়েই থাক। তাছাড়া ওকে দোষ দিই কী করে বলো অজিত। আমার কেসগুলো নিয়ে তুমি পত্রিকাতে যে সব গোয়েন্দাগল্প ফেঁদেছ এক সময়, সে সব ঘটনার সময়কাল সামান্য পাল্টে দিয়েছ। এমন কি সেখানে আমার নিজের নামটাও তো আর ব্যবহার করনি।

-পত্রপত্রিকা কী বলছো। তোমায় নিয়ে লেখা গল্পগুলো নিয়ে বেরোনো বইয়ের রয়্যালটিতে দিব্যি আমার মেস খরচ চলে গিয়েও ব্যাঙ্কে দু'পয়সা জমছে। আর নাম পাল্টে গপ্প ফাঁদার আইডিয়াটা যে তোমারই সত্যান্বেষীবাবু।

-হ্যাঁ। অন্তত শান্তিতে শেষ দিনগুলো কাটছে অজিত। ফেলু নামের লেস্ট্রাড কে পেয়েছি, ভালোই কাটছে দিন। তবে এই সত্যান্বেষী শর্মার মিথ্যে নামটা বাঘা রেখেছিলে ভাই অজিত...।

বাঙালির প্রেম

-   বাঙালির প্রেম?
-   ইয়েস।
-   এই নিয়ে তোকে লিখতে বলছে পচা?
-   ফরমাইস এসেছে মামা। ফ্রম আ বিগ মিডিয়া গ্রুপ।
-   ইংরেজিতে? 
-   ইয়েস। অল ইন্ডিয়া ক্রাউড ক্যাপচার করতে হবে। বাঙালিজ্‌ম নিয়ে আজকাল ন্যাশনাল লেভেলে বেশ একটা ইয়ে আছে কি না।
-   ইয়ে আছে মানে?
-   কিউরিওসিটি। ইন্টারেস্ট।
-   বটে?
-   আলবাত।
-   বাঙালির প্রেম আবার কী রে পচা? ছো:। ওসব লেখা ছাড়। বরং অ্যাক্রস্‌ দ্য বেঙ্গল আলু সেদ্ধর ভ্যারিয়েসন নিয়ে রিসার্চ করে একটা কিছু জমাটি করে লেখ দেখি।
-   আরে। মালগুলো চেয়েছে বাঙালির প্রেম নিয়ে লেখা। আমি লিখবো আলু সেদ্ধ নিয়ে?
-   অফ কোর্স। আলুসিদ্ধ দিয়ে বাঙালির চরিত্র ঢের ভালো চেনা যায় দ্যান প্রেম।
-   তুমি না মামা! 
-   আমি ছিলাম বলে তোকে এসব স্ক্যান্ড্যাল থেকে বাঁচিয়ে দিই। ছাড় ছাড়। বাঙালির প্রেম নিয়ে লিখবে। বাঙালির কি লেজ আছে না এক্সট্রা কলজে আছে যে তাদের প্রেমের ধরন আলাদা হবে?
-   বাঃ রে! তুমি তো কত হাবুডুবু খাও নলবনে প্রেম, শেষের কবিতা নিয়ে। দেলখোশার কেবিনে মামীর সাথে দেখা করা আর ফিশ কবিরাজি নিয়ে কত গপ্প বলো। সেগুলোই তো বাঙালি প্রেমের অ্যাপিল!
-   শাট আপ পচা। নলবন কী বাঙালি? পৃথিবীর অন্য কোন প্রান্তে কী কেউ পার্কে বসে দহরমমহরম করছে না? তামিলনাড়ুতে রেস্টুরেন্টে বসে কেউ ডেট করে না? দেলখোশা বাঙালির পরিচয় হলে গেঞ্জি খুলে মাদুলি দ্যাখানো তাহলে বাঁ হাতি ব্যাট্‌সম্যানদের পরিচয়। হ্যাঁ। শেষের কবিতা আমি মাঝে মাঝে কোট করি। তবে সেটা খিল্লি করে। যারা প্রেম করতে জানে না তারা অমিত রে’র বাজে বাতেলা টুকে রোয়াব ঝাড়ে।

পয়লা

- কাঁদছ?
– কাঁদব না?
– না মানে; কেঁদে লাভ নেই তো।
– তুমি এমন ভোম্বল মার্কা কথা বলা বন্ধ করবে? আমার বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে। আর তোমার সঙ্গে হয়নি, হয়েছে অন্য পাত্রের সঙ্গে। কাঁদব না? আর শোনো; তোমারও চোখ ছলছল করছে। স্পষ্ট দেখতে পারছি।
– পাসিং সেন্টিমেন্ট । আর ইয়ে, তোমায় সান্ত্বনা দিয়ে পিঠও চাপড়ে না দিয়েই বা উপায় কী বল। আমি একটা বেখাপ্পা ছেলে। চালচুলো নেই। তুমি এক প্রকার বেঁচেই গেলে। আমার সঙ্গে বিয়ে হলে কী পেতে?
– কী দারুণ সংসার হত বলো তো। তোমার ফতুয়ার বোতাম ছিঁড়ে গেলে সেলাই করে দিতাম।
– এখন তোমার সায়েব বরের কোটের বোতাম ছিঁড়ে গেলে সেলাই করে দিও না হয়।
– ধুস। তুমি আর আমি মিলে ছাদে মাদুর পেতে বসে কত গল্প করতাম সন্ধ্যেবেলা। এক সাথে  গাইতাম; অতুলপ্রসাদী। আর সাথে থাকতো এক বাটি ফুলুরি।
– তোমার হবু বরের সঙ্গে তুমি রুফ টপ পশ্চিমা রেস্তোরাঁয় বসে দাঁত ভাঙা নামের মন ভরানো সব খাওয়ার খাবে। ডিস্কো নেচে রাত ভর হুল্লোড় করবে।

Saturday, April 11, 2015

উল্লাস

হুইস্কির গেলাসে প্রথম চুমুকটা তাগড়াই হওয়া উচিৎ; অন্তত  অনিকেতের পলিসি সেটাই। গলার টাইটা আলগা করে সোফায় গা এলিয়ে দিয়েছিল সে। গুমগুম করে গান বাজছে। বিশাল ঘরটা জুড়ে হইহই। ইয়ার্লি টার্গেট পকেটে। অফিসের সবাই হুল্লোড়ে মাতোয়ারা। আর অনিকেত এসব অফিস পার্টির প্রাণপাখি। উল্লাস ব্যাপারটা তার সহজাত। রিয়ার মাথা অনিকেতের কাঁধে এলিয়ে পড়েছিল। গর্জাস মেয়ে। প্রথম পেগের শেষেই অনিকেতের মাথায় একটা ভালো লাগা ঝিমঝিম। রিয়ার কানের লতিটা নিয়ে খেলতে বেশ লাগছিল ওর। আর একটা পেগ। আরও একটা পেগ পেটে না পড়লে মিউজিকের ঝিকমিকটা মনে ছড়াবে না, পায়ে দুলকি আসবে না। কলিগরা ইতিমধ্যেই অনিকেতের হাত ধরে টানাটানি শুরু করেছে; সে ডান্স ফ্লোরে না এলে ডান্স ফ্লোরের ল্যাদ কাটবে না। “কাম অন অনি, হিট দ্য ফ্লোর”, বসও ডেকে গেছে বার কয়েক। 
অনিকেত এক চুমুকে শেষ করলো দ্বিতীয় পেগটা। “লেট্‌স গো রি”। রিয়ার কড়ে আঙুল ধরে টান দিল সে।

**
বাড়ির বারান্দায় একটা মোড়ার ওপর বিনু বসে। হলুদ রঙের একটা গেঞ্জি। ছ’মাস আগে তার নয় বছরের জন্মদিনে মা কিনে দিয়েছিল গেঞ্জিটা। একটা টিয়া পাখি রঙের হাফ প্যান্ট। বিনুর হাতে একটা আপেল। কামড়াতে মন চাইছিল না। 
বিনুর থেকে চার হাত দূরে বাবা বারান্দাতেই আসন পেতে বসে। বাবার সামনে থালা জুড়ে ভাত। এক বাটি ডাল। লম্বা করে কাটা বেগুন ভাজা দুই পিস। বাঁধাকপির তরকারী। বাবা মনে দিয়ে খেয়ে চলেছেন। 
বিনু শত চেষ্টাতেও আপেলে কামড় দিতে পারছিল না, ঘণ্টা-খানেক আগেই মাকে পুড়িয়ে শ্মশান থেকে ফিরেছে কি না। পারছিল না বিনু। বিনুর কষ্ট হচ্ছিল। 

**
শ্যাম্পেনের বোতলটা খোলার দায়িত্ব অনিকেতের ঘাড়েই পড়লো। অফ কোর্স। আফটার অল; পারফর্মেন্সে সক্কলকে টেক্কা দিয়েছে সে। অনিকেতের মনে হচ্ছিল যে আনন্দে ভেসে যাবে সে।

Tuesday, March 31, 2015

#MyChoice



ঠা ঠা রোদ। প্যাঁচালো লম্বা দুর্দান্ত লাইন; ভোট দেওয়ার। সেই লাইনে দ্রাবিড়ের ফোকাস নিয়ে দাঁড়িয়ে অমু। ডান হাতে ছাতা, বাঁ হাতে শীর্ষেন্দুর অদ্ভুতুড়ে সিরিজের একটা বই মেলে ধরা। ঝড়ের গতিতে শীর্ষেন্দুর ভূত, ডাকাতের অ্যাডভেঞ্চার পেরিয়ে যখন বইটা খতম করলে অমু, তখন সে ইভিএম মেশিনের সামনে। হঠাৎ কী মনে হল। অমু বইটা বগল দাবা করে ঝপ করে বুথ ছেড়ে চলে এলে ভোটটা না দিয়ে। মনে মনে ভাবলে “ #MyChoice”; মুচকি হাসলে অমু। 

**
অপু। নিজের উপন্যাসের খসড়া ছিঁড়েখুঁড়ে উড়িয়ে দিয়েছিল। দ্যাট মাই ফ্রেন্ড ওয়াজ হিজ চয়েস, এ ডেয়ারিং মোস্ট চয়েস। 

**
- তুমি আমার বাপির দেওয়া চাকরীটা নেবে না?
- না।
- কেন?
- ক্লার্কের কাজ আমার পোষাবে না।
- টিউশানি পোষায় আর কর্পোরেটে চাকরি পোষাবে না। তোমার কী আমায় বিয়ে করার ইচ্ছে নেই?
- তোমার বিয়ে করতে চাই। তোমার বাবার মাতব্বরিকে না।
- তুমি চাকরিটা নেবে না? তুমি ভালো করেই জানো চাকরিটা না নিলে আমাদের বিয়ে সম্ভব নয়। আমার সাথে এতদিন প্রেম করে এখন বিয়ে করতে চাইছ না? তোমার পেটে পেটে এত শয়তানী?