Skip to main content

ফেলুদার রাখী

- ম্যাডাম, আপনি এত দূর থেকে এখানে এসেছেন আমায় রাখী বাঁধতে?

- প্লীজ পারদোশ দাদা, ম্যাডাম বলে অ্যাড্রেস করবেন না প্লীজ। আই কনসিডার ইউ টু বি মাই দাদা আর আমি আপনার ফিমেল ভক্ত আর বহিন দোনো আছি। আমাকে আপনি মেঘা বহেন বোলেন। প্লীজ। হে হে হে।

- বেশ মুভ্‌ড হওয়ার মত ব্যাপার-স্যাপার ঘটিয়েছেন দেখছি ম্যাডম...থুড়ি...মেঘা বহিন।


- বিগ ফ্যান। তেহকিক্যাৎ কে মামলে মে আপকা জওয়াব নহী। প্লীজ এই বহিনকে এই ছোট রাখী টাই করার প্লেজারের থেকে ডিপ্রাইভ করবেন না। প্লীজ।

- আসলে প্রমীলা ভক্তদের কাছ থেকে প্রেমপত্র পেয়ে অভ্যস্ত। কিন্তু এই প্রথম কেউ বাড়ি বয়ে আমায় রাখী বাঁধতে এলেন। সত্যিই রিফিউজ করতে ইচ্ছে করছে না। তোপসে, চট করে এক প্যাকেট মিষ্টি নিয়ে আয় মেঘা দেবীর জন্য। তবে মেঘা একটু জলদি করতে হবে। আমার বেরুতে হবে।

- হে হে হে। লিন। এই বারে আপনার রিস্টটা সামনে করে লিন। আমি রাখী বাঁধবে। প্লীজ। ইট উইল নট টেক মোর দ্যান টু মিনিট্‌স।

- এই যে।

- এই এই এই। রাখী বাঁধিয়ে দিলম পারদোশ মিট্টার ভাইয়া। অটূট বন্ধন। ভুলিয়েন না।

- না মেঘা। ভুলব না।

- ই বন্ধনের মতলব সমঝিলেন ভাইয়া?

- এই, আপনি এখন থেকে আমার বোন।

- বিল্কুল। অউর বহিন কা রক্শা‌ করনা ভাই কা ডিউটি আছে।

- সে প্রতিশ্রুতি না দেওয়ার কি আর অবকাশ আছে? দাদা হিসেবে আপনাকে সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব অবশ্যই আমার।

- ভেরি গুড ভেরি গুড। আমি জানি আপনি জেন্টলম্যান আছেন। ভদ্দরলোকের কথার ভ্যালু আছে। আপনার কথার ভি ভ্যালু আছে।

-আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে মেঘা আপনার বিশেষ ভাবে প্রটেকশনের দরকার আছে। শুনুন, বোন যখন আপনাকে বলেছি তখন অফ কোর্স আপনাকে প্রটেক্ট করার দায়িত্ব আমি নেবই। কী ব্যাপার খুলে বলুন।

- খুলে বলার কুছু নাই মিট্টার দাদা। কুছু নাই। আপনি কসম নিয়েছেন বহিনকে প্রটেক্ট করবেন, ই বাত হি যথেষ্ট আছে। আপনাকে বেশি কুছু করতে হবে না। আপনি শুধু ইন্টারফেয়ার করবেন না। ব্যাস। দ্যাট উইল বি ইনাফ ফর মাই প্রটেকশন।

- ইন্টারফেয়ার করব না? কী'সে ইন্টারফেয়ার করব না?

- আমার বিজনেসে ইন্টারফেয়ার করবেন না মিট্টার দাদা। সিম্পুল। দ্যাট উইল কীপ দিজ বহীন অফ ইওর্স প্রটেক্টেড অ্যান্ড সেফ।

- আপনার বিজনেস?

- আপনি জানেন আমার বিজনেস বেস্‌ মিট্টার দাদা। বনারস ইজ নট নিউ টু ইউ। আপনি বহুত ডিস্টার্ব করছেন আমার বিজনেসে। আপনার এক্সটা-আর্ডিনারি বুদ্ধির সাথে আমি কম্পিট করতে পারলম না। আই নিডেড প্রটেকশন। হু কুড প্রটেক্ট মি এগেইন্সট ইউ মিট্টার দাদা? নান বাট ইউ। তরকীব সোচতে হল আমাকে, আপনার প্রটেকশনের কমিটমেন্ট আদায় করতে। হে হে হে।

- মগনলাল...।

- মেঘা বোলেন। মেঘা বোলেন। বহুত পয়সা গেলো এই সেক্স চেঞ্জ অপরেশনে। মেঘা বোলেন প্লীজ।

Comments

ani said…
Na Dada, bepar ta hojom holo na. Maganlaal sex change korie fello..... Naah
Anonymous said…
Aami bhebechilam mogonlaler meye ba bou eseche bodhoy ......

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু