Skip to main content

প্রেমিকার তিন


- শোন, আমি তোকে ভালোবাসি।


- অ্যাজ ইন, বিয়ে করতে চাস কি? যে ছেলে বিয়ে করতে চায় না, তার ভালোবাসা সম্বন্ধে আমি ভীষণ স্কেপটিক।

- পারলে করতাম।

- পারবি না কেন?

- তুই সুখী বিবাহিতা বলে। আমি হ্যাপিলি ম্যারেড বলে। পলিগ্যামি সোসাইটি খায় না বলে। আমি সোশ্যাল চাপ নিয়ে থাকি বলে।
- সোসাইটি খেলে করতিস? আমায় বিয়ে?
- ধুর, আর ভালোবাসতে ইচ্ছে করছে না।
- এগজ্যাক্টলি রে।
- এগজ্যাক্টলি কী?
- এগজ্যাক্টলি সে কারণেই আমিও তোকে ভালোবাসি। তুই দুম করে না-ভালোবাসায় মন দিতে পারিস বলে।
- তুই বেসিক্যালি একটা অখাদ্য মেয়ে।
- তাই তোর এই ভালোবাসা, বল?
- এগজ্যাক্টলি।

*****

 ২

পেন্সিলে লিখবো;
"বয়ে গেছে ভালোবাসাতে"।
নিজেকে বারবার পড়ে শোনাব। তুমি-বিরোধী কনফিডেন্স তৈরিতে মন দেব।

তুমি সে কাগজে উঁকিঝুঁকি মারলেই তড়িঘড়ি কলম চালিয়ে জুড়ে দেব নতজানু ফুটকি - 
"রয়ে গেছে ভালোবাসাতে"।

*****

-প্রথম দেখা। মনে পড়ে?

-অফ কোর্স। ছবির মত স্পষ্ট।

-আচ্ছা? আমি কী পরেছিলাম?

-শাড়ি।

-কচু।
-সালোয়ার। কামিজ।
-রঙ?
-সবুজ।
-ধুর।
-হলুদ।
-ছিঃ।
-ইয়ে, ওই খয়েরী মত?
-ছিঃ ছিঃ। এই তোমার প্রেমের পড়া ছিল?
-জামার রঙে প্রেম ছিল না।
-তবে?
-তোমার কাঁধের নীল ঝোলা ব্যাগ থেকে সেকেন্ড ইয়ারের ট্যাক্সের বই খাতার ভীড় ছাপিয়ে উঁকি মারছিল ইন্দ্রজালের অরণ্যদেব। পয়েন্ট অফ প্রেম নাম্বার ওয়ান। তুমি গুনগুন করছিলে "আরামবাগের তাজা মুর্গীর মজা"র জিঙ্গল। পয়েন্ট অফ প্রেম নাম্বার ট্যু। ওকে?
-হি হি হি।

Comments

malabika said…
ইগন্দ্রজালের অরণ্যদেব যদি প্রেমের ক্ষেত্রে এক নম্বর জায়গাটা দখল করে থাকে তবে ব্রেভো ডিয়ার, মিলাও হাত।
Ayaon Ghosh said…
এগরোলের কোনো রোল্ ছিল না ?

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু