Skip to main content

বিশ্বাসে মিলায়

- ধুর মড়া! অত ভাবছিস কেন।

- একটা কোশ্চেন ছিল।

- শুনি।

- না না, দু'টো কোশ্চেন।

- ধুর। হারামি কোথাকার।

- প্লীজ। অনলি ট্যু।

- শুনি।

- এক। আমায় স্বর্গে রাখছেন না কী তেলের কড়াইতে?

- ধুর ধুর। অ্যান্টি ম্যাটারে ল্যান্ড করেছিস বিগ ব্যাংয়ের আওতার বাইরে। সময় স্বর্গ ম্যাটার কিস্যু নেই এখানে। টেকনিকালি আমিও নেই। তবে না থাকাটাই আমার থাকা।

- জলের মত সহজ। বুঝে গেছি। পরের প্রশ্ন করি?

- উদ্ধার করুন করে। হারামি। প্রশ্নবাজ।

- এটাই লাস্ট। গড প্রমিস। আচ্ছা, ইয়ে, আপনার চেহারায় এত কালশিটে দাগ কেন?

- ওই। একবার ওপারে যেতে পেরেছিলাম। বহুদিন আগে। বেদম ক্যালানির শেষে এদিকে এসে ল্যান্ড করেছি।

- ক্যালানি খেলেন কেন?

- ডারউইন ছিলাম তো। কনস্পেচুয়াল ক্যালানি। এন্ডলেস। ওপারে তো ধর্ম-টর্ম পাবলিক খায়। 

-পাবলিকের কী দোষ বলুন। আপনি তো রিয়েলি আছেন।

-আমি শুধু না। আপনিও আছেন স্যার। ভগবান।

- আমি ? ভগবান? যা: শালা। আমি তো মরে এলাম। 

- মরে এসেছেন! নেকু! কোমায় থাকা সাবকনশাস চলে এসেছে। রেয়ারলি কেউ আসতে পারে। অ্যান্টি ম্যাটারে, গ্র্যাভিটি বিগ ব্যাংয়ের আওতার বাইরে। এবার থাকো শালা ভগবান হয়ে লটকে। এখানে ছাই ইভোলিউশন-টিউশনও চলে না। সাইন্স তো শালা ম্যাটারেই ফেঁসে রয়েছে। ধুর ধুর ধুর।


***

- আফটার লাইফ? বিশ্বাস আছে?

- অঙ্কে ফেল করলেই কবিতা লিখব; সে বিশ্বাসের নাম রজনীকান্ত। সেন নয় রে।


***

- আকবর সাহেবের দীন-ই-ইলাহি ক্লিক করল না যখন; ভাবছি আমিই ইহিক্রি নামের ধর্ম শুরু করব। সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে। ট্যাগ লাইন রাখব একটা, আরাম অফ আত্মা অ্যান্ড শান্তি অফ প্রাণ।

- ইহিক্রি? ইসলাম হিন্দুত্ব আর ক্রিশ্চিয়ানিটি মিশিয়ে তুমি নিউ এজ বুদ্ধ হবে মামা?
 
- ধুর। মগজে কী আরশোলারা ঘুড়ি উড়িয়ে বেড়াচ্ছে রে? ইহিক্রি। লাঞ্চের ইলিশ, জলখাবারের হিঙের কচুরি আর বিকেলের ক্রিম দেওয়া কফি মিলিয়ে। ইহিক্রি।


Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু