-তুই আমার সাথে
কথা বলবি না বিট্টু?
-না।
-এত রাগ?
-হ্যাঁ।
-এত সাধ করে কথা
বলছি তোর সাথে, তবু তুই মুখ গোমড়া করে বসে থাকবি?
-সাধ করে না ছাই।
ধরা পড়ে গিয়ে এখন অন্য কথা বলা হচ্ছে।
-আচ্ছা বাবা, না
হয় ধরা পড়েই গেছি। কিন্তু তাই বলে তুই নিজের মায়ের ওপর এত রাগ করবি?
-রাগ করবো না?
সেই আমি কবে থেকে ভেবে যাচ্ছি যে ইঁদুরটা আসলে...
-যে ইঁদুর আসলে
সত্যি এসে তোর পড়ে যাওয়া দাঁত নিয়ে যায়, তুই সত্যি এটা বিশ্বাস করতিস বিট্টু?
-কেন করব না?
স্পষ্ট রাখতাম বালিশের নিচে। তারপর রাতে দে ঘুম। সকাল বেলা উঠে দেখতাম বালিশের
তলায় রাখা দাঁত হাওয়া। আর তার বদলে পড়ে রয়েছে হয় এক মুঠো চকোলেট নয়তো অন্য কোন
শুকনো মিষ্টি। কাউকে না জানিয়ে পুরোটা খেয়ে নেওয়া। কী আনন্দ পেতা ভেবে যে ইঁদুর
ব্যাটা দাঁত নিয়ে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে আর তার বদলে মেঠাই রেখে যাচ্ছে। কী দারুণ আনন্দ।
আর আজ দুম করে এসে তুমি বলছ কোন ইঁদুর-টিদুর নেই। সবটুকুই তুমি করতে।