Skip to main content

গল্প শেষের টেকনিক্‌


- গল্প, বিশেষত ছোট গল্প। বেশি এক্সপ্লেইন করতে যাস কেন? 



- আসলে সবাই তো...।



- ইন্টারপ্রিটেশন পালটে যায়? গুলিয়ে যায়? লেট্‌ ইট গো। খেলতে দে পাঠক কে। ট্রাস্ট ইওর রীডার্স।



- বলছ?



- ইন্‌সিস্ট করছি। 



- বেশ মাথায় থাকবে।



- বেশি এলাবোরেশনে গল্প নষ্ট করে। ধর...আমি যদি একটা প্লট হই।



- তুমি?



- আমার দিকে তাকা। আমার চোখের দিকে তাকা।



- হিপনোটাইজ-ঠাইজ করবে নাকি?



- সিরিয়াস হ। লুক ইন্‌টু মাই আইজ। 



- বেশ। ফোকাস করছি।



- ধর আমি একটা খুনের গল্প। তুই ফোকাস করছিস আমার চোখে কারণ তুই সাস্পেক্ট করছিস আমার খুনের মতলব আছে। কারণ তুই আমার থেকে সে'টা এক্সপেক্ট করিস। তুই আমার চোখ অ্যানালিসিস করে আমার মতলব ঠাহর করতে চাইছিস। বুঝতে চাইছিস আমার টার্গেট কে।



- বেশ।



- কিন্তু এখানেই আমি তোকে খেলাচ্ছি। 



- পাঠককে?



- ঠিক। পাঠক হিসেবে তুই সেকেন্ড ক্যারেক্টার এক্সপেক্ট করছিস।



- অফকোর্স, যে খুন হবে...। 



- ডু। নট। এলাবারেট। 



- সরি। বেশ। দেন?



- তুই এখনও আমার চোখে। লোকটাকে খুঁজে চলেছিস। তোর মন কন্সট্রাক্ট সাজাচ্ছে। সাবজেক্টকে তুই দেখছিস। এবার আগে অব্‌জেক্ট অ্যাপিয়ার করবে। তারপর মেথড ক্লিয়ার হবে।



- প্রিসাইস্‌লি। 



- হঠাৎ তোর বুকের বাঁ দিকটা ভিজে গেল।



- অমুদা...।


- ফাইনালি বুঝে নে মেথডটা। তোর কানে ধাঁধা লাগাল কেন, সে'টা এলাবোরেট করতে গেলেই আমি বাড়াবাড়ি করে ফেলতাম। চোখে খেলালাম তোর চোখ; সেটাই গল্প। এবার তোর মগজকে খোলা মাঠে স্পোর্টস শ্যু পরিয়ে ছেড়ে দিলাম। প্র্যাক্টিকাল ডেমোন্সট্রেশন যত যন্ত্রণার হয়, লার্নিং ততটা বেশি- ও নিয়ে ভাবিস না। কেমন? চলি।

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু