Skip to main content

অ্যানসার

- এই তোমায় নিয়ে গত দেড় বছরে সাত জন।

- সাত জন কী?

- অপঘাতে মৃত্যু।  সেভেন ইন ওয়ান অ্যান্ড হাফ ইয়ার্স।

- কী বলছেন প্রেসিডেন্ট?  আপনার মাথা ঠিক আছে তো?

- মাথা বেঠিক তোমাদের মত জনদরদী বায়োকেমিস্টের হয় মাঝে মাঝে। তবে তোমাদের আর দোষ দিই কী করে বল ডাক্তার। একদিকে গ্লোবাল ওয়ার্মিঙের ঝাঁঝ আর অন্যদিকে এই তোমাদের পরোপকারের ভূত। মাথা ঠাণ্ডা রাখবে কী করে?

- আমি কিছু বুঝে উঠতে পারছি না প্রেসিডেন্ট। যুগান্তকারী আবিষ্কারের কথা নিয়ে আপনার কাছে এলাম আর আপনি এসব...।

- থাম থাম। ইডিয়ট কোথাকার। বেওকুফ!! ক্যান্সার নির্মূল করার সস্তা ওষুধ আবিষ্কার করে কি মাথা কিনেছ?

- কী বলছেন প্রেসিডেন্ট?  মানুষ আর অসহায় ভাবে মারা যাবে না। গরীব মানুষও এ সস্তা ওষুধের দু'দাগেই চাঙ্গা হয়ে উঠবে। মেডিকাল সায়েন্সে নতুন দিগন্ত খুলে যাবে...।

- চোপ! দিগন্ত না কচু। এ ক্যান্সারের আন্সার আবিষ্কার আজ থেকে তিরিশ বছর আগেই হয়ে গেসল। কার্লাইল। নাম শোনা নিশ্চই? তিনিই বানিয়েছিলেন। 

- কার্লাইল?  ডক্টর নীল কার্লাইল? যিনি পঁচাশিতে  হেলিকপ্টার ক্র‍্যাশে...।

- ক্যান্সারের ওষুধ আবিষ্কারের সময় এখনও আসেনি ডাক্তার। কার্লাইল কে দিয়ে এই পাগলামি শুরু। তারপর কত লোকে...ওই যে বললাম... গত দেড় বছরে এই তোমায় নিয়ে সাতজন...আমি হেল্পলেস।

- প্রেসিডেন্ট!!!!

- ইকনমির সাথে বড় নিবিড় ভাবে মিশে আছে এ রোগ। ফার্মাসিউটিকাল কোম্পানিগুলো শুধু নয়, এ আবিষ্কার পৃথিবী জোড়া একটা তাবড় ব্যবসা ধসিয়ে দেবে। জিডিপির ওপর এর কী ভয়ানক প্রভাব পড়তে পারে জানো? মানুষ আসবে যাবে, কিন্তু ইকনমি ভেসে গেলে এই মডার্ন সিভিলাইজেশন ভেসে যাবে। অ্যান্ড উই ক্যান নট টেক এনি চান্স। তুমি এবার এসো ডাক্তার। হেলিকপ্টর অপেক্ষা করছে তোমায় পৌঁছে দেবে বলে। গুড বাই।

Comments

Unknown said…
Thik Bojha gelo na.
http://www.ndtv.com/india-news/11-indian-nuclear-scientists-died-unnatural-deaths-in-4-years-1229793
Unknown said…
অসাধারণ।

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু