Saturday, September 3, 2016

হাসিরশ্মি


- এ'টা সেই প্যানেল?

- ইয়েস প্রাইমমিনিস্টার।

- ডক্টর দত্ত, আপনি জানেন আপনি কী বলছেন?

- আলবাত জানি। ইনফ্যাক্ট প্রমাণতো আপনি নিজেই দেখছেন।

- প্রমাণ?

- এই গবেষণাগারের সমস্ত আলো, পাখা, এসি, পাম্প চলছে এই আড়াই ফুট বাই দুই ফুটের সামান্য প্যানেলের তৈরি করা বিদ্যুতের ওপর ভর করে। ইনফ্যাক্ট তার পরেও বিদ্যুৎ বাড়তি হচ্ছে। আমাদের স্টাফ কোয়ার্টারেও এখান থেকেই বিদ্যুৎ যাচ্ছে।

- আমেজিং।

- সমস্তটাই এই ইউএস-ফটোভল্টেয়িক সেল বসানো প্যানেলের কামাল।

- বিজনেস এন্ডটা দেখেছেন?

- হাইড্রোইলেক্ট্রিসিটির চেয়ে অন্তত পঞ্চাশগুণ সস্তা। আসলে টেকনোলজি তো অতি পাতি। সোলার এনার্জির মত তাবড় ইনভেস্টমেন্টও নেই। পরিবেশ দূষণের বালাই নেই। সবচেয়ে বড় কথা সূর্যের দিকে ভ্যাবলার মত তাকিয়ে থাকা নেই। তাছাড়া সোলার এনার্জির চেয়ে এই ইউএস ফটোভল্টেয়িক সেল থেকে উৎপন্ন হওয়া এনার্জির পরিমাণ হাজার গুণ বেশি, অন্তত একশো গুণ কম খরচায়। মিস্টার প্রাইম মিনিস্টার, পৃথিবীর ইতিহাস পালটে দেবে এই টেকলোজি।

- টেকনোলজিটা ডেমোন্সট্রেট করবেন বলেছিলেন ডক্টর দত্ত।

- এখুনি করব। ভেরি সিম্পলি। এই ইউএস ফটোভল্টেয়িক সেল ফিট করা প্যানেলের সার্কিট স্যুইচ অন করে তারপরএর সামনে সামনে রাখা স্ক্রিনে সেই সিনেমাগুলো চালিয়ে দেওয়া। অমনি তরতর করে এই ইউএস ফটোভল্টেয়িক সেল ওই স্ক্রিন থেকে হাসিরশ্মি শুষে নিয়ে বিদ্যুতে পরিণত করবে। সিম্পল।

- সিনেমা? কার সিনেমা?

- যার হাসিরশ্মি শুষে সোলার এনার্জিলে কিস্তিমাত,  অবভিয়াসলি তারই সিনেমা স্ক্রিনে চালাতে হবে প্রাইমমিনিস্টার। এমনি এমনি এইই ম্যাজিক এনার্জি সেলগুলোর নাম উত্তম স্মাইল ফটোভল্টেয়িক সেল দেওয়া হয়নি।

No comments: