- ভাবুন...।
- ভাবব?
- ভাববেন না?
- ভাবান।
- ভাবুন..আপনি মারা গেছেন।
- ভাগ।
- ভাগছেন কোথায়? শুনুন।
- ভাগব না। বেশ। বলুন।
- ভাবুন আপনি মারা গেছেন।
- ভাবলাম।
- ভাবুন আপনার চারিদিকে একটা হালকা নীলা আলো।
- ভাবলাম।
- ভাবুন আপনার কানে গুনগুন করছেন পান্নালাল।
- ভাবব?
- ভাববেন। অবশ্যই। যেথা আছে শুধু ভালোবাসাবাসি সেথা যেতে প্রাণ চায় মা।
- ভেবে চললাম। বেশ। সকলই ফুরায়ে যায় মা।
- ভাবুন আরও ভাবুন। চারিদিকে ছাতিমের সুবাস। চোখে নীল ঝিমিঝিম ভাব। কানের মেঝেতে মাদুর পেতে পান্নালাল হারমোনিয়াম নিয়ে বসেছেন। অনেক কেঁদেছি, কাঁদিতে পারি না।
- ভাবনার ভার বাড়ছে। বুক ফেটে ভেঙে যায় মা।
- ভাবুন আচমকা সেই নীল আলোর ঝিমুনি কাটিয়ে তাঁকে দেখা গেলো।
- ভাবায় ধন্ধ। তিনি?
- ভাবুন। নীল আঁচলের খসখস। ছোট কালো টিপ। সরু গোল ফ্রেমের চশমা। তাঁর বাঁ হাতের কবজিতে হাতঘড়ি মিনিট পাঁচেক এগিয়ে।
- ভাবনা স্পষ্ট হল।
- ভেবে চলুন।
- ভেবে চললাম।
- ভাবনা ভেদ করে তিনি আপনার পাশে এসে দাঁড়ালেন, তাঁর নাকছাবিতে একটা খুনে ব্যাপার ছিল।
- ভাবনায়। ভাবনায়।
- ভাবনায় তিনি এসে দাঁড়াতেই কানের মেঝে থেকে পান্নলালবাবু উঠে চলে গেলেন। হারমোনিয়াম পড়ে রইলে যে কে সেই।
- ভাববার বিষয়।
- ভাবনা হাতড়ে দেখুন। এক থালা নীল আলোর মধ্যে আপনি দাঁড়িয়ে, পাশে ভ্যানিটি ব্যাগ কাঁধে তিনি সপ্রতিভ।
- ভাবনার পরের ধাপ?
- ভাবনা পেরিয়ে আপনার কানে নেমে আসা তাঁর ঠোঁটজোড়া। ফিসফিস; এবার অন্তত আমার নারায়ণ দেবনাথ সমগ্র তিনখানা ফেরত দিন। বছর পার হতে চললো!
- ভাবুন কাণ্ডখানা! এখনও ভোলেননি?
- ভেবে লাভ নেই। আপনি মারা গেলেও ভুলবো না। কেমন?
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments