- কেমন বুঝছ হে ঘোষ?
- ক্লীয়ার স্কাই স্যর।
- অ।
- বৃষ্টি এক্সপেক্ট করছিলেন?
- তুমি মেঘলা বললে এক্সপেক্ট করতাম শুখা রাস্তা। অপ্টমাইজড বাড়ি ফেরা। আকাশ সাফ শুনে মনে হচ্ছে হাফভিজে অটোর লাইনে ফুলুরি না চিবুলে সমস্তটাই জলে।
- হিউম্যান এক্সপেক্টেশনের মত হাইকোয়ালিটি রাস্কেল আর দু'টি নেই। নজরুল স্যর বলে গিয়েছন।
- ওই ল্যাঙ্গুয়েজে?
- ভাব ইন্টারসেপ্ট করেছি।
- অ।
- আপডেট। গুগল বলছে ঢালবে; কাল বিকেলে।
- কালকের ফুলুরিতে অম্বল, আজকে ফুলুরিতে মুক্তি।
- টুয়েন্টি ফোর সেভেন অমন তেতো মুখে থাকবেন না স্যার। রবীন্দ্রবাবু মুখচোপা করে গেছেন অমন তেতোমীরদের।
- ভাব ইন্টারসেপ্ট?
- ইয়েস স্যর। তেলেভাজা কিনে বাড়ি ফিরুন, চৌবাচ্চা আর মার্গো সাবানে নিজেকে সঁপে দিন। ক্রিয়েট ইওর ওউন রেন। কর্পোরেশনের সাপ্লাইয়ের আকাশ, প্লাস্টিক মগের মেঘ। ভেসে যান।
- ফিনান্সে কী করছ ভাই ঘোষ? কবিতা ছেড়ে?
- ওই যে, স্যর ভাব ইন্টারসেপ্ট।
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments