Skip to main content

টুথপিকিফিকেশন

- মিস্টার ডেথ!

- কী চাই?

- টুথপিক হবে?

- কী? টুথপিক?  আপনি আমার কাছে টুথপিক চাইছেন চোক্ক? আমি অন্ধকার! আমি বরফশীতল। আমিই আবার গনগনে আঁচ। আমি খুনে। আমি রক্তমাখা। আমি...।

- অথচ টুথপিক নেই? মাইরি!

- বাইপাসের পেশেন্ট হয়ে রাতে মাটন ঠেসে শুয়েছেন! অথচ আমার কাছে কিনা...।

- আছে? টুথপিক?

- প্রাণ ক্যাপচার করে ঘুড়ির মত ওড়াই তাহলে?

- প্রাণ সটকে নিলে আর টুথপিকের দরকার কিসের? আমার উইন উইন। আছে টুথপিক? না থাকলে আই ডেয়ার ইউ...।

- ডেয়ার কীসের!

- প্রাণ সরিয়ে নিন। মাইরি, জিভ পড়ছে একটা দাঁত অথচ আঙুল সেই দাঁত শুধু আঙুলে লোকেট করা যাচ্ছে না। আছে নাকি ভাই? টুথপিক? না থাকলে তুলে নাও।

- আমি এখনও ভাবতে পারছি না। আমার কাছে টুথপিক চাওয়া?

- নেই, তাই না ভায়া?

- না নেই!

- খুনে অথচ কী ইনএফিশিয়েন্ট।

- সরি চক্কোত্তিদা। আপনার ছেলের ঘরে আছে? তাহলে খুঁজে এনে দিই।

- ওর বিছানার মাথার কাছের দেরাজের নিচের ড্রয়ারে। কেমন?

- আচ্ছা।

- ও কী ভাই! অমন মন খারাপ করে যাচ্ছ কেন? টুথপিক এনে দিয়ে না হয় আমার হাপিস করে দিও। একটা টুথপিক ছাড়া এ জীবনে আর কিছুই চাহিদা ছিল না।

- নাহ। আজকে আপনার আত্মা নেওয়ার প্ল্যান ড্রপড। টুথপিক এনে দিয়ে আমি চলে যাব। আপনার তো সবে নাইনটু ট্যু চলছে, বছর পাঁচেক পরে আসব'খন।

- চেঞ্জ অফ মাইন্ড? হঠাৎ?

- আমার কেন রাত্রে টুথপিকের জন্য মন হুহু করে না চক্কোত্তিবাবু? আমার খুব চিন্তা হচ্ছে, আমি কি জ্যান্ত? কোনওদিনও জ্যান্ত ছিলাম? একটা টুথপিকের জন্য প্রাণপণ কেন করতে পারি না? ইন্ট্রোস্পেকশনে চললাম। আপনি আমার ক্লায়েন্ট। অন্য কোনও ডেথ এজেন্ট আপনকে টাচ করবে না আমি ফেরা না পর্যন্ত।

- ও কী ভাই বরফশীতল ডেথ? তুমি নিজেকে টুথপিকিফাই করতে পারোনি বলে কাঁদছ? এ কী বাবু!

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু