রাম সেবার অনেক তপস্যা-টপস্যা করে মহাদেবকে প্রসন্ন করলেন।
মহাদেব আবির্ভূত হয়ে বললেন - "কনে আমার কাছে নেই। তবে বর চাইলে দিতে পারি। খিক খিক"।
রাম অবাক - "আজ্ঞে?"
মহাদেব - "আরে বাজে ঠাট্টা। ফ্যাশনে আসবে। একদিন আসবে। যাক গে। বর চাও ভাই"।
রাম বললেন - "আমি আপনার শক্তির সাথে নিজের ভক্তি মিলিয়ে কিছু করতে চাই "।
মহাদেব - "বেশ। তাই হবে। আমরা দু'জনে মিলে একদিন হর্ষবর্ধন আর গোবর্ধনের গপ্প লিখবো"।
সাব-টেক্স ঃ
**
বিশ্বামিত্রের সাথে অনেকদিন পর দেখা হল রামের। বৃদ্ধের চোখ ছলছলিয়ে উঠলো প্রিয় শিষ্যের মুখ এতদিন পর দেখে। রাম আবেগে নুয়ে প্রণাম করলেন গুরু বিশ্বামিত্রকে। গুরুর পা থেকে ধুলো কাছিয়ে নিয়ে নিজের মাথার চুলে মুছলেন।
বিশ্বামিত্র রামকে বুকে টেনে নিয়ে বললেন “রাম, ইউ রেস্পেক্ট মি সো মাচ?”
রাম বললেন, “আফটার অল আই অ্যাম রাম অ্যান্ড ইউ আর অ্যান ওল্ড মঙ্ক”।
**
তিন ভাইকেই রাম চোখে হারান। অবিশ্যি ভালো না বাসার তেমন উপায় নেই, বাল্মীকির বারণ আছে। ভরত শত্রুঘ্নর মত চমৎকার ছোট ভাই হয় না। সব কথায় একটা আদুরে ইয়েস স্যার ইয়েস স্যার ভাব, রামের এত ভালো লাগে।একটু ফুলিশ, ইয়েস, কিন্তু স্যুইট। দু’জনকেই রাম ভীষণ ভালোবাসেন।
তবে লক্ষণের প্রতি তার ভালোবাসাটা একটু বাড়াবাড়ি রকমের আন্তরিক। তাই এই ভাইটি তার কাছে ভেরি ভেরি স্পেশ্যাল লক্ষণ।
**
বর্ধমানে এলে রাম টের পান যে মিহিদানার স্বাদ আদতে প্রতিবেশীর হেঁসেলের ডালের মত। সীতাভোগের টেস্ট আবার নিজের ডাইনিং টেবিলের মুর্গির মত।
Comments