Skip to main content

কলকাতার মার্ফি


সবচেয়ে ছোট আলুর টুকরোটি পড়বে আপনার পাতের বিরিয়ানিতে।

তাড়াহুড়োর মাথায় নেওয়া ট্যাক্সিটা গোটা রাস্তা থমকে চলবে ট্রামের পিছনে।

কফি হাউসে আপনার টেবিল বাদে সমস্ত টেবিলে ওয়েটারদের নিয়মিত আনাগোনা।

গড়িয়াহাট ভরপুর টাটকা ইলিশে। খড়ের গাদা থেকে বেছে নেওয়া ছুঁচের খোঁচার মত বিস্বাদ কোল্ডস্টোরেজের পুরনো মালটি আপনার থলিতে।

ফিল্ম ফেস্টিভালে আপনি যে উটকো সিনেমাটি দেখার জন্যে বেছে নেবেন, তাতে ন্যুড সিন থাকবে না।

ভিড় মেট্রোয় দাঁড়িয়ে আপনি যে সিটটা আগলে রেখেছেন, সে সিটের ভদ্রলোক নামবেন সবার শেষে।

অটোয় সওয়ার হওয়ার আগেই খুচরো-পতন।

পাউরুটির এক দিকে মাখন। সে পাউরুটি রাস্তায় পড়ে গেল। ত্রিফলার আলোয় আপনি বুঝতে পারছেন না যে পাউরুটির মাখনের দিকটা রাস্তায় পড়েছে না অন্য দিক।

ফুচকার লাইনে আপনার আগের ব্যাচের ভদ্রলোক/ভদ্রমহিলারা সবচেয়ে বেশি ফুচকা খাবেন।

ফেলুদার ডিরেক্টর। 

সৌরভের দুঃখে নাইট রাইডার্স কে দুয়ো দিলে তারা জিতবে। ক্যালক্যাটা গর্বে তাদের হয়ে গলা ফাটালে তারা হারবে। 

শনিবার নবমী। রবিবার বিজয়া দশমী।

সিরাজে বসে মনে হয় "যে যাই, বলুক আরসেলানই সেরা"। আরসালানে বসে মনে হয় "সিরাজের জবাব নেই"।

চিকেন রোলের মধ্যের সবচেয়ে বড় চিকেনের টুকরোটা গড়িয়ে পড়বে রাস্তায়।

নলবনে হঠাৎ চেনা মুখ।

আপনি সিপিএমের সমর্থক হলে আপনার শ্বশুর তৃণমূল। আপনার শ্বশুর লাল হলে আপনি তৃণমূল।

বাবুঘাটের লঞ্চটা ছাড়বে তখন যখন আপনার হাতে সদ্য কাটা নিষ্পাপ টিকিট।


(ছবি পেয়েছি www.elixirofknowledge.com থেকে) 

Comments

Kuntala said…
"পাউরুটির এক দিকে মাখন। সে পাউরুটি রাস্তায় পড়ে গেল। ত্রিফলার আলোয় আপনি বুঝতে পারছেন না যে পাউরুটির মাখনের দিকটা রাস্তায় পড়েছে না অন্য দিক।"

http://en.wikipedia.org/wiki/Buttered_cat_paradox
Bongpen said…
Link ta durdanto KuntalaDi.

Na. Durdanto na. Saanghatik.
Unknown said…
feludar director ta bujhlam na!!
Unknown said…
eto ovishopto jibon!!! :O :(

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু