- হচ্ছে না দাদা।
- হচ্ছে না কী রে? প্রেসে যাওয়ার সময় এসে গেছে। তোর লেখা যাবে বলে শুধু হোল্ড করে রেখেছি।
- হাফ পাতা লিখে বসে রয়েছি এক হপ্তা হয়ে গেল, কিছুতেই এগোতে পারছি না।
- হাফ পাতা লিখেছিস?
- ওই, উদোর পিণ্ডি।
- হাফ পাতা আছে? পড়া আমায়।
- পাগল নাকি। গল্পটার একটা স্ট্রাকচার না নামলে...।
- হাফপাতা লেখা আছে তো?
- তা'তে কী?
- ও'টা আমায় দে। তোর প্রথম প্রকাশিত কবিতা বলে চালিয়ে দেব।
- হোয়াট? আমি আর কবিতা? আর ওই হাফ পাতা তো হিজিবিজি...।
- আধুনিক কবিতা চাঁদু, ও'সব তুমি বুঝবে না। নেহ্, চট করে হাফ পাতা লেখাটা আমায় পাঠিয়ে দে দেখি। কবিতার মত চেহারায় আমি সাজিয়ে নেব'খন।
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments