Monday, May 22, 2017

ক্যালক্যাটা বিভ্রাট

- দাদা, আমায় বাঁচান।
- ম্যাডাম! কলার না ছাড়লে বাঁচাবো কী করে?
- সরি। সরি। খুব লেগেছে?
- টুঁটি টনটন করছে। তবে ইট ইজ ওকে।
- আমায় বাঁচান প্লীজ।
- আমি ইয়ে...আমি তো পুলিশ! ডাক্তার তো নই।
- ডাক্তার পারবে না পুলিশদাদা, ডাক্তারের ক্ষমতায় কুলোবে না। ওই হারামজাদার জন্যে আজ আমার এই দশা!
- ওই...ওই লোকটা? দাড়িওলা? ওই বাজে মেকআপ করা লোকটা? আমি ভাবলাম আপনারা দু'জনেই থিয়েটার আর্টিস্ট। আপনি হিরোইন। ও ব্যাটা সাইডরোল।
- এ'সব থিয়েটার থিয়েটার কী করছেন? বাঁচান আমায়!
- ওই রাস্কেলটা আপনাকে টীজ করেছে? দেব লকআপে ঢুকিয়ে দু'ঘা মালটাকে?
- ধুস। ও'সব কিছু না।
- তাহলে? যাক গে, আমি রিপোর্ট লিখে নিচ্ছি। আগে নাম বলুন আপনার।
- সীতা।
- সীতা কী?
- সীতা।
- আই সী। সারনেম ইউজ করেন না। হাজব্যান্ডের নাম?
- আজ্ঞে?
- স্বামীর নাম?
- রামচন্দ্র।
- বাহ্। রাজযোটক মাইরি। এ'বারে বলুন। কেসটা কী?
- ব্যাপারটা তেমন কিছুই না। এই লোকটা আমায় এই বিশ্রী জায়গায় নিয়ে চলে এসেছে।
- আপনার বাড়ি কোথায়?
- অযোধ্যা।
- ইয়ার্কি হচ্ছে?
- জনকরাজার মেয়ে আমি দাদা। গলা কাটলেও মিথ্যে বেরোবে না।
- যাহ শালা। অদ্ভুত চাপ। আপনি সীতা? অযোধ্যার রামের সীতা? তাহলে এ'খানে কী করছেন?
- দিব্যি লঙ্কায় রামচন্দ্র  এসে পৌঁছলেন। আমি হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। ও মা! মিনসের আবার মতিভ্রম। বলে কিনা অগ্নিপরীক্ষা দিতে হবে। বাধ্য হয়ে অগ্নিদেবকে, মানে ওই ব্যাটাচ্ছেলেকে ডাকলাম। অল্প কমিশনে আগুনে প্রবেশ করিয়ে দেবার কথা। বদ ব্যাটাছেলে কলির মে মাসের কলকাতায় এনে বলে এই হল অগ্নিপ্রবেশ। দাদা গো, আমায় বাঁচান। রামচন্দ্র অগ্নিপরীক্ষা বলেছিলেন, উনি এতটা পাষাণ নন যে এই গা ভাঁপানো গরম কড়াইতে আমায় পাঠাবেন। আমায় বাঁচান স্যার, আমায় এই কলকাতা থেকে বের করুন।

No comments: