- ভাই পলাশ।
- কী ব্যাপার দাদা?
- শরীরটা কেমন করছে।
- সে কী দাদা, কাজের প্রেশার?
- ফাইলের স্তুপ তো দেখতেই পাচ্ছ ভাই। তবে তার জন্য নয়।
- জ্বর জ্বর?
- না। বুকে চিনচিন।
- হার্ট?
- অ্যাটাক ফ্যাটাক না।
- বদহজম?
- খানিকটা।
- ইনো দেবো? আমার ড্রয়ারে আছে বোধ হয়।
- ওতে হবে না ভাই। এ বুকজ্বালার নেচার অন্য।
- কীরকম?
- মোবাইলে ইন্টারনেট প্যাকটা শেষ হয়ে গেছে।
- তার জন্য বুক চিনচিন?
- আসলে অনেকক্ষণ ধরে অনেকটা ক্রিটিসিজম জমে দলা পাকিয়ে আছে বুকের কাছটায়। এদিকে অফিস পিসিতেও ফেসবুক ব্লক করা।
- সে কী!
- তোমার তো জিওর সিম। খোলামকুচি। টিথারিংয়ে ছড়িয়ে দাও। আমি একটু লগ ইন করি। নয়তো হাল দেখেছো তো, ডিসেম্বরেও ঘামছি।
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments