অন্ধকার নেমে এলেই দেরাজ খুলে বোতল আর গেলাস বের করে জমিয়ে বসেন মিহিরবাবু।
মাদুর। সস্তা মদ। পাশে চানাচুরের বাটি। আর রেডিওর মিনমিনে ক্রিরিরিরি।
চার নম্বর গেলাসের মাথায় মৃণ্ময়ীর ভূত এসে পাশে বসে। ঘাসের গন্ধ পায়ের আলতায় মিশে ছ্যাঁতছ্যাঁত তৈরি করে, সে'টা টের পান মিহিরবাবু।
দু'টো ভালো কথা বলে ঘন হয়ে বসে মৃণ্ময়ী। পুরনো দুপুর টেনে কথা বলে, মাসকাবারির লিস্ট সাজাতে বসে। ভূত, তবু। মৃণ্ময়ী বই তো নয়। শাড়ির খসখসে গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে যান মিহিরবাবু।
ছ'নম্বর গেলাসের শেষে মাদুরে এলিয়ে পড়েন মিহির গুপ্ত। রোজকার মত।
আর রোজকার মত মৃণ্ময়ী সে বোতোলে কুঁজোর জল আর ছাতিমের সুবাস পুরে দেরাজে তুলে রাখে। প্রতিদিন।
ভূতেরা কী না পারে, আর মাতাল কী সহজে না ভাসে। এক মুঠো হাসিতে রোজ ভোর রাতের বাতাসে মিলিয়ে যায় মৃণ্ময়ী।
Comments