Skip to main content

অন্য গাল

গান্ধী – কেউ এক গালে থাবড়া মারলে আর এক গাল এগিয়ে দাও। অপর পক্ষের রাগ ডায়লুট হতে বাধ্য।

রাবণ – অন্য গাল এগিয়ে দিলে দুশমনের রাগ পড়বে বলছেন?

গান্ধী – আলবাত!

রাবণ – রাগ পড়লে ভালো, না পড়লেও অন্তত নরম হয়ে আসবে। তাই তো?
গান্ধী – নিশ্চিত।

রাবণ – দু’নম্বর গাল এগিয়ে দেওয়ায় রাগ একটু নরম হয়েছে দেখলেই তিন নম্বর গাল এগিয়ে দেব। কেমন হবে? আফটার অল গালের তো অভাব পড়েনি।

গান্ধী – গুড। তুমি বুঝেছ। ও’তেই হবে।

রাবণ – ও’তে হলেই বা হতে দিচ্ছে কে? রাগ গলে জল না হয়ে যাওয়া পর্যন্ত গাল ফায়ার করে যাব! তিনের পরে চার, চারের পরে পাঁচ।

গান্ধী – হয়েছে। হয়েছে। সমঝদার ছেলে তুমি। তবে ওই, কোনও কিছুতেই বাড়াবাড়ি ভালো নয়!

রাবণ- রাগের শেষ দেখে ছাড়াটাই কর্তব্য...। অতএব পাঁচের গালে থাপ্পড় শুষে নিয়ে ছয় নম্বর গাল এগিয়ে দেব! ছয়ে পরে সাত...!

গান্ধী – বোঝ কাণ্ড!

রাবণ - সাতের পরে আট, আটের পরে নয়...!

গান্ধী – অন আ সেকেন্ড থট, থাপ্পড়ের রেসপন্সে বেশি মেনিমুখো না হওয়াই বোধ হয় ভালো...।

রাবণ – নয়ের পরে দশ নম্বর গাল। দশের পরে এগারো!

গান্ধীর – ইন ফ্যাক্ট বেশি গড়বড়ে মেজাজ দেখলে পালটা দু’ঘা বসিয়ে দিলে মন্দ হয় না মনে হচ্ছে!

রাবণ – এগারোর পরে বারো, বারোর পরে তেরো নম্বর গাল...।

গান্ধী – ডাব্লু টি এফ?

রাবণ – চোদ্দ, পনেরো, ষোলো...! গালে গলিয়ে ছাড়বো! সতেরো...আঠারো...।

গান্ধী – ব্যাটাচ্ছেলে!

রাবণ – উনিশ...।

*গান্ধীর থাপ্পড়ে রাবণের পতন ও মূর্ছা*

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু