- আসুন। আসুন মিস্টার হালদার।
- ফাইলটা থ্রু হলো মিস্টার শাসমল?
- আরে আগে বসুন। চা টা খান।
- নষ্ট করার সময় আমার নেই শাসমল। ফাইল থ্রু হয়েছে কিনা কনফার্ম করুন। প্লীজ।
- বসুন না। রামরতন, সাব কে লিয়ে চায়ে লাও। নো মিল্ক নো শুগার। আউর মেরে লিয়ে এক গিলাস পানি। বসুন মিস্টার হালদার।
- এবার বলুন।
- সিগারেট?
- ব্যাপারটা কী বলুন তো? কেঁচিয়েছেন?
- আসুন। ধরিয়ে দিই।
- থ্যাঙ্কস। এবার ঝেড়ে কাশুন দেখি।
- ফাইল...সানরাইজ ইলেক্ট্রিকালসের ফাইলটা তো?
- ঠাট্টা করছেন? আর কোন ফাইলের কথা হয়েছে আপনার সাথে?
- অলমোস্ট কাজ হয়ে গেছে বুঝলেন...।
- অলমোস্ট?
- অলমোস্ট।
- মিস্টার অরূপ শাসমল। দশ লাখ দিয়েছি আপনাকে। টেন ল্যাখস। আন্ডার দ্য টেবল। এ ফাইল যদি থ্রু না হয়..।
- হুইসল ব্লো করবেন?
- আঙুল বাঁকানোর অনেক বেটার টেকনিক আমার জানা আছে।
- উফ। অকারণে উত্তেজিত হচ্ছেন আপনি।
- অকারণ? অক্টোবরের মধ্যে ফাইল অ্যাপ্রুভ হওয়ার কথা। দিস ইজ নভেম্বর। লাখোটিয়া আমায় কী প্রেশারে রেখেছেন জানেন?
- জানি জানি। কিন্তু কোটি কোটি মুনাফা লুটবেন, অথচ সবুর করবেন না, তা কি হয়?
- সবুর?
- সামান্য। ডেফিনিটলি বাই নেক্সট উইকেন্ড। বড় সাহেব ছুটিতে গিয়েই গণ্ডগোলটা হলো। জার্মানিতে কী এক সাবস্টিটিউটের খবর পেলেন আর আপনার লাখোটিয়ার প্রপোজাল গেল ঝুলে। তবে সামলে এনেছি।
- শুনুন। ও'সব জার্মানির গল্পটল্প আমায় শোনাবেন না। কেমন? কাজ হলে বলুন, নয়তো আমায় অন্য রাস্তা দেখতে হবে।
- চা ঠাণ্ডা হচ্ছে মিস্টার হালদার।
- উম। দার্জিলিং। থ্যাঙ্কস।
- শুনুন। কাজ হয়ে যাবে। বাই নেক্সট বুধবার আপনার পকেটে অ্যাপ্রুভাল থাকবে। কনফার্ম।
- না হলে?
- না হলে দশ লাখ ওয়াপস। ভদ্রলোকের এক কথা, তবে...।
- তবে কী?
- ছেলেটাকে এমবিএ'তে অ্যাডমিশন করালাম। ফীস-টীজ দেওয়া হয়ে গেছে। তবে নতুন ল্যাপ্টপ কিনে দিতে হবে। বুঝতেই পারছেন..।
- শাসমল...।
- ক্যাশ না। ল্যাপটপ ডায়রেক্ট অনলাইনে কিনে দিলেই হবে। লেনোভোর, আমি লিঙ্ক পাঠিয়ে দেব। আর ডেলিভারির ঠিকানা।
- লাখোটিয়া এগ্রি করবে না...।
- মুনাফা ক্লায়েন্টের, কমিশন আপনার! আর বাই নেক্সট বুধবার। সে কমিটমেন্ট আমার।
- দিস ইজ ইওর লাস্ট চান্স।
- ফ্লিপকার্টের লিঙ্কটা আমি হোয়াটস্যাপ করছি।
- বুধবারের মধ্যে কিন্তু...।
- গ্যারেন্টি। কতবার বলব!
- হলে ভালো। যদি হয় নেক্সট উইকেন্ডে আপনার জন্য একটা ইন্সেন্টিভ থাকছে শাসমল।
- ইন্সেন্টিভ?
- শীলা ইজ গোয়িং টু বি ইন টাউন।
- ওহ। সেই স্পেশ্যাল স্পা!
- আপনি স্ট্রেস নিয়ে লাখোটিয়ার কাজ করে দেবেন। আর আপনার জন্য এ'টুকু ওরা করবে না? নেক্সট স্যাটারডে ইভনিং। গ্র্যান্ডে। রুম নাম্বার জানিয়ে দেওয়া হবে সময়মত।
- নেক্সট স্যাটারডে? সন্ধ্যে? ও'টা ফ্রাইডে করা যায় না?
- শীলা ইজ ইন টাউন অনলি ফর স্যাটারডে শাসমল।
- যাহ শালা।
- অন্য কারুর ব্যবস্থা করতে বলি?
- অন্য কেউ শীলা নয় মিস্টার হালদার।
- শনিবারে অসুবিধেটা কোথায়?
- আমার ছেলের জন্মদিন। ওর জন্মদিনের সন্ধ্যেটা সবসময় ওর সাথেই সেলিব্রেট করেছি। একবারের জন্যেও মিস হয়নি।
- নেক্সট টাইম দেন। ফর শীলা।
- মিস্টার হালদার লাখোটিয়ার কাজ বুধের আগেই হয়ে যাবে। তবে ল্যাপটপটা টপ মডেল চাই। আর লেনোভো টেনোভো নয়, ম্যাকবুক। আই ওয়ান্ট টু মেক মাই সন ভেরি হ্যাপি। আর স্যাটারডে ইভিনিং গ্র্যান্ডের রুম নম্বরটা সময়মত জানিয়ে দেবেন, কেমন?
- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না। - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়। - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো। - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত। - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র। - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...। - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা
Comments