Skip to main content

২.০



- নমস্কার মিস্টার মিট্টার৷
- মগনলাল!
- ওয়েলকাম টু মাই প্রাইভেট আশ্রম৷
- প্রাইভেট সার্কাসটা তা'হলে ত্যাগ করেছেন?
- উ'সব আমার ডার্ক ডেজ কি বাত মিস্টার মিট্টার৷ ইয়াদ করিয়ে তকলিফ দিবেন কেন? আমি এখন ট্রান্সফর্মড মানুষ৷ হে হে হে৷ অনলি চ্যারিটি৷ নো গোলমাল৷ মগনলাল ২.০।
- তা মগনলালজি, আপনার ২.০ ভার্সনেও দেখছি কিডন্যাপ করে তুলে আনার ব্যাপারটা পাল্টায়নি৷
- ডিসাইপলদের হ্যাবিট ওভারনাইট চেঞ্জ ক্যায়সে হোবে? আপনিই বোলেন৷ একটু টাইম দিন৷ তখন আর আপনাকে কিডন্যাপ করে নয়, রামচরিতমানস শুনিয়ে হিপনোটাইজ করে লিয়ে আসবে৷ হে হে হে৷
- আই সী৷ তা আপনার তো এখনও জেলে থাকার কথা৷
- আপনার ভি তো এখন ক্যালক্যাটায় আঙ্কিলের সঙ্গে সমোসা খাওয়ার কথা৷ লেকিন আপনি গোরখপুরের আউটস্কার্টে মগনলাল ২.০-র প্রাইভেট আশ্রমে বসে। কিসমত তো আর মছলিবাবা নয় যে প্রাইভেট ডিটেকটিভের দিমাগকে পরোয়া করবে৷
- কী প্রয়োজনে আমায় এখানে আনা হয়েছে জানতে পারি?
- জাস্ট টু কনভে দ্যাট আই অ্যাম আ চেঞ্জড ম্যান। মগনলাল ২.০। তুলসি লীফ ওয়াশড ইন দ্য গ্যাঞ্জেস ওয়াটার৷
- সে তো ভালো কথা৷ তার জন্য আমার মাথায় গুঁতো মেরে অজ্ঞান না করলেই চলছিল না? তারপর এই ভাবে তুলে আনা। মাথাটা এখনও টনটন করছে৷
- আপনার মাথায় হিট করল? রাসকালস, তিন মহিনেকা তনখওয়া কাট লেঙ্গে৷ দেখিয়ে লিবেন আপনি৷ মাই এপলজিস মিস্টার মিট্টার৷ আপনার সামনে সরবত রাখা আছে, প্লীজ ড্রিঙ্ক। একদম রিফ্রেশড ফীল হবে৷ গ্যারেন্টি৷
- বাহ্৷ আপনার সরবতের স্বাদ দেখছি সে বেনারসের মতই রয়েছে৷
- সরবতেএ স্বাদ কন্সট্যান্ট৷ লেকিন মগনলাল তো ট্রান্সফর্মড মিস্টার মিট্টার৷ মগনলাল ২.০।
- প্রাইভেট সার্কাসের বদলে প্রাইভেট আশ্রম। ট্রান্সফর্মেশন তো বটেই।
- হে হে হে..মিস্টার মিট্টার..। শুনেন, মগনলাল ২.০'র অফার করা উ সরবতে ভিষ আছে..। জরুর আছে।

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু