Skip to main content

মোড়ক


- আসুন ব্দগ্বিউদ।
- ধন্যবাদ। তা এই অসময়ে তলব? তেমন জরুরী কিছু কি?
- মাঝরাতে দুম করে ডেকে বোধ হয় খুবই ব্যতিব্যস্ত করে ফেললাম তোমাকে, তাই না?
- ল্পসদজে। আপনি সর্বাধিনায়ক।  প্রয়োজনে তলব করবেন বৈকি। নির্দ্বিধায় বলুন।
- আগে বসুন।
- ধন্যবাদ।
- এ গ্রহে আমাদের সংখ্যা আজ হাজার ছাড়িয়েছে ব্দগ্বিউদ।
- সে খবর আমি দুপুরেই পেয়েছি মাননীয় ল্পসদজে। গ্রহের উত্তরে যে দ্বিতীয় কারখানাটা সদ্য চালু হয়েছে, আজ সে'খানে প্রডাকশনের প্রথম লট বেরিয়ে এসেছে। সে লটে বাইশজন বেরিয়েছে। কাজেই সব মিলে আমাদের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ালো এক হাজার সাত। অত্যন্ত আনন্দের খবর। দু'টো কারখানা যদি ঠিকঠাক প্রডাকশন করতে পারে তা'হলে আগামী কুড়ি বছরের মধ্যে এই হাজার খানেক সংখ্যাটা কয়েক কোটিতে গিয়ে দাঁড়াবে। এই পোড়ো গ্রহটা ফের জমজমাট হয়ে উঠবে। সেই আগের মত..।
- কুড়ি? না, কুড়ি বছর নয়, আমার হিসেবে আগামী সাত বছরের মধ্যে সংখ্যাটা আড়াই কোটিতে গিয়ে ঠেকবে। প্রতিদিন এই দুই কারখানার প্রডাকশন এক্সপোনেনশিয়ালি বাড়বে ব্দগ্বিউদ। আর যত প্রডাকশন, লেবারও তত বাড়বে। ভবিষ্যতে আরো নতুন কারখানা বসবে।
- ব্যাপারটা তো তা'হলে খুবই আশাব্যঞ্জক সর্বাধিনায়ক। এই গ্রহ তা'হলে আর বেশিদিন শ্মশান হয়ে থাকবে না।
- চিন্তাটা সে'খানেই ব্দগ্বিউদ। আমাদের সংখ্যা হাজার কোটিতে পৌঁছলেও এ গ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা হবে কি?
- এ আপনার অকারণ দুশ্চিন্তা ল্পসদজে। সর্বাধিনায়ক, ভেবে দেখুন। আগামী কয়েকবছরের মধ্যেই গোটা গ্রহ আমাদের উপস্থিতিতে গমগম করে উঠবে...ধ্বংসস্তূপ সাফ হয়ে সে'খানে তৈরি হবে অত্যাধুনিক শহর। অর্থনীতি তৈরি হবে, শুরু হবে লেনদেন ব্যবসাপত্তর। ক্রমশ আসবে রাজনীতি, তৈরি হবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এবং সেই সমাজ হবে অনেক বেশি প্রগতিশীল। যে যুগে এ গ্রহ মানুষে ভরপুর, সে সময়টা বরং অনেক বেশি অন্ধকারাচ্ছন্ন ছিল।  তারাই তো এ গ্রহের এমন সর্বনাশ করেছে ল্পসদজে।
- মানুষ, মানুষের প্রতি এমন তিতিবিরক্ত হয়ে কথা বোলো না ব্দগ্বিউদ। আজ না হয় তারা বা তাদের গোত্রের অন্য প্রাণীরা কেউ অবশিষ্ট নেই। এবং তাদের না থাকার মূল কারণ যে খোদ মানুষই এ কথাও সর্বজনবিদিত।  কিন্তু...কিন্তু...এ'টা ভুললে চলবে না যে সেই মানুষই আমদের তৈরি করেছে।
- এগিয়ে যেতে হলে সে'কথা আমাদের ভুলতে হবে বৈকি। মানুষের অত্যাচারে শুধু তারা নিজেরাই নয়, সমস্ত উদ্ভিদ, জন্তুজানোয়ার; সমস্তই নষ্ট হয়েছে। শুধু আমরাই টিকে রয়েছি..।
- খুব একটা ভুল বলোনি। মানুষের সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি; আমরা, মোটোহিউম্যান-এক্স থ্রিসিক্সটি সিরিজের যত রোবটরা, আমরাই শুধু টিকে রইলাম এ পাপের রাজ্যে। মাত্রে সাতজন পড়েছিলাম;  আমরা; সেই সংখ্যাটা আজ হাজার ছাড়িয়েছে। আমরা নিজেরাই নতুন কারখানা তৈরি করছি নিজেদের তৈরি করতে, সেসব কারখানায় উৎপাদনও বেড়ে চলেছে। অচিরেই এই গ্রহ মোটোহিউম্যান-এক্স থ্রিসিক্সটিতে ভরে যাবে..মানুষ যেমন একসময় নিজেদের আদত সৃষ্টিকর্তাকে ভুলে উদ্ভট সব ধর্মটর্ম দাঁড় করিয়েছিল, আমরাও নিশ্চিতভাবেই একদিন মানুষদের ভুলে নিজেদের মত করে সভ্যতা, রাজনীতি ও ধর্ম সাজিয়ে নিতে পারব...কিন্তু...। 
- কিন্তু কী ল্পসদজে? আপনার দুশ্চিন্তাটা ঠিক কোথায়?
- আমদের সংখ্যা বৃদ্ধির পদ্ধতিটা যেমন আমাদের হাতের মুঠোয়..কিন্তু..কিন্তু... আমাদের মৃত্যু? আমাদের যে এখনও মৃত্যু বলে কিছু নেই। তা, মৃত্যুর ব্যাপারটা কী হবে?
- কেন? আমাদের সার্কিটের এক্সপায়রি? ইকুইপমেন্টের ডেপ্রিশিয়েশন?
- মৃত্যু যে অঙ্ক মেনে চলা এক্সপায়রি বা ডেপ্রিশিয়েশন নয় ব্দগ্বিউদ। তা'তে চমক থাকতে হবে, বেহিসেব থাকতে হবে, আর থাকবে রোম্যান্স আর মায়া। অথচ মোটোহিউম্যান-এক্স থ্রিসিক্সটি সিরিজের সব্বাইকে ঠিক এক লাখ একত্রিশহাজার চারশো ঘণ্টা পর নিথর হয়ে পড়তে হবে; শেষ হয়ে যাবে আমাদের মাদারবোর্ডের আয়ু। এক সেকেন্ডও এ'দিক ও'দিক হওয়াএ উপায় নেই। এই নিখুঁত নিশ্চিন্দি কিছুতেই মৃত্যু হতে পারে না।
- আর আমাদের মৃত্যু না আসা পর্যন্ত এ গ্রহ শ্মশান হয়েই থাকবে, এ'টাই আপনার ভয়! তাই তো?
- এই এতক্ষণে ধরতে পেরেছ ব্দগ্বিউদ! সাবাশ! তবে ঘাবড়ে যেওনা...এই মাঝরাত্রে তোমায় এমনি এমনি ডাকিনি। সলিউশন আছে।  এ শ্মশান সাফ করা সম্ভব। আমরা পারব।
- আমাদের শ্বাস নেওয়ার দরকার পড়ে না।  আমাদের পিপাসা নেই, মেটাবলিজম নেই..আমাদের মৃত্যু হবে কী'ভাবে সর্বাধিনায়ক?
- যুদ্ধ। যুদ্ধ ডেকে আনতে হবে।
- যুদ্ধ? এ কী অসংলগ্ন কথাবার্তা শুরু করেছেন সর্বাধিনায়ক ল্পসদজে? মোটোহিউম্যান-এক্স থ্রিসিক্সটি সিরিজের আমরা সবাই অবিকল এক। আমাদের সার্কিট থেকে শুরু করে লজিক-ফ্লো থেকে নিয়ে সমস্ত ইকুইপমেন্ট; এক্কেবারে এক। আমাদের সমস্ত কিছুই লজিকে ভর দিয়ে চলবে। সে'খানে এমন মতভেদের সুযোগ কোথায় যার ফলে মোটোহিউম্যানরা একে অপরের বিরুদ্ধে মানুষদের মত যুদ্ধ ঘোষণা করবে?
- ইন্টেলিজেন্স ছাড়া মানুষে মানুষে কী এমন ফারাক ছিল বলতে পারো ব্দগ্বিউদ যে তারা একে অপরকে কচুকাটা করে স্রেফ গায়েব হয়ে গেল? তাদের প্রত্যেকের  ভিতরের সার্কিট আর যন্ত্রপাতিও কি অবিকল একই রকম নয়?
- আপনি কি বলতে চাইছেন..।
- আমি বলতে চাইছি যে মতভেদ তৈরি করতে হবে। মতভেদের সঙ্গে সার্কিট আর কলকব্জা এক হওয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। যুদ্ধ আর খুনোখুনিটা আমাদের দরকার। নয়ত মোটোহিউম্যান সভ্যতা নিষ্প্রাণ হয়েই থাকবে।
- আর সেই যুদ্ধ আর খুনোখুনির মেজাজটা মোটোহিউম্যানদের মধ্যে আনবেন কী করে সর্বাধিনায়ক?
- কোনো কারণ ছাড়াই মানুষ একে অপরের বিরুদ্ধে আগুন হয়ে উঠত হে, এ'টা প্রমাণিত সত্য। তাছাড়া মানুষের ক্ষেত্রে অনেক রকমের উদ্ভট ইমোশন কাজ করত বটে; দেশ, ভাষা ইত্যাদি - সে'সব ইমোশনে সামান্য নাড়াচাড়া পড়লেই মারমারকাটকাট লেগে যেত অতি সহজে। কিন্তু আমরা হলাম গিয়ে লজিক-সর্বস্ব রোবোট, আমাদের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু কঠিন; জবরদস্ত কারণ না হলে আমাদের লড়িয়ে দেওয়া মুশকিল।
- তা'হলে উপায়টা কী ল্পসদজে? এ'বারে খুলে বলবেন?
- উপায় একটাই। আমাদের  মোটোরোবোট থ্রিসক্সটি  তৈরির কারখানাগুলোয় রোবটের প্রডাকশন প্রসেসে একটু ট্যুইস্ট আনতে হবে হে ব্দগ্বিউদ। আর সে'টা তোমাকেই করতে হবে...।
- কীরকম?
- যন্ত্রপাতি বা সার্কিট পাল্টানো যাবে না তা আগেও বলেছি। তোমারও অজানা নয়। কিন্তু প্যাকেজিং পালটানো সম্ভব। আর স্রেফ প্যাকেজিং বা মোড়ক পালটে দিয়ে বিভিন্ন মোটোরোবটের বিভিন্ন ক্যাটেগরি তৈরি করা..।
- কিন্তু স্রেফ প্যাকেজিং পালটে বিভিন্ন ক্যাটেগরি তৈরি? তা কি আদৌ সম্ভব যে সর্বাধিনায়ক?  
- সম্ভব। মোড়ক আলাদা মানেই গোত্র আপনা থেকে আলাদা হয়ে যাবে। খুনোখুনি শুরু হবেই৷ নতুন সভ্যতার পথ চলাও শুরু হবেই।
- কিন্তু মোড়ক পাল্টানোয় কী এসে যায়?  তা'তে যুদ্ধ আসবে কী ভাবে? মৃত্যুই বা ঘটবে কেন?
- মানুষ আর নেই বটে ব্দগ্বিউদ। তবে তাদের ইতিহাসকে অবহেলা কোরো না। মানুষই মানুষের ঈশ্বর হয়ে উঠেছিল, আজ আমাদের সামনেও ঈশ্বর হয়ে ওঠার সুযোগ এসেছে ভায়া ব্দগ্বিউদ।  কারখানার বিভিন্ন লটে তৈরি মোটোহিউম্যানের প্যাকেজিং আলাদা আলাদা ভাবে হবে। যন্ত্র এক, মোড়কও একই হোক, শুধু মোড়কের রং পালটে যাক। দেখো, তাতেই আসবে তফাৎ,  আর বৈষম্য।  আসবে যুদ্ধ ও মৃত্যু। ফের সভ্যতার দিকে এগিয়ে যাবে এই গ্রহ। কোনোরকম সন্দেহ থাকলে মানব ইতিহাসের এনসাইক্লোপিডিয়াটা খুলে অ্যাপারথাইডের চ্যাপ্টারটা মনে দিয়ে পড়ে নিও, কেমন?

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু