Skip to main content

স্পেশ্যাল স্কিল্‌স

- আইয়ে। 
- আমি?
- জী! সাহাব বুলায়ে হ্যায়।
- আপনি শিওর? আমাকেই ডেকেছেন?
- আপ হি অনির্বাণ মিত্রা, নহি?
- হ্যাঁ, আমিই। কিন্তু...। কিন্তু আমার ইন্টারভিউটা খুবই খারাপ হয়েছিল। আমার সেকেন্ড রাউন্ডে চান্স পাওয়ারই কথা নয়...। 
- অন্দর যাকে বোল দিজিয়ে। ওহি বাত।
- আমাকেই ডাকা হয়েছে তো?
- আইয়ে। 

**
- অনির্বাণ...। 
- আজ্ঞে মিত্র। মিট্টার লেখা, ইংরেজিতে। 
- আপনি জানেন আপনাকে কেন ডেকেছি?
- না। জানি না। ইন ফ্যাক্ট আর্দালিবাবুকেও তাই বলছিলাম। আমার সেকেন্ড রাউন্ডে চান্স পাওয়ারই কথা নয়।
- এ'টা সেকেন্ড রাউন্ড অফ ইন্টারভিউ নয় অনির্বাণবাবু। 
- তবে?
- চা না কফি?
- আজ্ঞে?
- চা না কফি? না কোল্ড ড্রিঙ্কস?
- চা। 
- দুধ, চিনি? 
- সমস্ত চলে। এবারে বলুন। চাকরী দেবেন না, কিন্তু তবু আমায় সকাল থেকে বসিয়ে রেখে দুপুরে আবার ডাকার মানেটা কী?
- সেকেন্ড রাউন্ড ইন্টারভিউ নেব না বলেছি। চাকরী দেব না কে বলেছে?
- মানে?
- মানে দিজ জব ইজ ইওর্স। 
- মাইন? আমার? হাউ?
- আপনি বায়োডাটাতে স্পেশ্যাল স্কিল্‌সে লিখেছেন...আপনার ডানা আছে। আপনি প্রয়োজনে উড়তে পারেন।
- ট্রু। কিন্তু এই কাজে...। 
- ট্রু হোক না হোক। আপনি এই কাজের জন্য টোটালি সুইটেব্‌ল।
- হুম?
- উড়তে পারাটা বলিউড গসিপ রিপোর্টারদের জন্য একটা ফেনোমেনাল কোয়ালিটি অনির্বাণ। অবিশ্যি উড়ন্ত কেউ এই ফ্র্যাটারনিটিতে কখনও আগে জয়েন করেনি। তবে উড়তে পারা ডেফিনিটলি ভালো জিনিস। উড়লে ভালো কিছু হবে বলেই মনে হয়। 
- ওহ্‌। রিয়েলি? তবে...।
- তবে কী? অনির্বাণবাবু? এই নিন। অ্যাপয়েন্টমেন্ট লেটার। ওয়েলকাম টু  আনন্দকল্লোল ম্যাগাজিন। 
- না মানে...এ'টা যদি সত্যি না হয়? আমার ডানা দেখতে চাইবেন না? আমি উড়ি কিনা, টেস্ট করে দেখবেন না?
- অনির্বাণ মিত্তির। শুনুন। ডানা থাকলে আপনি উড়বেন, বঢিয়া বাত। ড্রোন হয়ে গসিপ জোগাড় করে আনবেন। আর আপনার ডানা না থাকলে? আপনি উড়তে না পারলে? অউর ভি বঢিয়া। ট্রুথ ফ্লাইজ, বাট সাকসেস্‌ ফ্লাইজ হাইয়ার। নিজের বায়োডেটায় এত বড় বোমা ফাটাতে পেরেছেন, সে গাঁজা ঝাড়ার সাহসের জন্যেই এ চাকরী আপনারই। এই কাজে এই তো চাই। এ ফলস বোমার দাম এ ক্ষেত্রে হাজার খানা ডানার চেয়েও বেশি মিত্তিরবাবু। আসুন, এই অফার লেটারটা অ্যাকনোলেজ করে দিন এবার।  

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু