Skip to main content

Boss কহিলেন



[এমন এক BOSS কে চিনি, যাকে তার দ্বারা Boss’ইতো জনগণ অসুর কুমার বলে ভক্তি-শ্রদ্ধা করে থাকেনসেই অসুর-কুমারএর বস-মুখি চিন্তা-ভাবনার এক খাবলা চুরি করে নীচে টুকে দিলামBoss-দু:খে যারা মরমে মরে আছেন, তাদের হাড়ে-হাড়ে এই ভাবনা-গুলোর পাল্স অনুভূত হবে, এ আমার বিশ্বাস ]
“এই যে পাহাড়ের মত চেয়ারটায় ওপর চড়ে বসে আছি, সেখান থেকে নিচের দিকে থাকলেই মাথাটা কেমন বন-বন করে ঘুরতে থাকে; কত্তসব ছুটকোছটকা অপদার্থের দল পোকা-মাকড়ের মত ঘোরাঘুরি করছে। আমি যে এতো খাটা-খাটনি করে এদ্দুর উঠে এলাম, সেই হার্ড-ওয়ার্কিং স্পিরিটের ভগ্নাংশও যদি এই গাধাগুলোর মজ্জায় থাকত তাহলে এর উর্বর মানুষ হয়ে উঠতো। কাজ-কর্মের বালাই নেই, গোটাদিন শুধু চাই-চাই-চাই’; ছুটি চাই, বোনাস চাই, লোন চাই,টি-এ/ডি-এ চাই! আরে? আমার অধস্তন বলে কি আমার স্তন পিষে নেবে নাকি
? সব ব্যাট নিমক-হারাম! আমি নিশ্চিত সব বুড়োগুলো কম্পিউটার খুললেই সলিট্যায়ার খেলে আর ছোকরাগুলো কম্পিউটারে বসলেই ফেসবুক খোলে।
রাবিশ, জানোয়ারদের দলএসব আধুনিক ওয়ার্ক-কালচারবাজির চল না হলে, সব ব্যাটাকে আড়ং-ধোলাই দিয়ে শায়েস্তা করতাম

শালা জুনিয়রগুলো অফিস ডিসিপ্লিনের তোয়াক্কা করে না? আমি বস, আমি বেলা এগারোটায় অফিস এসে চারটেয় কাটলে তার যুক্তি আছে, কিন্তু তোদের ব্যাটা সাহস কি করে হয় সাড়ে নটার পড়ে অফিসে আসার? আবার অজুহাতের ডিক্সানারী সব ব্যাটা ; ‘স্যার যা ট্র্যাফিক- তবে কি হেলি-কপটার দেবে নাকি কোম্পানি বাবুদের অফিসে আসার জন্যে? রিডীকুলাস।
আর আমি নিশ্চিত, ছুটি চাইতে গেলেই সবগুলোর পেট থেকে ভূর-ভূর করে মিথ্যে বেরিয়ে আসে, ‘ছোট মেয়েটার জ্বর স্যার / মা ক্রিটিক্যাল স্যার / ছেলের স্কুলে ডেকেছে স্যার’: সব ব্যাটা মিথ্যুক, বেল্লিক, হারামি কা বাচ্চা!
কোনও কাজ করতে বলেছি কি বাবুদের মুখ গোমড়া। কাজ করবার আগে না করবার কারণ খোঁজেফাঁকিবাজি নিয়ে রীতিমত পড়াশোনা করা রাস্কেলগুলো আমার হাড় জ্বালাতে এসেছেএকটা কাজ সময়মত হওয়ার উপায় নেইকাজ করতাম আমরা জোয়ান বয়েসে, মুখে রক্ত তুলে কাজ করে এসেছি; সে সব ছিল সময়আর এখন? বজ্জাতগুলো কে দেখলে গা-পিত্তি জ্বলে যায়
এরা একেকজন যে শুধু অকম্ম্যের ধাড়ি তাই নয়, দস্তুরমত ষড়যন্ত্র চালায় আমার বিরুদ্ধে, আমি নিশ্চিত আমার আড়ালে এরা সর্বক্ষণ আমায় গাল-মন্দ করে, তবেই না এন্তার বিষম খেতে হয় আমায়। এদের চারটে মাথা এক জায়গায় এলেই আমার ভয় লাগে; নিশ্চই আমার বিরুদ্ধে কন্স্পিরেসি করছে? ইউনিয়নগিরি করছে না তো? শুয়োরের দল!
নেহাত আমার মত নরম,ভালো-মানুষের হাতে পড়েছিল শালা-গুলো, তাই উতরে গ্যালো।এই যদি কোনও বাতিকগ্রস্ত বসএর হাতে পড়তো মালগুলো, তবে বুঝতে অকাল-কুষ্মাণ্ড গুলো যে কত ধানে কত চাল!”

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু