Skip to main content

টেলি-ভীষণ

টিভি দ্যাখা ব্যাপারটাকে মোটামুটি একটা ইণ্ডাস্ট্রিয়াল প্রসেসে নিয়ে এসেছিরীতিমত ঘাম ঝরিয়ে, মেরুদন্ড মচকিয়ে তবে আমার টিভির নাগাল পাওয়া যায়
প্রথমত, টিভির প্লাগ লাগিয়ে সুইচ অন করা
দ্বিতীয়ত, স্যাটেলাইট সেট টপ বক্সএর প্লাগ লাগিয়ে সুইচ অন করা
তৃতীয়ত, অতিরিক্ত সাউন্ড বক্সএর প্লাগ লাগিয়ে সুইচ অন করা।(পুওর ম্যানস হোম থিয়েটার)

চতুর্থত
, টিভির মূল বোতামটি টিপে যন্ত্রটিকে মন্ত্র-চালিত করা।
পঞ্চমত, টিভির রিমোট টিপে টিভি কে প্র্জ্জ্বল করে দেওয়া।


ষষ্ঠত
, স্যাটেলাইট সেট-টপ বক্সের রিমোট টিপে সেট-টপ বক্সটিকে চালু করা।

সপ্তমত, অতিরক্ত সাউন্ড-বক্স যে মিউজিক সিস্টেমে জড়িত, অনন্য রিমোট দিয়ে তাকে চালানো।
ভাবলেন টিভি চালু?
হ্যাঁ এবং না।
যন্তরটা চালু হয়েছে ঠিকই, কিন্তু যাকে চাই সেই চ্যানেলটি এত সহজে তো ধরা দেবে না!
২০০এর ওপর চ্যানেল সংখ্যা, যার মধ্যে থেকে বড়জোর খান চার-এক আপনার প্রয়োজন।
অতএব?
বুফে ডিনারে গিয়ে ড্যাব-ড্যাবে চোখে মেনু ড্যাখার মত, ডিশ-টিভি খামচা-খামচি করে দেখুন আপনি কোন পথের পথিক, সিনেমা? প্রাদেশিক? সংবাদ? সঙ্গীত? মেনু-তস্য মেনু-তস্য তস্য মেনু পেরিয়ে, রাজ্য জয় করে তবে গিয়ে পৌছবেন গন্তব্যে, কাঙ্খিত চ্যানেলটিতে।
রোজ সকালে জলখাবার নিয়ে বসে সায়েবি মেজাজে বৌকে বলি ন্যুজ চ্যানেল টা অন করো তো, দেখো, আবার বেঙ্গলী ন্যুজ চ্যানেলে চালিয়ে দিও না
সমস্ত বাঁধ ভেঙ্গে যখন বৌ টিভিটা অবশেষে চালু করে হেসে আমার দিকে ফেরে, ততক্ষণে আমার জলখাবার সম্পূর্ণ ভাবে উদরস্থ এবং আমার ব্যাজার মুখে ঘোষণা করায়, ‘দরজা বন্ধ করে দিও, অফিস চললাম

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু