Skip to main content

দুর্গা পুজো খাদ্য নির্ঘন্ট


সপ্তমী :
সকাল ৭ ঘটিকা – লুচি + ছোলার ডাল নারকোল দিয়ে + বেগুন ভাজা + ভীম নাগ সন্দেশ
বেলা ১১ ঘটিকা - দেবী প্রসাদ (চাল-কলা, শসা, আপেল ইত্যাদি) + কোকা-কোলা
দ্বিপ্রহর ২ ঘটিকা - নুন, লেবু, ভাত, বেগুনী, ঝুড়ি আলু ভাজা, সোনা মুগের ডাল, মাছের মাথা দিয়ে বাঁধা কপির তরকারী, রুই মাছের কালীয়া, মৌরলা মাছের ঝোল, খেজুরের চাটনি, ছানার পায়েস
বৈকাল ৫ ঘটিকা - লেবুর সরবত
সন্ধ্যে ৬ ঘটিকা - পাঁঠার ঘুগনি, ঘটি-গরম চানাচুর মিশ্রণ, দই-ফুচকা + ঠান্ডা পানীয়
রাত্রি ১০ ঘটিকা - রকমারি কাবাব, মুর্গ-মুসল্লাম, মাটন বিরিয়ানী, ফির্নি, কে সি দাসের রসগোল্লা, মিষ্টি পান


অষ্টমী :

বেলা ১০ ঘটিকা - অঞ্জলি-ক্রিয়া সমাপনে; রাধা বল্লভী, আলুর দম, জিলিপি, চন্দননগরের জল-ভরা সন্দেশ
দ্বিপ্রহর ২:৩০ ঘটিকা - লেবু, নুন, ভেটকী ফ্রাই, কাজু-কিশমিশ পোলাও, কষা মাংস, চাটনি,পাঁপড়, চমচম।
সন্ধ্যে ৬ ঘটিকা - আলু-কাবলী, ফিশ-চপ, পেয়াঁজী, মটন-কাটলেট। ডাব-সরবত
রাত্রি ১০ ঘটিকা - অষ্টমী-পুজোর প্রসাদ-ভোগ: নারকোল-বাদাম মেশানো শুকনো খিচুড়ি,আলু ভাজা, ফুল-কপি ভাজা, বরবটি ভাজা, কুমড়ো ভাজা, বাঁধা কপির নিরামিষ তরকারী, আলু-পটলের তরকারী, চাটনি, রসগোল্লা, নারকোলের সন্দেশ
নবমী :
সকাল ৭ ঘটিকা - লুচি, আলু ভাজা, মোহনভোগ, সিমুই-পায়েস,মিহি দানা
বেলা ১১ ঘটিকা - দেবী প্রসাদ (চাল-কলা, শসা, আপেল ইত্যাদি) + কোকা-কোলা
দ্বিপ্রহর ২ ঘটিকা -চিকেন ললিপপ, স্প্রিং-রোল,চিকেন শেজয়ান, মিক্সড ফ্রায়েড রাইস, আইস-ক্রীম
বৈকাল চার ঘটিকা -পাড়া-ব্যাপী ফুচকা-ভক্ষণ প্রতিযোগিতা।
সন্ধ্যে ৭ ঘটিকা -ডাবল এগ-ডাবল মটন-রোল, চিংড়ি-চপ, চিকেন আফগানি কাটলেট, কোকা-কোলা
রাত্রি ১১ ঘটিকা -বঙ্গ-রুচির মোগলাই পরোটা, আলুর তরকারী সহ, মটন রেজালা, লিমকা
দশমী:
সকাল ৭ ঘটিকা -হিংএর কচুরী, ছোলার ডাল, ঝাল-মিষ্টি আলুর তরকারী, ল্যাংচা, সন্দেশ
দ্বিপ্রহর ১ ঘটিকা -নুন, লেবু, কুমড়ো ফুলের চপ,মুসুরির ড়ালের বড়া, বেগুন ভাজা, ফুলকপির রোস্ট, মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, তোপ্সে ফ্রাই, পটলের দোরমা,মোচার ঘণ্ট, কাঁকড়া মাছের ঝোল, খাসির মাংস, চাটনি, ছানার পায়েস
বৈকাল ৫ ঘটিকা - সিদ্ধি প্রস্তুতি পর্ব এবং সিদ্ধি পান। সন্দেশ, লেডিকেনি, কিশমিশ সহযোগে
রাত্রি ৯ ঘটিকা - বিসর্জনত্তর গুঁজিয়া এবং নারকোল নাড়ু ভক্ষণ।
রাত্রি ১১ ঘটিকা - নারকোল দেওয়া ঘুগনি, নিমকি, নারকোল নাড়ু, নিমকি, মাখা-সন্দেশ, ক্ষীরের সন্দেশ, পায়েস।
বিশেষ দ্রষ্টব্য
“উক্ত দিন গুলোতে, জেলুসিল পকেটে সদা-প্রস্তুত না রাখা, বাঙ্গালিয়ানার নিরিখে একান্তই আহাম্মকি”

Comments

bhalomanush said…
খেয়ে যাও... ছবিটাতে মনে হচ্ছে আগুন গিলতে যাচ্ছ!
Anonymous said…
Egulo shob shotti shotti khawa hoechilo na ki wish list?
Amader ekhane pujo ekdin hoe. ami sara october mash tai katalam pauruti kheye.
Meghpeon said…
jibhey niagra falls...sodyo jomey jawa noy...ekdom original niagra
Unknown said…
ore tui etosob kheyechis? Beche achis na more gechis re pocha?

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু