Skip to main content

সংখ্যালঘুর দলে


প্রতিবাদ মঞ্চের সামনে তাপসবাবু যখন হন্তদন্ত হয়ে গাড়ি থেকে নামছেন তখন বেলা প্রায় এগারোটা। আজও পৌঁছতে দেরী হয়ে গেল। অবশ্য রাস্তাঘাটে আজকাল যা জ্যাম; পাংচুয়াল হওয়ার কি আর উপায় আছে? আর যত নষ্টের গোড়া ওই রিকশা, ভ্যান, অটো আর সাইকেলওলারা; গোটা রাস্তা জুড়ে তো ওই ইতরগুলোরই রাজত্ব। ভদ্রলোকের উপায় কী যে দামী গাড়ির গা বাঁচিয়ে দুকিলোমিটার নিশ্চিন্তে এগোবে। 

সাধারণত শহরের রাস্তায় কিছুক্ষণ কাটানো মানেই তাপসবাবুর মেজাজ এক্কেবারে সপ্তমে থাকবে; থেকে থেকেই শহরের ভিড়ের দিকে তাকিয়েডিসগাস্টিংবলে ওঠাটা তাঁর বহুদিনের অভ্যাস। কিন্তু জ্যামে হদ্দ হয়েও আজ কিন্তু তাপসবাবুর মেজাজ মোটেও খিঁচড়ে নেই, বরং ড্রাইভার সুদীপকে গাড়ি পার্ক করতে বলে তাঁর ট্রেডমার্ক মিচকি হাসি ছুঁড়ে দিয়ে বললেনএকশোটা টাকা দিলাম, লাঞ্চটা ভদ্র জায়গায় সেরে নিস আজ, কেমন”?   

তাপসবাবু প্রতিবাদ মঞ্চের দিকে যেতেই হুড়মুড় করে এগিয়ে এলো সুরেশ পাল। সুরেশের বয়স চল্লিশের নীচে। উঠতি বড়লোক, তাই চাল বেশি। তাঁর সঙ্গে হামেশাই ঘুরছে একজন সেক্রেটারি আর একজন বাটলার।

আসুন তাপসবাবু, আসুন। আগেই একটা গুডনিউজ দিই, প্রতিবাদ মঞ্চে বসে গতকাল অনেকের একটু গরম লেগেছিল। আজ তাই বাড়তি এসির ব্যবস্থা করিয়েছি। তবে তাতে আবার কনকনে ঠাণ্ডার একটা পসিবিলিটি রয়েছে বটে। তাই সব আন্দোলনকারীর জন্যে কমপ্লিমেন্টারি পশমিনা শাল রাখানোর ব্যবস্থাও করেছি”; গড়গড় করে বলে গেল সুরেশ। 

গুড”, অল্প কথায় সারলেন তাপসবাবু। এসব ছেলেছোকরার সঙ্গে বেশি কথা বলে সময় নষ্ট করার মানে হয়না। আজকের স্পীচে তিনি যে জবরদস্ত খবরটা সবাইকে জানাবেন তাতে সমস্ত কমরেড যে আত্মহারা হয়ে পড়বেই ব্যাপারে তাঁর বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। নিজের ব্যারিটোনকে উস্কে দিয়ে আজ সকালে ঘণ্টা দুয়েক নিজের ফার্ম হাউসে বসে বক্তৃতাটা রিহার্সও করেছেন তিনি। 

মঞ্চে উঠে তাপসবাবু টের পেলেন যে মঞ্চে উপবিষ্ট কমরেড আর মঞ্চের সামনের প্রতিবাদী জনতা সবাই অধীর আগ্রহে বসে রয়েছেন তার কথা শোনার জন্য। কয়েক হাজার ট্রাকের মালিক সিঙ্ঘানিয়াবাবু গদগদ হেসে একটা প্ল্যাটিনামের হার পরিয়ে তাপসবাবুকে মঞ্চে অভ্যর্থনা করলেন। এসব সস্তা ব্যাপারস্যাপার তাপসবাবু যে খুব একটা পছন্দ করেন তা নয় কিন্তু প্রতিবাদী নেতা হলে এই সামান্য দেখনাইগুলতে আপত্তি করলে চলে না।

সভা সঞ্চালনা করছিলেন প্লাস্টিক টাইকুন বিপিন সেন। তাপসবাবু মঞ্চে বসলে তাঁর কানের কাছে সামান্য ঝুঁকে বিপিন সেন বললেনদেরী না করে তাহলে আপনাকে ডেকে নিই? সবাই কিন্তু আপনার কথা শুনবে বলেই বসে আছে। গুড নিউজের একটা এক্সপেকটেশন তো আছেই, মিডিয়া থেকে অনেকে এসেছে।

তাপসবাবু মাথা নেড়ে সম্মতি জানালেন। 

বন্ধুরা”, বিপিন সেনের কণ্ঠে তখন উত্তেজনা, “আপনারা সবাই জানেন যে আমাদের এতদিনের আন্দোলন আজ সাফল্যের দোরগোড়ায় এসে পৌঁছেছে। সরকারবাহাদুর টের পেয়েছেন যে আমরা সংখ্যালঘু হলেও আমাদের আর দমিয়ে রাখা যাবে না। গতকাল রাষ্ট্রপ্রধান মহাশয় আমাদের প্রিয় নেতা তাপস মিত্রকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন আমাদের দাবীগুলোর ব্যাপারে আলোচনা করার জন্য। আমাদের দাবীগুলো সরকারবাহাদুর অগ্রাহ্য করতে পারেনি, কৃতিত্ব প্রতিটি সংগ্রামী যোদ্ধার। এখন আমি তাপসবাবুকে অনুরোধ করব এই ব্যাপারে বিস্তারিত ভাবে বলার জন্য 

চোখ থেকে সোনার ফ্রেমের চশমাটা খুলে একটা দামী সানগ্লাস পরে মাইক্রোফোনের দিকে এগিয়ে গেলেন তাপস মিত্র। জনতার হুল্লোড় শান্ত হওয়ার জন্য মিনিটখানেক অপেক্ষা করতে হল তাপসবাবুকে, মাইকের সামনে তাঁকে দেখতে সবাই বেশ উত্তেজিত। তাপসবাবু জানেন যে সবাই একটা বড় খবর আশা করছে। 

বন্ধুরা, আপনাদের সকলকে জানাই আমার সংগ্রামী সেলাম।  এই আন্দোলনের পথ ছিল কাঁটায় পরিপূর্ণ, কিন্তু শত আঘাতেও আপনারা থমকে দাঁড়াননি, পিছিয়ে পড়েননি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে, বেনিয়মের বিরুদ্ধে আপনার এগিয়ে চলেছেন। সংখ্যালঘুদের এই সফল সংগ্রাম গোটা বিশ্বের সামনে এক অনন্য নজির সৃষ্টি করেছে; সে জন্য আপনাদের সকলকে জানাই সংগ্রামী অভিনন্দন। 

যুগে যুগে আমরা দেখেছি কী ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠের পায়ের তলে পেষাই হয়েছে নিরীহ সংখ্যালঘুর দল। দেশে দেশে আমরা দেখেছি যে কী ভাবে বিভিন্ন সরকার ভোটের লোভে শুধু সংখ্যাগরিষ্ঠের তোষণ করে চলেছেন। আর ইতিহাস ঘাঁটলে আমরা দেখব যে সংখ্যালঘুর দল কী ভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠদের চোখ রাঙানিতে বারবার পর্যুদস্ত হয়েছে।

এই মঞ্চ সংখ্যালঘুদের মঞ্চ। আমরা সংখ্যালঘুরা এই মঞ্চ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছি আমাদের বিরুদ্ধে হওয়া যাবতীয় অত্যাচারের। আমাদের দাবী নিয়ে আমরা হামলে পড়েছি সরকারের বিরুদ্ধে। আমরা রাস্তায় নেমেছি, ধর্না আর নো-কার্ব ডায়েট অনশনে কাটিয়েছি দিনের পর দিন। বন্ধুরা, অবশেষে চাকা ঘুরছে। চাকা ঘুরছে। সংখ্যাগুরুদের ছড়ি ঘোরানোর দিন এবার শেষ হতে চলেছে। 

আর শুধু সংখ্যালঘু বললেই তো আমাদের দুর্দশা স্পষ্ট ভাবে বোঝানো যায় না। আমরা তো দেশে যাকে বলেএনডেঞ্জার্ড স্পেসি দেশের জনসংখ্যার শূন্য দশমিক শূন্য শূন্য এক শতাংশ আমরা; অর্থাৎ যারাইয়েধনী। কিন্তু ধনী হওয়া কি পাপ বন্ধুরা? মুখে সোনার চামচ নিয়ে জন্মানো কি এত বড় অন্যায়? দেশের খবরের কাগজ থেকে সাহিত্য; যত গলা শুকোনো সবই শুধু গরীবগুর্বোদের নিয়ে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধেই আমরা রুখে দাঁড়িয়েছি। এই আন্দোলনে আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কম হয়নি। এই দেখুন রোদে বেরিয়ে বেরিয়ে আমার রং বেশি কিছুটা পুড়ে গেছে, স্টিল টাইকুন জয়সয়ালবাবুর ওজন মাসে দুশো গ্রাম কমে গেছে, এক্সপোর্টার বিধু সান্যাল গতকালের প্রতিবাদ সভায় এসে এত ধুলোময়লা হজম করেছেন যে আজই তাঁকে ইউরোপ ছুটতে হয়েছে তিন মাসের ভ্যাকেশনে। এমন কত গোলমাল আমাদের সইতে হয়েছে। কী অন্যায় দেখুন; দেশের চল্লিশভাগ মানুষ চাষা, অথচ ওই ভীড়ের মধ্যে শখানেক লোক আত্মহত্যা করলেই দেশ জুড়ে সে কী মড়াকান্না। এদিকে আন্দোলনে নেমে সংখ্যালঘু ধনী মানুষের পিঠে ঘামাচি হচ্ছে, তা নিয়ে জন সাংবাদিক লেখালিখি করেছেন

তবে সেসব কিছু এবার পাল্টাতে চলেছে। গতকাল আমায় রাষ্ট্রনেতা মহাশয় কথা দিয়েছেন যে মাইনরিটিস প্রটেকশন অ্যাক্ট ফর সুপার-ওয়েলদি অনলি পার্লামেন্টের আগামী অধিবেশনেই পাশ করানো হবে। তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন যে দেশে ধনীদের সংখ্যা এতটাই কমে এসেছে যে স্পেশাল প্রটেকশন না পেলে আমাদের টেকা দায়। এই আইন প্রণয়ন হলে আমাদের থেকে ট্যাক্স আদায় করে অকারণ জ্বালাতন করা বন্ধ হবে; সুপার ওয়েলদি হলে নো ট্যাক্স। তাছাড়া আমাদের বিভিন্ন কলকারখানা বা দোকানে যে সংখ্যাগরিষ্ঠ আগাছারা চাকরী করে তাদের হরতাল করার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা, আমরা রেগে গেলে দুচারজন গরীব আগাছাকেইয়েসাফটাফ করে দিতে পারি; মাইনরিটি প্রটেকশন আর কী। টাইগার রিজার্ভে বাঘ মানুষকে মেরে খেতেই পারে, কিন্তু তা বলে মানুষ তো আর পাল্টা কামড় দেবে না; আফটার অল বাঘ হল সংখ্যালঘু; আমাদের মত

আচমকা একটা কান ফাটানো দড়াম শব্দের চোটে  তাপসবাবুকে তাঁর বক্তৃতা কিছুক্ষণের জন্য থামাতে হল।  দর্শকাসন থেকে উঠতি বড়লোক সুরেশে চেঁচিয়ে আশ্বস্ত করলে। নিজের হাতের বন্দুক মাথার ওপর নাচিয়ে সুরেশ পাল সহাস্যে জানালেন;
বক্তৃতা চালিয়ে যান তাপসবাবু। বেশ চনমনে বোধ করছি আপনার স্পীচ শুনে। আমার এই বাটলারটার গা থেকে বোঁটকা গন্ধ বেরোচ্ছিল, গরীব হলে যায় হয় আর কী। দিলাম একটু আগাছা সাফ করে 

সুরেশের চেয়ারের সামনে পড়ে থাকা বাটলারটির লাশের দিকে তাকিয়ে মিচকি হাসলেন তাপসবাবু। মনে মনে ভাবলেননাহ্‌, সুরেশ ছোকরার ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল 

ফের একবার বক্তৃতা সুরু করার আগে তাপসবাবু বলে উঠলেন; “লঙ লিভ রিভোলিউশন, সংখ্যালঘুর অধিকার যেন কোনওদিনও কেউ কেড়ে নিতে না পারে 

Comments

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

ব্লগ-বাজ

আর চিন্তা নেই । বাঙালিকে আর রোখা যাবে না । আর সামান্য (সম্ভবত কিঞ্চিত গোলমেলে ) কবিতা ছাপাবার জন্যে সম্পাদক কে তোল্লাই দিতে হবে না । আর প্রেমে লটরপটর হয়ে ডায়েরি লিখে প্রাণপাত করতে হবে না। পলিটিক্স কে পাবলিক-জন্ডিস বলে গাল দেওয়ার জন্য আর “প্রিয় সম্পাদক” বলে আনন্দবাজারের ঠ্যাং ধরতে হবে না। কেন ?  হোয়াই? বাঙালি ব্লগিং শিখে গ্যাছে যে। ঘ্যাচাং ঘ্যাচাং করে শাণিত তলোয়ারের মত “ পোস্ট”-সমূহ জনতার ইন্টেলেক্ট এসপার-ওসপার করে দেবে ; হাতে-গরম গায়ে-কাঁটা। বাঙালি মননের নব্য জিস্পট ; ব্লগ-স্পট । কে বলে যে বাঙালি ব্রিগেডে বুক্তুনি দিয়ে আর ফুটবল মাঠে খেউড় করে খতম হয়ে গ্যাছে ? কে বলে যে বাঙালির ঘিলু কফি হাউসে ভাত ঘুমে মগ্ন ? বাঙালিকে একবার ব্লগখোর হতে দিন , সমস্ত অভিযোগ ভ্যানিশ হয়ে যাবে । পোপ থেকে পরশুরাম ; ডেঙ্গু থেকে মশাগ্রাম ; বং-ব্লগের দাপট রইবে সর্বত্র । বাঙালির সমস্ত আশা-ভরসা-জিজ্ঞাসা এইবারে ব্লগ মারফত্‍ পৌছে যাবে ট্যাংরা ট্যু টেক্সাস । তোপসে মাছের স্প্যানিশ ঝোলের রেসিপি কী ? বাঙাল-ঘটি মিল মহব্বত-হয়ে গেলে কি বাঙ্গালিয়ানা চটকে যাবে ? নেতাজী কি এখ

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু