Skip to main content

অরিন্দমবাবুর প্রত্যাবর্তন

- অরিন্দমবাবু এখানেই থাকেন কী?
- নেমপ্লেটটা দেখেই ডোরবেলটা বাজিয়েছেন আশা করি। 
- আপনিই...?
- দরকারটা বলুন।
- আমি স্বপন চক্রবর্তী। দূর্গাপুর টাইম্‌স থেকে আসছি। 
- দূর্গাপুর টাইম্‌স?
- তেমন ভাবে সাড়া জাগিয়ে  না হলেও, গত বারো বছর ধরে কিন্তু এ কাগজ নিয়মিত প্রকাশ হচ্ছে। এই, এলাকার খবরাখবর নিয়ে। সপ্তাহে দু'দিন। শনি আর বুধ। আমি সেখানেই রিপোর্টিংয়ের কাজ করছি। কিছু কপিও সঙ্গে করে এনেছি। 
- তা দূর্গাপুর টাইম্‌স থেকে আমার বাড়িতে লোক পাঠানোর দরকার পড়লো কেন?
- আসলে চিতার ওপর থেকে ফিরে আসা মানুষ তো খুব একটা পাওয়া যায় না। দূর্গাপুর কেন, গোটা বর্ধমান জেলাতে গত দশ বছরে আপনার মত মিরাকেল ম্যান কেউ এসেছে বলে মনে তো হয় না। 
- এ খবরটা এরই মধ্যে এতটা ছড়িয়ে পড়লো?
- রিপোর্টার মানুষ স্যার। এটুকু খবর না রাখলে তো...। তবে দুম করে অ্যাপয়েন্টমেন্ট না নিয়ে চলে আসাটা আমার অন্যায় হয়েছে। কিন্তু কাইন্ডলি যদি ছোট একটা ইন্টারভিউ দেন এই মিরাকেলটার ব্যাপারে...।
- ইন্টারভিউ?
 - আমরা চাই আপনার এই মিরাকুলাস কামব্যাকটাকে একটু তুলে ধরতে। ক্যালক্যাটা বেস্‌ড মিডিয়া হাউসগুলো তো বেঙ্গলকে প্রোজেক্ট করবে না। আমরাই যতটুকু পারি।
- না মানে...। 
- না বলবেন না স্যার...এমন কামব্যাক...সে'বার সাউথ আফ্রিকায় সৌরভ যখন...।
- ভিতরে আসুন। 
- ওবলাইজ্‌ড স্যার। ওবলাইজ্‌ড। 

**
- কী নাম বললেন যেন আপনার রিপোর্টারবাবু?
- আজ্ঞে স্বপন চক্রবর্তী। 
- চা চলবে?
- না না, আপনি ব্যস্ত হবেন না স্যার। 
- বাঁচালেন। হ্যাঁ বললেই কাজ বাড়ত।
- মোবাইল ফোনের ভয়েস রেকর্ডার অন করলে আপত্তি নেই তো?
- করতে পারেন। তবে আমার আবার আধ ঘণ্টার মধ্যে ডিনারের সময়। সেভেন থার্টির ওপারে গেলেই বদহজম। আর আটটার মধ্যে বিছানায়। এমনিতেও শরীরের ওপর দিয়ে গত আটচল্লিশ ঘণ্টায় যা ধকল গেলো, শ্মশান যাতায়াত তো আর চাট্টিখানি কথা নয়। 
- এই রেকর্ডার অন করলাম। 
- বেশ। 
- এবারে অরিন্দমবাবু, নিজের ব্যাপারে যদি দু'চার কথা বলেন। 
- নিজের ব্যাপারে আর কীই বা বলার রয়েছে! স্কুল মাস্টারি থেকে রিটায়ার করেছি আজ বছর দশ হলো।  মিসেস্‌ মারা গেছেন গত অগস্টে। এক ছেলে, দুই মেয়ে। ছেলে রয়েছে আমেরিকায়, সফটওয়্যারে রয়েছে। বড় জামাই আর বড় মেয়ে দু'জনেই ডাক্তার, বম্বেতে  সেটল্‌ড। আর ছোট মেয়ে কলকাতায়, সে নিজে প্রফেসর। আনম্যারেড। 
- গত শনিবার, অর্থাৎ গত পরশু সন্ধ্যাবেলা দুর্ঘটনাটা ঘটে তাই তো। 
- দুর্ঘটনা বলতে আচমকা বুকে ব্যথা। পাশের ফ্ল্যাটেই থাকেন ডাক্তার বসু। ফরচুনেটলি তিনিও তখন ফ্ল্যাটেই ছিলেন। আমার বাড়ির কাজের লোক বিকাশ, সে চিৎকার করতেই ডাক্তার হুড়মুড় করে ছুটে আসেন।  কিন্তু ডাক্তার আসার তিরিশ সেকেন্ড মত আগেই বুকের ব্যথাটা অসহ্য হয় আর আমি সংজ্ঞা হারাই। জ্ঞান যখন ফেরে তখন আমি চিতার ওপর শুয়ে। 
- মাই গুডনেস্‌।
- অ্যাকর্ডিং টু ডাক্তার বসু আমার পাল্‌স নাকি কমপ্লিটলি মিসিং ছিল। মারা যাওয়ার সমস্ত সাইন চেক করেই তিনি ডেথ সার্টিফিকেট দিয়েছিলেন। 
- রোমহর্ষক! আমার শুনেই গায়ে কাঁটা দিচ্ছে...। 
- তবে আমার বরাত জোর আছে! কপাল জোরে আমার বডি...থুড়ি...আমি শ্মশানে পৌঁছনোর কিছুক্ষণ আগেই ইলেকট্রিক চুল্লিটা খারাপ হয়ে যায়। যদি না হত, তাহলে আর আমার প্রত্যাবর্তন ঘটত না। ইলেকট্রিক চুল্লির ভিতর জ্যান্ত হয়ে আড়মোড়া ভাঙলেও তো সে'টা আর কারুর দৃষ্টিগোচর হত না। 
- মাই গুডনেস! মিরাকেলের বাবা! আচ্ছা অরিন্দমবাবু, প্রথম যখন জ্ঞান  ফিরল, মানে যখন আপনি চিতার উপর টানটান...তখনকার এগজ্যাক্ট অনুভূতিটা যদি আমাদের পাঠকদের একটু খুলে বলেন। 
- জ্ঞান ফিরতেই...ওই দেখো। সাতটা বাজতে চললো, এখন আবার কে কলিং বেল বাজালে! কী মুশকিল! এক মিনিট বসুন স্বপনবাবু!। যেই হোক বিদেয় করে আসি। 

**

দরজাটা খুলতেই অরিন্দমবাবুর গা'টা গুলিয়ে উঠলো। দরজার ও পাশে দাঁড়ানো দু'জন তাঁর বিশেষ ও বিকট ভাবে পরিচিত। 

বজ্রাহত অরিন্দমবাবু অতিথিদের মুখের ওপর সদর দরজা দমাস করে বন্ধ করে এক ছুটে ড্রয়িং রুমে এসে পৌঁছে দেখেন সাংবাদিক স্বপন চক্রবর্তী সোফায় অবিচল চিত্তে বসে নিজের কাগজের কপি পড়ে চলেছেন। 

- কী ব্যাপার অরিন্দমবাবু? এমন উদ্ভ্রান্ত দেখাচ্ছে কেন আপনাকে? 
- এ'সব কী হচ্ছে? কে আপনি? বুড়ো মানুষ ভেবে আমায় চমকাতে এসেছেন? 
- আহ! এত উত্তেজিত হচ্ছেন কেন অরিন্দমবাবু? শান্ত হয়ে বসুন। 
- ইডিয়ট! গেট আউট। 
- আরে যাব কোথায়? আমি তো অলরেডি বাইরে দাঁড়িয়ে আছি, আপনি দেখলেন তো। 
- এ'সব কী? আপনি কে স্বপন বাবু? 
- আপনি যা, আমিও তা! তবে ইন্টারভিউয়ের ব্যাপারটা খাঁটি কথা। আমাদের মত একজন হয়ে ফেরত আসা তো চাট্টিখানি কথা নয় অরিন্দমবাবু! সে'টাও মিরাকেল। কংগ্রাচুলেশনস। 
- আপনাদের মত একজন মানে?
- আন-ডেড্‌। 
- কী?
- অ-মৃত। আন-ডেড। এই যেমন আপনি। চিতা থেকে উঠে এলেন দিব্যি। জেনুইন মড়াই ছিলেন, ট্রাস্ট মি। ডাক্তার বসু বিশেষ ভুল করেননি। 
- আমি ভূত? আ...আপনিও...?
- ভূত? তা ঠিক না। মড়া। জ্যান্ত মড়া। ইংরেজিতে একটা মোক্ষম ইয়ে আছে আমাদের; জম্বি। তবে বিদেশী সিনেমায় যা সব দেখায়, তেমন বিটকেল যে আমরা নই, সে'টা বেশ টের পাচ্ছেন আশা করি।  
- আনডেড? জ্যান্ত নই?

**

"জানো বাবা! আনডেড ইজ বেটার দ্যান লাইফ", লিপির কণ্ঠস্বর ভেসে এলো কিচেনের দিক থেকে। ছোটমেয়ে, যে কলকাতায় থাকে। প্রফেসর। 

"আরে অত কী ভাবছ? প্রফেসারি আমি এখনও করি। এই যেমন তোমার গতকাল পাড়ার ক্লাবে আড্ডা দেওয়া। তুমি চিতা থেকে ফিরেছ। আমি একটা কারক্র্যাশ থেকে ফিরেছি। সে জন্যেই আদত আর বিয়েটা...! যাক গে! তোমার পাশে বসা স্বপনবাবু মাউন্টেনিয়ারিং করতে গিয়ে ফেরত আসতে না পেরেও এসেছেন। সবাই পারে না। আমরা পেরেছি। আমরা অ-মৃত। আর সবচেয়ে বড় ব্যাপার কী জানো? আমাদের চলাচল অবাধ! অবাধ শুধু নয়; এক সাথে একাধিক জায়গায় বিচরণ করাও সম্ভব!  তবে সে'টা  অ-মৃত সমাজের বাইরে কাউকে জানতে দেওয়া যায় না। এখন যেহেতু তুমিও...আমাদেরই একজন...তাই। আর এদ্দিন আমি তোমার কাছে বেশি আসতাম না তোমার ক্রমাগত আমার বিয়ে না করা নিয়ে ঘ্যানঘ্যান অ্যাভয়েড করার জন্য... এখন আমার সে চিন্তা অন্তত গেছে"। 

**

বীভৎস স্বপ্নটা ভাঙতেই অরিন্দমবাবু টের পেলেন তিনি চিতার ওপর শুয়ে! তাঁকে ঘিরে চারদিকে একটা অস্বাভাবিক হৈচৈ। 

**
- আসতে পারি?
- আসুন। 
- আপনিই স্বপনবাবু? দূর্গাপুর টাইম্‌সে এডিটর?
- এডিটর নই। রিপোর্টার। বলুন কী করতে পারি?
- আমি এ শহরেই থাকি। আমার নাম অরিন্দম সামন্ত। নিজের একটা মিরাকুলাস এক্সপিরিয়েন্স শেয়ার করার জন্য আপনাদের অফিসে আসা। যদি আপনারা সে'টা ছাপার যোগ্য মনে করেন...। ক্যালক্যাটা বেস্‌ড মিডিয়া হাউস তো আর মফস্বলকে বিশেষ পাত্তা দেয় না। তাই ভাবলাম আপনারা যদি...।
- কেসটা কী? 
- শুনলে আপনিও উত্তেজিত হবেন বৈকি! তবে...।
- তবে?
- তবে খবরটার ডিটেল্‌স পেতে হলে এখুনি একবার আমার বাড়ি যেতে হবে...আমার সঙ্গে গাড়ি রয়েছে। 

** 

রিপোর্টার স্বপনবাবু এত সহজে রাজী হবেন, সে'টা ভাবা যায়নি। তাঁকে নিয়ে যখন নিজের ফ্ল্যাটের দরজার সামনে পৌঁছলেন অরিন্দমবাবু, তখন সন্ধ্যে পৌনে সাতটা বেজে গেছে। অদ্ভুত থ্রিল হচ্ছিল যখন নিজের সদর দরজার কলিং বেলটা বাজালেন তিনি।

নিজে ফাঁকা ফ্ল্যাট লক করে বেরিয়েছিলেন!

তাঁর চিতার ওপরে শুয়ে হ্যালুসিনেশনটা কি স্বপ্ন ছিল? না কি...! দরজা খোলা না খোলার ওপর সমস্ত নির্ভর করছে।  

বেশিক্ষণ চিন্তা করতে হলো না। কয়েক সেকেন্ডের মাথায় দরজা খুলে অরিন্দমবাবুর মুখোমুখি হলেন অরিন্দমবাবু এবং তৎক্ষণাৎ তাঁর বুকে রাখা বাহাত্তর কিলো ওজনের পাথরটা সরে গেলো। তিনি জানেন ঘরের ভিতর যে ক'জন রয়েছে তাঁর মধ্যে লিপিও আছে। স্বপন ছোকরা বাতেলাবাজ কিন্তু মন্দ নয়, লিপির সাথে মানানসই। মড়া দুটোর একটা হিল্লে হলে তিনি মরে শান্তি পান। এ'টুকুই আশা।  

Comments

Anonymous said…
উপাদেয়। ন্ জায়তে ম্রিয়্তে -র মুখবন্ধ ।
Anonymous said…
একটু লেগডাস্ট দাও দাদা !!

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু