Skip to main content

গুগল ঠাট্টা



ইন্টারনেটে একটা মস্করা বহু প্রচলিত আছে।

প্রশ্ন: -"How do you spell God?"

উত্তর: "G-O-O-G-L-E"


রজনীকান্ত ("তুমি নির্মল কর" খ্যাত নয়, "শিবাজী" খ্যাত) নয়, মারাদোনা'র হাতও নয়, যুগ'এ ঈশ্বরত্ব যদি কাউকে গছানো যায় তবে সে হচ্ছে গুগল। কারণ স্পষ্ট।

আমার এক বন্ধু, গুগল'য়ে কর্মরত হয়েও এই ধারণা'টা শুনলেই উসখুস করে উঠতো। মাঝেই মাঝেইবলতো "টেকনোলজি কখনো ভগবান হতে পারে না ব্রাদার, মানুষের চ্যালেঞ্জ ফেস করার ক্ষমতাটেকনোলজির নেই"।

সেই বন্ধুর নাম সুহেল, সুহেল বারুজ্জ্যে। এই সেদিন সুহেল একটা ছোট্ট একটা মেল পাঠালো:



"তন্ময়,

বলেছিলাম না, মানুষ টেকনোলজির মাতব্বরি কে চিরকাল চ্যালেঞ্জ করবেই?

যে ই-মেল আই-ডি থেকে মেল টা পাঠাচ্ছি, সেটা খেয়াল করিস।

সুহেল"


লক্ষ্য করে দেখলাম সুহেল মেল'টা এই আই-ডি থেকে পাঠিয়েছে :

gmail@suhelbanerjee.com


গুগল'এর এত বড় একটা প্রোডাক্ট, জি-মেল, যেটা নাকি ই-মেল বাজির কসেপ্টই পাল্টে দিয়েছে,সেইটাকে এত বড় মনস্তত্বিক ঠাট্টার মুখে ফেলে দেওয়..ভাব যায়?

প্রযুক্তি কখনোই মানুষ কে পিছনে ফেলতে পারবে না; তার বোধ হয় একটাই কারণ: প্রযুক্তির 'সেন্সঅফ হিউমার' নেই।


(পুনশ্চ : gmail@suhelbanerjee.com ই-মেল আই-ডি টা সম্পূর্ণ খাঁটি, মেল করে দেখতে পারেন!)

Comments

Suhel Banerjee said…
Once again, absolutely elated to find a post about myself! Moreover this is frankly one of the simplest online gimmicks ever! As you mentioned there was this popular joke doing the rounds about Rajnikanth (Indian version of Chuck Norris) having an email ID - gmail@rajnikanth.com It struck me as odd that this should even be a Rajni joke because anyone can do this if he's ready to spend 300-500 INR and buy a domain in his name. Yes, it's that simple - 1) Buy a domain name 2) Register it with Google Apps 3) Create up to 50 different accounts for your new 'organisation', so you can also email me at yahoo@suhelbanerjee.com, facebook@suhelbanerjee.com or srk@suhelbanerjee.com

Let me know if you need help with setting this up.
Suhel Banerjee said…
Also, glad to let Bongpen's readers know that our favourite blogger is now available at gmail@bongpen.com , so, welcome to the club!

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু