Skip to main content

আই পী এল ৩- রিভিউ : ১


আই পী এল ৩ চালু, রঙ্গ তামাশা মন্দ শুরু হয়নি! দায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে, ব্লগে আই পী এল মুখী চিন্তা ভাবনা গুঁজে দেওয়ার দায়টুকু আমার আছে! সার্কাসে জ্যান্ত বাঘ বাতিল হয়ে যাওয়ার পর থেকে এমন হিল্লে ইভেন্ট এ দেশে আর দুটি আসেনি। থ্রী চিয়ার্স টু মোদী! থ্রী চিয়ার্স টু মন্দিরা!

দু দিন হলো আই পী এল-৩ এর,পোস্ট লেখার সময় দুটি ম্যাচ হয়ে গ্যাছে, তৃতীয় ম্যাচে প্রীতি পাঞ্জাব বনাম দিল্লিবাজদের ঘষা ঘষি চালু। সামগ্রিক কিছু বিপর্যয়মূলক কাহিনী ঘটে গ্যাছে ইতিমধ্যে:

১. এক্সট্রা ইনিংস (যা কিনা অরুনলাল-সিদ্ধু-কোচ্ছারে পাঠান-সচিন'সহ ম্যাচের থেকেও বেশি জমজমাট) মন্দিরা বেদী-হীন! মন্দিরার নুডল স্ট্র্যাপ ও বিশ্লেষণ ছাড়া ক্রিকেট? ছিঃ! এট লিস্ট ওই সোনালী নাগরানী কেও কি রাখা যাচ্ছিল না? শুধু চিয়ার লিডার দেখে সময় কাটবে?
২. নাইট রাইডার্সএর কঠিন ম্যাচ জেতা! আরে, কে কে আর ম্যাচ জিতলে মনোরঞ্জন যোগাবে কে ?
৩. রাসেল আর্নল্ড কমেন্ট্রি করছেন! আমি ভাবছি ইলেকসন লড়ব!

কি বস্তু বানিয়েছ গুরু! তবে শুধু বিপর্যয় কেন? ইনোভেশনটুকু কে স্যালুট করতে হবে না? স্ট্র্যাটেজি ব্রেক এখন নতুন আড়াই মিনিটের টুকরো টুকরো ফরমাটে! বিপণন বুদ্ধি আছে কিছু মোদিবাবুর, বাথরুম ইস্যু কে বানিজ্যিক ভাবে তরান্বিত করবার তার যে ক্রমাগত প্রচেষ্টা, সেটাকে সেলাম ঠুকতেই হয়!



পুনশ্চ:ভেতো বাঙালি আমরা, চামিন্ডা ব্যাস এবং সৌরভ গাঙ্গুলী, উভয়ের মেদ বৃদ্ধিই আমাদের আবেগের কারণ। তবু ব্যাস উইকেট পেলেন, সৌরভ রান পেলেন না! আমরা ধৈর্য্য ধরে বসে আছি, সৌরভ খেলবেন! কে কে আর'এর যে নেতা কে পূর্ণ প্রকোপে দেখলাম মাঠে (প্রথম ম্যাচ, দ্বিতীয় ইনিংস) তাকে দেখে এটুকু অন্তত আশ্বস্ত হলাম যে এখনো আগুন শেষ হয়নি! আগুনে স্কোরে বাড়ে না, তবে আশা জড়ো হয়। আর তাছাড়া স্কোর বোর্ড তো একটি গাধা, তাই না!

Comments

Saurabh Roy said…
Sorry mate some problem with my browser...all I see here is boxes..neways if it is in bengali, then I guess u know, I am bengali illiterate
lal said…
delagrandi.....................

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু