Skip to main content

শহরে বৃষ্টি

প্রবল গরম ধুয়ে মুছে সাফ করে দেওয়া বৃষ্টি। 
মিনিবাসের ঠাসাঠাসি সব মাথায় "ঝর ঝর মুখর বাদর দিনে" লেভেল বৃষ্টি। 
বাতাসে ডাব-সরবতি ফ্লেভার এনে দেওয়া বৃষ্টি। 
খিচুড়ি মামলেটের ক্লিশেতে মন দোলানোর বৃষ্টি। 
ইলিশের কার্পেটে মাছের বাজার মুড়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বয়ে আনা বৃষ্টি। 

সব মিলে মাখনের ঢিপির মধ্যে দিয়ে মখমলে ছুরির ডগা বেশ তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছিল বটে, শুধু ঠোক্কর খেল উত্তর কলকাতার হাঁটু জলে। কলেজ স্ট্রীট টু হ্যারিসন রোড, সর্বত্র নাকানিচোবানি। কলেজ স্ট্রিটের ফুটপাতে দাঁড়ানো উচিৎ না ভাসা উচিৎ সে'টা নিয়ে ভেবে মিনিট দুই থুতনি চুলকানো যেতেই পারে।  তবে ইয়ে, আমাদের ক্ষমতা আছে হাঁটুজলের ঘায়ে নস্টালজিয়ার বোরলিন লাগানোর। 

ইনফ্রাস্ট্রাকচার করে বেশি লাফালাফি করলে রোম্যান্সে চোনা পড়তে পারে। অন্তত তেমনটাই বলেছেন দিল্লী প্রবাসি বান্ধবি। কফি হাউস  থেকে কাটলেটি মেজাজ নিয়ে বেশ মৌজ করে বেরিয়েছিলেন। আমি ভাবলাম লম্বা স্কার্ট রাস্তার জলে ছপরছপর করলেই মুডের ফুরফুর চুপসে যাবে। 

কিন্তু ওই। নস্টালজিয়ার বোরোলিন। 
ভাসা ভাসা চোখ নিয়ে তিনি জানালেন; "আমার বড় ইচ্ছে এমন জলজমা রাস্তার ধারে একটা পুরনো বাড়িতে সংসার পাতব। এমন হাউসবোট পেলে এই কলেজস্ট্রীটই আমার ভূস্বর্গ হয়ে থাকবে"। 

স্বল্প আলাপে "অসহ্য ন্যাকামো" কথাটা দুম করে বলা যায় না বোধ হয়। 

Comments

Tamasa said…
"aai brishti jhepe,dhan debo mepe"
megh mamar pithe chepe jakhon bristi bhagne glucon di er sab tuku ras nigre niye jakhon kolkatar buke achre pare takhon madhya kol kata taka swagato janay tar sab tuku prem ujar karediye.aar tai komar chapano jale roj namja jiban 75 mile per hour(samayer sathe sathe speed chnge hai...aar madhya kol kata bole brishte speed comparitively kam thake.....aatpoure bole katha!) chalano ta ekta trademerk haye dariyeche.....amar to baparta besh adventorous lage.....karan sacharajar amar nonra jal eriye chali .....kintu sarkar er daya dakhinya aar goder upar bish forara mato narun dev er asesh asirwad amader ke badhya kare eei jalke concrete road mane kare chalte.......eei jale poka makor theke suru kare sap khoo thakte pare karan "kothakar jal je kothai giye daray ta toaar amar jana nei"....tabe madhya kolkata eer ee peculiar characteristic niye aajo sab theke besi ytiyabahi......bangli trditioner....tai komar-hantu jal brishti te amar thakuk!

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু