Skip to main content

নব্য-বঙ্গ ব্যঙ্গ

গালাগাল, থুড়ি..তিরস্কার ক্রমশ বড় আলুনি হয়ে উঠছেকদিন ধরেই দেখছি শাপ-শাপান্ত বা বাপ-বাপান্ত করে তেমন লে হালুয়া গোছের ফুর্তি হচ্ছে নাতবে বাঙালির ব্রেন থাকতে খিস্তি...ইয়ে মানে...ভর্ত্‍সনার জন্যে নব্য ভাষা বা যুক্তির অভাব হবে, এ কেমন কথা? একটা জটিল যোগ-মন্ত্র মনে মনে আউড়ে নিয়ে, মনসংযোগ সুদৃঢ় করে এগিয়ে এলাম, আধুনিক এবং সদ্য-আবিষ্কৃত কিছু ভেলকিময় হুমকি লিপিবদ্ধ করতে
১. অকর্মণ্য : “পার্লামেন্ট কোথাকার” (ডেমোক্রেসি ভিত্তিক)

২. সর্বনাশ হোক: “গ্রুপ বি তে গিয়ে পচ শালা” (ইউরো১২ ভিত্তিক)
৩. মোটা: “সরকারি ফাইল কোথাকার” (অনলি ইন-নেভার আউট ভিত্তিক)
৪. ঘুম নষ্ট হোক: “তোর পিছনে আন্না লাগুক” (নিউ-এজ সত্যাগ্রহ ভিত্তিক)
৫. ন্যাকা: “আস্ত অ্যান্টি-কোলাভেরী” (ইউ-টিউব ভিত্তিক)
৬. বিপদে পড়ুক: “পেটে শ্রীসান্থ ঢুকে যাক” (ষণ্ড-নৃত্য ভিত্তিক)
৭. সারমেয় লাঙ্গুল (ইয়ে..মানে কুত্তার লেজ-সম ব্যক্তি) : “শালা ইনফ্লেসন কোথাকার” (মূল্যবৃদ্ধি ভিত্তিক)
৮. অকাজের লোক: “ব্যাটা অর্কুট” (সোশ্যাল-মিডিয়া ভিত্তিক)
৯. অলস: “পুরো কফি-হাউস” (কোলকাতা ভিত্তিক)
১০. ও মরুক গে, আমার কী!: “বি-জে-পির হয়ে কলকাতায় ভোটে লড়ুক গে আমার কী!” (রিয়ালিটি ভিত্তিক)
১১. অপয়া: “ওরে সচিনের ৯৯ সেঞ্চুরি” (খুড়োর কল ভিত্তিক)
১২. বাঁদরের গলায় মুক্ত-হার : “বিদ্যা বালানের কোলে তুষার কাপুর” (নোংরা-ছবি ভিত্তিক)
১৩. তোকে দিয়ে কিছু হবে না: “করবি,লড়বি, জিতবি রে, করবি, লড়বি রে..” (কে কে আর ভিত্তিক)
১৪. গুলতানী মারা বন্ধ কর : “ইন্ডিয়া-টিভিগিরি বন্ধ কর” (মিডিয়া ভিত্তিক)
১৫. অকর্মার ঢেঁকি: “ফুলকপির বিরিয়ানী” (বমি-আগমন ভিত্তিক)
১৬. অসম্ভব ঘটনা : “সলমন খানের জামা” (দাবাঙ্গ ভিত্তিক)
১৭. সন্দেহ-জনক: “কিরণ বেদীর প্লেনের টিকিট” (NGO ভিত্তিক)
১৮. তোর মুখে ছাই পড়ুক : “তোর মুখে জল মেশানো বিয়ার পড়ুক”
১৯. ভন্ড: “শারদ পাওয়ারের গাল” (থাপ্পড় টের না পাওয়া ভিত্তিক)
২০. জুতো মেরে গরু-দান : “ আন-ফলো করে রি-টুইট করা” (টুইটার ভিত্তিক)

Comments

Gablu said…
চন্দ্রিলের লেখা পড়ার আর সৌভাগ্য হয় না। তুমি অনেকটাই অভাব পূরণ করছ। চালিয়ে যাও। আরও লেখ এরকম। সারাদিনের সব ক্লান্তি চলে যায়; অতিরঞ্জিত করে বলছি না। :)

Popular posts from this blog

গোয়েন্দা গল্প

- কিছু মনে করবেন না মিস্টার দত্ত...আপনার কথাবার্তাগুলো আর কিছুতেই সিরিয়াসলি নেওয়া যাচ্ছে না।  - কেন? কেন বলুন তো ইন্সপেক্টর? - ভোররাতে এই থানা থেকে একশো ফুট দূরত্বে ফুটপাথে আপনাকে উপুড় হয়ে শুয়ে থাকতে দেখা যায়।  - আপনার কনস্টেবল নিজের চোখে দেখেছে তো।  - না না, সে'টাকে আমি কোশ্চেন করছি না। আমি শুধু সামারাইজ করছি। আপনার গায়ে দামী চিকনের পাঞ্জাবী, ঘড়িটার ডায়ালও সোনার হলে অবাক হব না। এ'রকম কাউকে বড় একটা ফুটপাথে পড়ে থাকতে দেখা যায় না। যা হোক। হরিমোহন কনস্টেবলের কাঁধে ভর দিয়ে আপনি থানায় এলেন। জলটল খেয়ে সামান্য সুস্থ বোধ করলেন। অল ইজ ওয়েল। নিঃশ্বাসে অ্যালকোহলের সামান্যতম ট্রেসও নেই। শরীরে নেই কোনও চোট আঘাত।  - আমার কথা আমায় বলে কী লাভ হচ্ছে? আমি যে জরুরী ব্যাপারটা জানাতে মাঝরাতে ছুটে এসেছিলাম...সেই ব্যাপারটা দেখুন...। ব্যাপারটা আর্জেন্ট ইন্সপেক্টর মিশ্র।  - আর্জেন্সিতে পরে আসছি। রাত সাড়ে তিনটে নাগাদ আপনি থানায় ছুটে এসেছিলেন। ওয়েল অ্যান্ড গুড। কিন্তু...ফুটপাথে পড়ে রইলেন কেন...।  - এ'টাই, এ'টাই আমি ঠিক নিশ্চিত নই। মাথাটাথা ঘুরে গেছিল হয়ত। আফটার অল বা

পকেটমার রবীন্দ্রনাথ

১ । চাপা উত্তেজনায় রবীন্দ্রনাথের ভিতরটা এক্কেবারে ছটফট করছিল । তার হাতে ঝোলানো কালো পলিথিনের প্যাকেটে যে ' টা আছে , সে ' টা ভেবেই নোলা ছুকছাক আর বুক ধড়ফড় । এমনিতে আলুথালু গতিতে সে হেঁটে অভ্যস্ত । তাড়াহুড়ো তার ধাতে সয় না মোটে । কিন্তু আজ ব্যাপারটা আলাদা । সে মাংস নিয়ে ফিরছে । হোক না মোটে আড়াই ' শ গ্রাম , তবু , কচি পাঁঠা বলে কথা । সহৃদয় আলম মিয়াঁ উপরি এক টুকরো মেটেও দিয়ে দিয়েছে । তোফা ! নিজের লম্বা দাড়ি দুলিয়ে ডবল গতিতে পা চালিয়ে সে এগোচ্ছিল ।   গলির মোড়ের দিকে এসে পৌঁছতে রবীন্দ্রনাথের কেমন যেন একটু সন্দেহ হল । ঠিক যেন কেউ পিছু নিয়েছে । দু ' একবার ঘাড় ঘুরিয়েও অবশ্য কাউকে দেখা গেলনা । ভাবনা ঝেড়ে ফেলে মাংসের পাকেটটায় মন ফিরিয়ে আনলেন রবীন্দ্রনাথ । বৌ নিশ্চয়ই খুব খুশি হবে আজ । খোকাটাকে যে কদ্দিন মাংসের ঝোল খাওয়ানো হয়নি ।   খাসির রান্নার গন্ধ ভেবে বড় গান পাচ্ছিল রবীন্দ্রনাথের । সে বাধ্য হয়েই একটা কুমার শানুর গাওয়া আশিকি সিনেমার গান ধরলে ।

চ্যাটার্জীবাবুর শেষ ইচ্ছে

- মিস্টার চ্যাটার্জী...। - কে? - আমার নাম বিনোদ। - আমি তো আপনাকে ঠিক...। - আমায় বস পাঠিয়েছেন। - ওহ, মিস্টার চৌধুরী আপনাকে...। - বসের নামটাম নেওয়ার তো কোনও দরকার নেই। কাজ নিয়ে এসেছি। কাজ করে চলে যাব। - আসুন, ভিতরে আসুন। - আমি ভিতরে গিয়ে কী করব বলুন। সৌজন্যের তো আর তেমন প্রয়োজন নেই। আপনি চলুন আমার সঙ্গে। চটপট কাজ মিটে গেলে পৌনে এগারোটার লোকালটা পেয়ে যাব। আমায় আবার সেই সোনারপুর ফিরতে হবে। - যা করার তা কি এ'খানেই সেরে ফেলা যায়না? - এমন কনজেস্টেড এলাকায় ও'সব কাজ করা চলেনা। চুপচাপ ব্যাপারটা সেরে ফেলতে হবে। - প্লীজ দু'মিনিটের জন্য ভিতরে আসুন বিনোদবাবু। জামাটা অন্তত পালটে নিই। - কী দরকার বলুন জামা পালটে। - দরকার তেমন নেই। তবু। ওই, লাস্ট উইশ ধরে নিন। - ক্যুইক প্লীজ। ট্রেন ধরার তাড়াটা ভুলে যাবেন না। আর ইয়ে, পিছন দিক দিয়ে পালাতে চেষ্টা করে লাভ নেই। বসের লোকজন চারপাশে ছড়িয়ে আছে। - ও মা, ছি ছি। তা নয়। আসলে মিতুলের দেওয়া একটা জামা এখনও ভাঙা হয়নি। বাটিক প্রিন্টের হাফশার্ট। একটু ব্রাইট কালার কিন্তু বেশ একটা ইয়ে আছে। ও চলে যাওয়ার পর ও জামার ভাজ ভাঙতে ইচ্ছে হয়নি। কিন্তু...আজ না হয়...। - মিতু